লন্ডন ০৯:০০ অপরাহ্ন, সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সাত বছর পর চালু হচ্ছে ধোপাজান মহাল

 

প্রায় সাত বছর পর অবশেষে খুলতে যাচ্ছে সিলেট অঞ্চলের ধোপাজানসহ আটটি বালু-পাথর মহাল। সোমবার (১৩ জানুয়ারি) বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব সাবরিনা আফরিন মুস্তাফা স্বাক্ষরিত আদেশে পূর্বের নিষেধাজ্ঞাটি বাতিল করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, পূর্বের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সারা দেশের গেজেটভুক্ত পাথর কোয়ারি, সিলিকা বালু কোয়ারি, নূরীপাথর এবং সাদা মাটি উত্তোলনসহ অন্যান্য কোয়ারির ইজারা কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছিল। তবে, বর্তমান আদেশে তা বাতিল করা হয়েছে।

এই নির্দেশনার কপি সকল বিভাগীয় কমিশনার এবং সিলেট, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, ময়মনসিংহ, জামালপুর, শেরপুর, নীলফামারী, পঞ্চগড়, ও নেত্রকোনা জেলা প্রশাসকের কাছে পাঠানো হয়েছে। ফলে সুনামগঞ্জসহ সারা দেশের সকল বালু-পাথর উত্তোলনে আর কোনো বাধা রইল না।

২০১৮ সাল থেকে বন্ধ থাকা সুনামগঞ্জ-সিলেট অঞ্চলের কোয়ারিগুলো পুনরায় চালুর এই সিদ্ধান্তে, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো ও শ্রমিকদের মধ্যে আশার সঞ্চার হয়েছে। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার কারণে প্রায় ১০ লাখ শ্রমিক কর্মহীন হয়ে পড়েছিলেন। এছাড়াও বালু-পাথর কোয়ারি নির্ভর পরিবহন ব্যবসা, বেলচা, বারকি শ্রমিকসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য পেশার মানুষের জীবনে নেমে এসেছিল দুর্দশা।

বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ সুনামগঞ্জ জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আলম ছদরুল বলেন, “বালু-পাথর মহালে খনিজ সম্পদ ঘিরে গড়ে ওঠা মাফিয়া চক্রের হাত থেকে এসব মহাল রক্ষা করা অত্যন্ত জরুরি। আমরা চাই শ্রমিক বান্ধব পরিবেশে, পরিবেশসম্মত পদ্ধতিতে বালু-পাথর উত্তোলন হোক।”

সুনামগঞ্জ জেলা নদী রক্ষা কমিশনের সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক দুলাল মিয়া বলেন, “নদীগুলোকে উচ্চ আদালত জীবন্ত সত্তা হিসেবে ঘোষণা করেছে। লুটেরা সিন্ডিকেট যেন নদীর ক্ষতি না করে, এ বিষয়ে প্রশাসনের সজাগ দৃষ্টি রাখা দরকার।”

বারকি শ্রমিক সংঘের সভাপতি নাসির মিয়া বলেন, “আমরা আশার আলো দেখছি। লক্ষাধিক শ্রমিকের দুর্বিষহ জীবনের অবসান হবে। তবে, পরিবেশবান্ধব উপায়ে শ্রমিকরা যেন নির্বিঘ্নে কাজ করতে পারে, সে দিকেও প্রশাসনের নজর রাখা জরুরি।”

শ্রমিক নেতারা মনে করছেন, বালু-পাথর মহাল পুনরায় চালুর মাধ্যমে স্থানীয় অর্থনীতিতে ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে এবং বেকারত্ব দূর হবে।

ট্যাগ:

লিবিয়া থেকে ফিরিয়ে আনা হলো ১৭৩ বাংলাদেশিকে

সাত বছর পর চালু হচ্ছে ধোপাজান মহাল

প্রকাশের সময়: ০৬:১৪:৪৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫

 

প্রায় সাত বছর পর অবশেষে খুলতে যাচ্ছে সিলেট অঞ্চলের ধোপাজানসহ আটটি বালু-পাথর মহাল। সোমবার (১৩ জানুয়ারি) বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব সাবরিনা আফরিন মুস্তাফা স্বাক্ষরিত আদেশে পূর্বের নিষেধাজ্ঞাটি বাতিল করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, পূর্বের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সারা দেশের গেজেটভুক্ত পাথর কোয়ারি, সিলিকা বালু কোয়ারি, নূরীপাথর এবং সাদা মাটি উত্তোলনসহ অন্যান্য কোয়ারির ইজারা কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছিল। তবে, বর্তমান আদেশে তা বাতিল করা হয়েছে।

এই নির্দেশনার কপি সকল বিভাগীয় কমিশনার এবং সিলেট, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, ময়মনসিংহ, জামালপুর, শেরপুর, নীলফামারী, পঞ্চগড়, ও নেত্রকোনা জেলা প্রশাসকের কাছে পাঠানো হয়েছে। ফলে সুনামগঞ্জসহ সারা দেশের সকল বালু-পাথর উত্তোলনে আর কোনো বাধা রইল না।

২০১৮ সাল থেকে বন্ধ থাকা সুনামগঞ্জ-সিলেট অঞ্চলের কোয়ারিগুলো পুনরায় চালুর এই সিদ্ধান্তে, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো ও শ্রমিকদের মধ্যে আশার সঞ্চার হয়েছে। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার কারণে প্রায় ১০ লাখ শ্রমিক কর্মহীন হয়ে পড়েছিলেন। এছাড়াও বালু-পাথর কোয়ারি নির্ভর পরিবহন ব্যবসা, বেলচা, বারকি শ্রমিকসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য পেশার মানুষের জীবনে নেমে এসেছিল দুর্দশা।

বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ সুনামগঞ্জ জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আলম ছদরুল বলেন, “বালু-পাথর মহালে খনিজ সম্পদ ঘিরে গড়ে ওঠা মাফিয়া চক্রের হাত থেকে এসব মহাল রক্ষা করা অত্যন্ত জরুরি। আমরা চাই শ্রমিক বান্ধব পরিবেশে, পরিবেশসম্মত পদ্ধতিতে বালু-পাথর উত্তোলন হোক।”

সুনামগঞ্জ জেলা নদী রক্ষা কমিশনের সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক দুলাল মিয়া বলেন, “নদীগুলোকে উচ্চ আদালত জীবন্ত সত্তা হিসেবে ঘোষণা করেছে। লুটেরা সিন্ডিকেট যেন নদীর ক্ষতি না করে, এ বিষয়ে প্রশাসনের সজাগ দৃষ্টি রাখা দরকার।”

বারকি শ্রমিক সংঘের সভাপতি নাসির মিয়া বলেন, “আমরা আশার আলো দেখছি। লক্ষাধিক শ্রমিকের দুর্বিষহ জীবনের অবসান হবে। তবে, পরিবেশবান্ধব উপায়ে শ্রমিকরা যেন নির্বিঘ্নে কাজ করতে পারে, সে দিকেও প্রশাসনের নজর রাখা জরুরি।”

শ্রমিক নেতারা মনে করছেন, বালু-পাথর মহাল পুনরায় চালুর মাধ্যমে স্থানীয় অর্থনীতিতে ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে এবং বেকারত্ব দূর হবে।