লন্ডন ০৭:২৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

যত সুবিধা ও অনুমোদন পেল গ্রামীণ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো

গত বছরের ৫ই আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গ্রামীণ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান সরকারি অনুমোদন ও সুবিধা পেতে শুরু করে।

অন্তর্বর্তী সরকারের গত কয়েক মাসে নিবন্ধন, অনুমোদন, করছাড়সহ বেশকিছু সুবিধা পেয়েছে গ্রামীণ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান। এরমধ্যে ঢাকায় ‘গ্রামীণ ইউনিভার্সিটি’ নামে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদন পেয়েছে।সেই সঙ্গে রয়েছে গ্রামীণ এমপ্লয়মেন্ট সার্ভিসেসের জনশক্তি রপ্তানির লাইসেন্স, গ্রামীণ টেলিকমের ডিজিটাল ওয়ালেট চালুর অনুমতি।এছাড়া গ্রামীণ ব্যাংকের কর মওকুফ ও সরকারিভাবে ব্যাংকে শেয়ারের পরিমাণ ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ করা হয়েছে।গ্রামীণ ইউনিভার্সিটি নামে বেসরকারি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি গ্রামীণ ট্রাস্টের অধীনে চলবে।২০২৪ সালের ১৭ ডিসেম্বর আবেদন জমা দেওয়ার তিন মাসের মধ্যেই এটি অনুমোদন পায়। অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে অনুমোদিত প্রথম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এটি।২০২৫ সালের জানুয়ারিতেপ্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ এমপ্লয়মেন্ট সার্ভিসেস লিমিটেড (জিইএসএল) বিএমইটি থেকে একটি লাভজনক জনশক্তি রপ্তানির লাইসেন্স (RL No. 2806) পায় এবং এপ্রিল মাসে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সিসের (বায়রা) সদস্যপদ লাভ করে।২০০৯ সালে জিইএসএলের লাইসেন্সের জন্য প্রথম আবেদন করা হয়। তবে রাজনৈতিক কারণে পূর্ববর্তী সরকার অনুমোদন দেয়নি। এই কম্পানির ৯০ শতাংশ শেয়ার গ্রামীণ সেন্টারের এবং ১০ শতাংশ শেয়ার গ্রামীণ শিক্ষার মালিকানায় রয়েছে।অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই গ্রামীণ টেলিকমের একটি অঙ্গপ্রতিষ্ঠান ‘সমাধান সার্ভিসেস লিমিটেড’ ২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে পেমেন্ট সার্ভিস প্রভাইডার (পিএসপি) হিসেবে কাজ করার জন্য অনুমোদন পায়। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ‘অনাপত্তি সনদ’ (এনওসি) পাওয়ার পর প্রতিষ্ঠানটি পিএসপি লাইসেন্স পায়।২০২১ সালের নভেম্বরে পিএসপি লাইসেন্সের জন্য আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু ২০২৪ সালের আগস্ট পর্যন্ত কেন্দ্রীয় ব্যাংক কোনো অনুমোদন দেয়নি।২০১৩ সালে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার গ্রামীণ ব্যাংক অধ্যাদেশ ১৯৮৩ বাতিল করে নতুন করে গ্রামীণ ব্যাংক আইন ২০১৩ পাস করে।২০২৫ সালের ১৭ এপ্রিল অন্তর্বর্তীকালীন সরকার একটি বৈঠকে গ্রামীণ ব্যাংকের জন্য নতুন অধ্যাদেশ জারির সিদ্ধান্ত নেয়, যেখানে সরকারের মালিকানা ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ করা হয়। বৈঠকটি প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।নতুন অধ্যাদেশে শেয়ারহোল্ডারদের মালিকানা ৭৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৯০ শতাংশ করা হয় এবং বোর্ডে নির্বাচিত ৯ জন সদস্যের মধ্য থেকে ৩ জন পরিচালক মনোনীত হবেন, যাদের মধ্য থেকে একজনকে বোর্ড চেয়ার হিসেবে নির্বাচন করা হবে। এতে সরকারের চেয়ার নিয়োগের ভূমিকা বাতিল হয়।২০২৪ সালের ১০ অক্টোবর জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) গ্রামীণ ব্যাংককে ২০২৯ সাল পর্যন্ত পাঁচ বছরের জন্য কর অব্যাহতি দেয়।যদিও এনবিআর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ১৯৮৩ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকেই গ্রামীণ ব্যাংক কর অব্যাহতি পেয়ে আসছিল, তবে ২০২০ সালে তা বাতিল করে আগের সরকার। এই কর অব্যাহতির জন্য গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নূর মোহাম্মদ এনবিআর বরাবর আবেদনপত্র জমা দেন। দেশের অন্যান্য মাইক্রোফাইন্যান্স প্রতিষ্ঠানগুলোও তাদের আয় থেকে কর অব্যাহতি পেয়ে আসছে।

