লন্ডন ০৬:১১ অপরাহ্ন, সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হাওরের পানি নিষ্কাশনে ধীরগতি, চরম দুর্ভোগে কৃষক

 

জামালগঞ্জের বেহেলী ইউনিয়নের বাড়িরনামা হাওরে পানি নিষ্কাশন ধীরগতিতে হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন স্থানীয় কৃষকরা। উপজেলার অন্যান্য হাওরের পানি দ্রুত কমলেও এই হাওরে পানি সঠিক সময়ে নামছে না, ফলে বোরো ধানের জন্য জমি প্রস্তুত করতে পারছেন না কৃষকরা।

রবিবার সকালে ভুক্তভোগী কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে বাড়িরনামা হাওর পরিদর্শন করলে তাদের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়। রহমতপুর গ্রামের কৃষক আব্দুল মিয়া জানান, “অন্যান্য হাওরের তুলনায় আমাদের হাওরের জমি এখনো পানির নিচে। মাঝখানে একটি বিল থাকায় পানি নিষ্কাশনে কেউ উদ্যোগ নিচ্ছে না। আমরা প্রশাসনের সাহায্যে দ্রুত পানি নিষ্কাশনের দাবি জানাই।”

শিবপুর গ্রামের কৃষক বিল্লাল হোসেন বলেন, “এই হাওরে কয়েকটি গ্রামের প্রায় একশ একর জমি রয়েছে। সময়মতো পানি নামানো না গেলে প্রতিবছরই আমাদের ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়।”

বেহেলী গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য জয়ন্ত তালুকদার ও বর্তমান ইউপি সদস্য যিশু তালুকদার জানান, “বাড়িরনামা হাওরটি ছোট হলেও এখনো জলমগ্ন। সরকার যেন দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নেয়।”

জামালগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সুমন কুমার সাহা জানান, “পানি নিষ্কাশনের বিষয়টি ইউএনও মহোদয় ও পানি উন্নয়ন বোর্ড দেখেন। তবে আমরা তাদের সঙ্গে সমন্বয় করে সমস্যা সমাধানে উদ্যোগ নেব।”

স্থানীয় কৃষকরা দ্রুত পানি নিষ্কাশনের জন্য কার্যকর পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন।

ট্যাগ:

সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি আব্দুল লতিফ জেপির ইন্তেকাল

হাওরের পানি নিষ্কাশনে ধীরগতি, চরম দুর্ভোগে কৃষক

প্রকাশের সময়: ০৭:৩৩:১৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

 

জামালগঞ্জের বেহেলী ইউনিয়নের বাড়িরনামা হাওরে পানি নিষ্কাশন ধীরগতিতে হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন স্থানীয় কৃষকরা। উপজেলার অন্যান্য হাওরের পানি দ্রুত কমলেও এই হাওরে পানি সঠিক সময়ে নামছে না, ফলে বোরো ধানের জন্য জমি প্রস্তুত করতে পারছেন না কৃষকরা।

রবিবার সকালে ভুক্তভোগী কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে বাড়িরনামা হাওর পরিদর্শন করলে তাদের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়। রহমতপুর গ্রামের কৃষক আব্দুল মিয়া জানান, “অন্যান্য হাওরের তুলনায় আমাদের হাওরের জমি এখনো পানির নিচে। মাঝখানে একটি বিল থাকায় পানি নিষ্কাশনে কেউ উদ্যোগ নিচ্ছে না। আমরা প্রশাসনের সাহায্যে দ্রুত পানি নিষ্কাশনের দাবি জানাই।”

শিবপুর গ্রামের কৃষক বিল্লাল হোসেন বলেন, “এই হাওরে কয়েকটি গ্রামের প্রায় একশ একর জমি রয়েছে। সময়মতো পানি নামানো না গেলে প্রতিবছরই আমাদের ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়।”

বেহেলী গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য জয়ন্ত তালুকদার ও বর্তমান ইউপি সদস্য যিশু তালুকদার জানান, “বাড়িরনামা হাওরটি ছোট হলেও এখনো জলমগ্ন। সরকার যেন দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নেয়।”

জামালগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সুমন কুমার সাহা জানান, “পানি নিষ্কাশনের বিষয়টি ইউএনও মহোদয় ও পানি উন্নয়ন বোর্ড দেখেন। তবে আমরা তাদের সঙ্গে সমন্বয় করে সমস্যা সমাধানে উদ্যোগ নেব।”

স্থানীয় কৃষকরা দ্রুত পানি নিষ্কাশনের জন্য কার্যকর পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন।