দিরাই উপজেলায় ইউনিয়ন বিএনপির নেতৃত্ব পেতে আওয়ামী লীগপন্থি ও অতীতে বিতর্কিত ভূমিকা রাখা ব্যক্তিদের দৌড়ঝাঁপ নিয়ে ক্ষোভ বিরাজ করছে তৃণমূল নেতাকর্মীদের মাঝে।
জানা গেছে, সদ্য ইউনিয়ন পর্যায়ে বিএনপির আহ্বায়ক ও যুগ্ম আহ্বায়ক পদের জন্য আবেদন গ্রহণ প্রক্রিয়ায় এমন অসংখ্য বিতর্কিত প্রার্থী আবেদন করেছেন, যাদের কেউ কেউ এক সময় আওয়ামী লীগের সক্রিয় কর্মী ছিলেন।
গত ২৯ মে থেকে ১ জুলাই পর্যন্ত দিরাই উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের সম্ভাব্য কমিটির দায়িত্ব পেতে প্রায় ১৬০ জন নেতা বিএনপির উপজেলা কার্যালয় থেকে আবেদনপত্র সংগ্রহ ও জমা দেন। তবে এই প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে আওয়ামী লীগপন্থি ও অতীতে বিএনপির বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া ব্যক্তিদের অংশগ্রহণে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তৃণমূল নেতাকর্মীরা।
স্থানীয়রা জানান, যেসব ব্যক্তি অতীতে নৌকা প্রতীকের পক্ষে প্রচারণা চালিয়েছেন, তারা এখন বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ পদ পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। কেউ কেউ আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে ছবি তুলে সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছেন। দীর্ঘদিন দলের সঙ্গে যোগাযোগ না রাখা, দুর্দিনে দল ছাড়ার পর এখন আবার পদ পাওয়ার জন্য সক্রিয় হয়েছেন এমন বিতর্কিত ব্যক্তিদের নিয়েই তৈরি হয়েছে উত্তেজনা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ইউনিয়ন বিএনপির নেতা বলেন, বিএনপির দুঃসময়ে যারা পাশে ছিলেন না, তাদের হঠাৎ করে পদ পেতে আগ্রহী দেখা যাচ্ছে। অনেকেই যাঁরা দল ছেড়ে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছিলেন, তারাও এখন বিএনপির নেতৃত্বে ফেরার চেষ্টা করছেন। তারা অভিযোগ করেন, উপজেলা বিএনপির কিছু নেতা নিজেদের বলয় শক্তিশালী করতে এসব অযোগ্য ও বিতর্কিত ব্যক্তিদের প্রশ্রয় দিচ্ছেন।এভাবে যদি বিতর্কিত ও সুবিধাবাদীরা পদ পেয়ে যান, তাহলে আমরা তা মেনে নেব না। প্রয়োজনে আমরা রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করবো।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে দিরাই উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ইফতেখার মোঃ নাবিল চৌধুরী বলেন, “কোনো বিতর্কিত ব্যক্তি কমিটিতে জায়গা পাবে না। আমরা আগামী বৃহস্পতিবার একটি বৈঠক করব, যেখানে এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত হবে।”
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, দিরাইয়ে বিএনপির ইউনিটগুলোতে নেতৃত্ব নির্বাচনে তৃণমূলের প্রকৃত নেতাদের গুরুত্ব দেয়ার বিষয়ে কেন্দ্রীয় নির্দেশনা রয়েছে। তবে মাঠপর্যায়ে তা কতটা বাস্তবায়ন হবে, সেটিই এখন দেখার বিষয়।
নিজস্ব প্রতিবেদক: 