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান সংবাদমাধ্যমকে এসব বিষয়ে বলেন, ‘যেহেতু সংশ্লিষ্ট সিদ্ধান্তগুলো এমন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সম্পর্কিত, যেখানে প্রধান উপদেষ্টার সংশ্লিষ্টতা রয়েছে এবং তিনি একটি স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক শাসনব্যবস্থার দিকে রূপান্তরের দায়িত্বে রয়েছেন, তাই এটা প্রত্যাশিত যে কোনো সিদ্ধান্ত যেন স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় হয় এবং স্বার্থের সংঘাত না থাকে।’তিনি আরও বলেন, ‘সংশ্লিষ্ট সিদ্ধান্তগুলোর ক্ষেত্রে যদি স্বার্থের সংঘাত না থেকে থাকে, তাহলে যেসব যৌক্তিক ভিত্তিতে সিদ্ধান্তগুলো গ্রহণ করা হয়েছে তা জনগণের সামনে প্রকাশ করাই হবে শ্রেয়।’

প্রধান উপদেষ্টা মুহামদ ইউনূসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, ‘গ্রামীণের যেসব প্রতিষ্ঠানের কথা বলছেন, সেইগুলোতে ড. ইউনূসের ব্যক্তিগত কিছু আছে কি না? এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে তার কোনো শেয়ার আছে? এসব প্রতিষ্ঠান থেকে তিনি কোনো সুবিধা পান? আসলে কি এগুলো ড. ইউনূসের নিজস্ব প্রতিষ্ঠান? গ্রামীণ নামটা না হয় ড. ইউনূস দিয়েছেন। তিনি এসব প্রতিষ্ঠানের একটা শেয়ারের মালিক কি না? উনার ব্যক্তিগত কোনো সম্পত্তি আছে কোথায়? কেউ দেখাতে পারবে?’এসব বিষয় নিয়ে চলতি মাসে একটি সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম বলেন, ‘আপনারা বের করে দেখান যে এসব প্রতিষ্ঠান পাওয়ার ক্ষেত্রে আমরা বা সরকার কোনো ভূমিকা রেখেছে কিনা। আমি সবাইকে এসব বিষয়ে তদন্ত করার অনুরোধ জানাই।’

প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব উল্লেখ করেন, গ্রামীণ এমপ্লয়মেন্ট এজেন্সি ২০০৯ সালে আবেদন করেছিল। ওই সময়ে ড. ইউনূস সৌদি আরব গিয়েছিলেন। সেখানে সৌদি ও জার্মানের একটা হাসপাতালের চেইন তাকে বলেছেন, আপনি নার্স ও হাসপাতালের স্টাফ পাঠান। তারা বাংলাদেশের নিয়মিত কর্মী পাঠানো এজেন্সির মাধ্যমে নেবে না। কারণ ড. ইউনূসের মাধ্যমে নিলে খরচ একদম সীমিত পর্যায়ে থাকবে। সেই আলোকে শেখ হাসিনার সরকারের আমলে লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছিলেন। কিন্তু তারা অনুমোদন দেয়নি। এখন ২০২৪ সালের পর যদি লাইসেন্সের অনুমোদন পায়, তাহলে দোষ কি? বাংলাদেশে এই রকম সাড়ে ৩ হাজার এজেন্সি আছে।

 

শফিকুল আলম বলেন, গ্রামীণ বিশ্ববিদ্যালয় করতে চেয়েছিলেন ২০১২ সালের দিকে। ২০১৪ সালে পূর্বাচলে ২-৩ শ বিঘা জমি ক্রয় করেছিলেন। তখন যতবারই বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের কাছে আবেদন নিয়ে গিয়েছিলেন, ততবারই তারা বলেছিল, ‘আবেদন জমা দিয়েন না। আমরা অনুমতি দিতে পারব না।’ এখন গত ৬ মাস অডিট করে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

সূত্র: কালের কণ্ঠ।

ট্যাগ:

