জামালগঞ্জের হাওর রক্ষা বাঁধের কাজে এক মাসেরও বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও অগ্রগতি অপ্রতুল। প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির (পিআইসি) কিছু অংশে কাজ শুরু হলেও অনেক স্থানে এখনও মাটি ফেলার কাজ শুরু হয়নি। বিশেষত ঝুঁকিপূর্ণ ক্লোজারগুলোতে কোনো কার্যক্রম না থাকায় কৃষকদের উদ্বেগ বাড়ছে।
পাউবো সূত্রে জানা যায়, জামালগঞ্জে এ বছর হাওর রক্ষা বাঁধ প্রকল্পে মোট ৪০টি পিআইসি অনুমোদিত হয়েছে। এর মধ্যে হালি হাওরে ২২টি, পাগনা হাওরে ১১টি এবং অন্যান্য হাওরে আরও কয়েকটি প্রকল্প বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বরাদ্দের পরিমাণ ৭ কোটি ১৪ লাখ টাকা হলেও পিআইসিরা এখনো প্রথম কিস্তির বিল পাননি।
সরজমিন পরিদর্শনে দেখা যায়, হালি, শনি, এবং মহালিয়া হাওরের বেশিরভাগ পিআইসিতে কাজ এখনও শুরুর পর্যায়ে। বিশেষ করে বেহেলী বাজারের শনির হাওর অংশের ঝুঁকিপূর্ণ ক্লোজার এবং পুটিয়া গ্রামসংলগ্ন ক্লোজারগুলোতে মাটি ফেলার কোনো উদ্যোগ দেখা যায়নি।
পিআইসিরা বলছেন, বিল না পাওয়ায় অনেকেই ধারদেনা করে কাজ করছেন। পিআইসি সভাপতি দেবাশীষ তালুকদার দাবি করলেও সরজমিনে তার প্রকল্পের কাজে অগ্রগতি মেলেনি।
উপজেলা হাওর বাঁচাও আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক অঞ্জন পুরকায়স্থ জানান, বাঁধের কাজের অগ্রগতি ২০ শতাংশের বেশি নয়। পিআইসিদের গড়িমসির কারণে বাঁধের কাজ বিলম্বিত হচ্ছে, যা ভবিষ্যতে বড় বিপর্যয়ের কারণ হতে পারে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুশফিকীন নূর বলেন, “কাজ মোটামুটি সবগুলোতেই শুরু হয়েছে। কিছু জায়গায় পানি নামার অপেক্ষা রয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, এই সপ্তাহের মধ্যেই পিআইসিরা বিল পেয়ে যাবেন।”
তবে কৃষকরা শঙ্কিত যে, যদি নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ না হয়, তবে হাওরের ফসল রক্ষা নিয়ে বড় ধরনের সংকট তৈরি হবে।
কালনী ভিউ ডেস্ক : 









