দিরাই-শাল্লা বিএনপিতে উপজেলা ও পৌরসভা কমিটির আহ্বায়ক পদ নিয়ে তীব্র প্রতিযোগিতা চলছে। দলের দুই প্রধান বলয় এই পদগুলো নিজেদের হাতে রাখতে মরিয়া। একটি বলয়ের নেতৃত্বে আছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য নাছির উদ্দিন চৌধুরী, আরেকটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন জেলা বিএনপির সাবেক উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট তাহির রায়হান চৌধুরী পাভেল।
তিন ইউনিটের আহ্বায়ক পদের জন্য ১৫ এবং যুগ্ম আহ্বায়ক পদের জন্য ৫৩ জন নেতা ইতিমধ্যে ফরম কিনেছেন। দিরাই উপজেলা কমিটির আহ্বায়ক পদের জন্য আলোচনায় রয়েছেন তিন প্রার্থী—আব্দুর রশিদ চৌধুরী, আব্দুল কাইয়ুম এবং রশিদ আহমদ বাচ্চু। প্রথমজন নাছির উদ্দিন চৌধুরীর ঘনিষ্ঠ, দ্বিতীয়জন তাহির রায়হান চৌধুরীর সমর্থক, এবং তৃতীয়জন সাবেক বিচারপতি মিফতাহ্ উদ্দিন চৌধুরীর ঘনিষ্ঠ।
দলের অভ্যন্তরীণ সমর্থকদের মধ্যে মতবিরোধ স্পষ্ট। নাছির উদ্দিনের সমর্থকরা তাঁর বলিষ্ঠ নেতৃত্ব এবং দীর্ঘদিনের ত্যাগের প্রশংসা করছেন। অন্যদিকে, তাহির রায়হান চৌধুরীর পক্ষের নেতারা তার পরিবারকে দলের প্রতি ত্যাগী হিসেবে তুলে ধরছেন। তারা মনে করছেন, নতুন নেতৃত্ব তৈরির এখনই সময়।
পৌরসভা কমিটির আহ্বায়ক পদের জন্য পাঁচজন ফরম কিনেছেন। আলোচনায় রয়েছেন নাছির চৌধুরীর সমর্থক আমিরুল ইসলাম ও সুভাষ মিয়া এবং তাহির রায়হানের সমর্থক বাবুল সর্দার।
শাল্লা উপজেলা কমিটিতে আহ্বায়ক পদের জন্য পাঁচজন এবং যুগ্ম আহ্বায়ক পদের জন্য ২৫ জন ফরম জমা দিয়েছেন। শাল্লায়ও দুই বলয়ের নেতাদের মধ্যে পারস্পরিক সমালোচনা চলছে।
তৃণমূল নেতাদের মতে, কেন্দ্রীয় বিএনপি যদি দলীয় ত্যাগ ও মাঠ পর্যায়ের কার্যক্রমের ভিত্তিতে মূল্যায়ন করে, তবে প্রকৃত কর্মীরা নেতৃত্বে আসার সুযোগ পাবেন। তবে নতুন নেতৃত্ব তৈরির পক্ষে ও বিপক্ষে থাকা এই দুই বলয়ের প্রতিযোগিতা দলীয় সংহতিতে প্রভাব ফেলছে।
কালনী ভিউ ডেস্ক : 