লিবিয়া থেকে ফিরিয়ে আনা হলো ১৭৩ বাংলাদেশিকে

যত সুবিধা ও অনুমোদন পেল গ্রামীণ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো

প্রকাশের সময়: ০৬:২২:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ মে ২০২৫

গত বছরের ৫ই আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গ্রামীণ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান সরকারি অনুমোদন ও সুবিধা পেতে শুরু করে।

অন্তর্বর্তী সরকারের গত কয়েক মাসে নিবন্ধন, অনুমোদন, করছাড়সহ বেশকিছু সুবিধা পেয়েছে গ্রামীণ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান। এরমধ্যে ঢাকায় ‘গ্রামীণ ইউনিভার্সিটি’ নামে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদন পেয়েছে।সেই সঙ্গে রয়েছে গ্রামীণ এমপ্লয়মেন্ট সার্ভিসেসের জনশক্তি রপ্তানির লাইসেন্স, গ্রামীণ টেলিকমের ডিজিটাল ওয়ালেট চালুর অনুমতি।এছাড়া গ্রামীণ ব্যাংকের কর মওকুফ ও সরকারিভাবে ব্যাংকে শেয়ারের পরিমাণ ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ করা হয়েছে।গ্রামীণ ইউনিভার্সিটি নামে বেসরকারি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি গ্রামীণ ট্রাস্টের অধীনে চলবে।২০২৪ সালের ১৭ ডিসেম্বর আবেদন জমা দেওয়ার তিন মাসের মধ্যেই এটি অনুমোদন পায়। অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে অনুমোদিত প্রথম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এটি।২০২৫ সালের জানুয়ারিতেপ্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ এমপ্লয়মেন্ট সার্ভিসেস লিমিটেড (জিইএসএল) বিএমইটি থেকে একটি লাভজনক জনশক্তি রপ্তানির লাইসেন্স (RL No. 2806) পায় এবং এপ্রিল মাসে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সিসের (বায়রা) সদস্যপদ লাভ করে।২০০৯ সালে জিইএসএলের লাইসেন্সের জন্য প্রথম আবেদন করা হয়। তবে রাজনৈতিক কারণে পূর্ববর্তী সরকার অনুমোদন দেয়নি। এই কম্পানির ৯০ শতাংশ শেয়ার গ্রামীণ সেন্টারের এবং ১০ শতাংশ শেয়ার গ্রামীণ শিক্ষার মালিকানায় রয়েছে।অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই গ্রামীণ টেলিকমের একটি অঙ্গপ্রতিষ্ঠান ‘সমাধান সার্ভিসেস লিমিটেড’ ২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে পেমেন্ট সার্ভিস প্রভাইডার (পিএসপি) হিসেবে কাজ করার জন্য অনুমোদন পায়। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ‘অনাপত্তি সনদ’ (এনওসি) পাওয়ার পর প্রতিষ্ঠানটি পিএসপি লাইসেন্স পায়।২০২১ সালের নভেম্বরে পিএসপি লাইসেন্সের জন্য আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু ২০২৪ সালের আগস্ট পর্যন্ত কেন্দ্রীয় ব্যাংক কোনো অনুমোদন দেয়নি।২০১৩ সালে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার গ্রামীণ ব্যাংক অধ্যাদেশ ১৯৮৩ বাতিল করে নতুন করে গ্রামীণ ব্যাংক আইন ২০১৩ পাস করে।২০২৫ সালের ১৭ এপ্রিল অন্তর্বর্তীকালীন সরকার একটি বৈঠকে গ্রামীণ ব্যাংকের জন্য নতুন অধ্যাদেশ জারির সিদ্ধান্ত নেয়, যেখানে সরকারের মালিকানা ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ করা হয়। বৈঠকটি প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।নতুন অধ্যাদেশে শেয়ারহোল্ডারদের মালিকানা ৭৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৯০ শতাংশ করা হয় এবং বোর্ডে নির্বাচিত ৯ জন সদস্যের মধ্য থেকে ৩ জন পরিচালক মনোনীত হবেন, যাদের মধ্য থেকে একজনকে বোর্ড চেয়ার হিসেবে নির্বাচন করা হবে। এতে সরকারের চেয়ার নিয়োগের ভূমিকা বাতিল হয়।২০২৪ সালের ১০ অক্টোবর জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) গ্রামীণ ব্যাংককে ২০২৯ সাল পর্যন্ত পাঁচ বছরের জন্য কর অব্যাহতি দেয়।যদিও এনবিআর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ১৯৮৩ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকেই গ্রামীণ ব্যাংক কর অব্যাহতি পেয়ে আসছিল, তবে ২০২০ সালে তা বাতিল করে আগের সরকার। এই কর অব্যাহতির জন্য গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নূর মোহাম্মদ এনবিআর বরাবর আবেদনপত্র জমা দেন। দেশের অন্যান্য মাইক্রোফাইন্যান্স প্রতিষ্ঠানগুলোও তাদের আয় থেকে কর অব্যাহতি পেয়ে আসছে।

