ধর্মপাশা সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. মাহমুদুর রহমানকে প্রাণনাশের হুমকি, অশালীন আচরণ এবং কার্যালয় ঘেরাওয়ের অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে উপজেলার জালধরা জলমহালের ইজারা সংক্রান্ত অনৈতিক সুপারিশ প্রত্যাখ্যান করায় উপজেলার সেলবরষ ইউনিয়নের খয়েরদিরচর গ্রামের ব্যবসায়ী মো. জাকির হোসেন (৪২) এ হুমকি দেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
এ ঘটনায় শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মৎস্য কর্মকর্তা মাহমুদুর রহমান (৪৩) ধর্মপাশা থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও জিডি সূত্রে জানা যায়, সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ২০ একর পর্যন্ত ছয়টি জলমহালের ইজারা সংক্রান্ত আবেদন যাচাই-বাছাই করছিলেন। রাত ১০টা ৪০ মিনিটে অভিযুক্ত জাকির হোসেন কার্যালয়ে ঢুকে বড় কামদিঘি মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির পক্ষে জালধরা জলমহাল ইজারার সুপারিশ করেন এবং অনৈতিক সুবিধার প্রস্তাব দেন। তবে কর্মকর্তারা নীতিমালা অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা জানালে জাকির হোসেন উত্তেজিত হয়ে টেবিলে আঘাত করে হুমকি দেন। তিনি বলেন, জলমহালটির ইজারা তার সমিতির পক্ষে না গেলে কার্যালয় ঘেরাও করবেন এবং কর্মকর্তা মৎস্য দপ্তরের বাইরে গেলে তার ক্ষতি করবেন।
অভিযুক্ত জাকির হোসেন এসব অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, তিনি ব্যক্তিগত কাজে গিয়েছিলেন এবং কোনো অনৈতিক প্রস্তাব দেননি।
এ বিষয়ে বড় কামদিঘি মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সভাপতি মো. মুসাহিদ জানান, জাকির হোসেন সমিতির সদস্য নন, তবে সমিতির পক্ষে বিভিন্ন দপ্তরে যোগাযোগ করছেন।
সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মাহমুদুর রহমান জানান, অনৈতিক সুপারিশ প্রত্যাখ্যান করায় তিনি হুমকির সম্মুখীন হয়েছেন এবং জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে থানায় জিডি করেছেন।
ধর্মপাশা থানার ওসি মোহাম্মদ এনামুল হক বলেন, বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কালনী ভিউ ডেস্ক : 