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান সংবাদমাধ্যমকে এসব বিষয়ে বলেন, ‘যেহেতু সংশ্লিষ্ট সিদ্ধান্তগুলো এমন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সম্পর্কিত, যেখানে প্রধান উপদেষ্টার সংশ্লিষ্টতা রয়েছে এবং তিনি একটি স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক শাসনব্যবস্থার দিকে রূপান্তরের দায়িত্বে রয়েছেন, তাই এটা প্রত্যাশিত যে কোনো সিদ্ধান্ত যেন স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় হয় এবং স্বার্থের সংঘাত না থাকে।’তিনি আরও বলেন, ‘সংশ্লিষ্ট সিদ্ধান্তগুলোর ক্ষেত্রে যদি স্বার্থের সংঘাত না থেকে থাকে, তাহলে যেসব যৌক্তিক ভিত্তিতে সিদ্ধান্তগুলো গ্রহণ করা হয়েছে তা জনগণের সামনে প্রকাশ করাই হবে শ্রেয়।’

প্রধান উপদেষ্টা মুহামদ ইউনূসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, ‘গ্রামীণের যেসব প্রতিষ্ঠানের কথা বলছেন, সেইগুলোতে ড. ইউনূসের ব্যক্তিগত কিছু আছে কি না? এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে তার কোনো শেয়ার আছে? এসব প্রতিষ্ঠান থেকে তিনি কোনো সুবিধা পান? আসলে কি এগুলো ড. ইউনূসের নিজস্ব প্রতিষ্ঠান? গ্রামীণ নামটা না হয় ড. ইউনূস দিয়েছেন। তিনি এসব প্রতিষ্ঠানের একটা শেয়ারের মালিক কি না? উনার ব্যক্তিগত কোনো সম্পত্তি আছে কোথায়? কেউ দেখাতে পারবে?’এসব বিষয় নিয়ে চলতি মাসে একটি সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম বলেন, ‘আপনারা বের করে দেখান যে এসব প্রতিষ্ঠান পাওয়ার ক্ষেত্রে আমরা বা সরকার কোনো ভূমিকা রেখেছে কিনা। আমি সবাইকে এসব বিষয়ে তদন্ত করার অনুরোধ জানাই।’

প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব উল্লেখ করেন, গ্রামীণ এমপ্লয়মেন্ট এজেন্সি ২০০৯ সালে আবেদন করেছিল। ওই সময়ে ড. ইউনূস সৌদি আরব গিয়েছিলেন। সেখানে সৌদি ও জার্মানের একটা হাসপাতালের চেইন তাকে বলেছেন, আপনি নার্স ও হাসপাতালের স্টাফ পাঠান। তারা বাংলাদেশের নিয়মিত কর্মী পাঠানো এজেন্সির মাধ্যমে নেবে না। কারণ ড. ইউনূসের মাধ্যমে নিলে খরচ একদম সীমিত পর্যায়ে থাকবে। সেই আলোকে শেখ হাসিনার সরকারের আমলে লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছিলেন। কিন্তু তারা অনুমোদন দেয়নি। এখন ২০২৪ সালের পর যদি লাইসেন্সের অনুমোদন পায়, তাহলে দোষ কি? বাংলাদেশে এই রকম সাড়ে ৩ হাজার এজেন্সি আছে।

 

শফিকুল আলম বলেন, গ্রামীণ বিশ্ববিদ্যালয় করতে চেয়েছিলেন ২০১২ সালের দিকে। ২০১৪ সালে পূর্বাচলে ২-৩ শ বিঘা জমি ক্রয় করেছিলেন। তখন যতবারই বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের কাছে আবেদন নিয়ে গিয়েছিলেন, ততবারই তারা বলেছিল, ‘আবেদন জমা দিয়েন না। আমরা অনুমতি দিতে পারব না।’ এখন গত ৬ মাস অডিট করে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

সূত্র: কালের কণ্ঠ।