লন্ডন ০২:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দিরাইয়ে উন্মুক্ত লটারিতে খাদ্যবান্ধব ডিলার নিয়োগ

খাদ্য অধিকার নিশ্চিত ও স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় সুবিধাভোগী নির্বাচন নিশ্চিত করতে সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলায় উন্মুক্ত লটারির মাধ্যমে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ডিলার নিয়োগের প্রাথমিক তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে।

বুধবার (৬ আগস্ট) বিকেলে উপজেলা গণমিলনায়তনে আয়োজিত এ লটারিতে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সনজীব সরকার।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মামুনুর রশিদ। এছাড়াও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, সাংবাদিক ও আবেদনকারী ব্যক্তিরা সরাসরি লটারিতে অংশগ্রহণ করেন।

উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের ১৮টি পয়েন্টের জন্য ১৮ জনকে প্রাথমিকভাবে ডিলার হিসেবে নির্বাচিত করা হয়েছে। তালিকাভুক্তদের মধ্যে রয়েছেন, রফিনগর ইউনিয়নের খাগাউড়া বাজারে আব্দুল কাদির, বাংলা বাজারে মো. জমিরুল ইসলাম। ভাটিপাড়া ইউনিয়নের ভাটিপাড়া বাজারে মো. জমির রহমান, মধুরাপুর বাজারে স্বপন আহমদ চৌধুরী। রাজানগর ইউনিয়নের রাজানগর বাজারে তানভীর রহমান, গচিয়া বাজারে লিটন মিয়া। চরনারচর ইউনিয়নের চরনারচর বাজারে লিটন বৈদ্য, শ্যামারচর বাজারে তোফিকুল ইসলাম।সরমঙ্গল ইউনিয়নের কল্যাণী বাজারে নিপাশ তালুকদার, নাচনী বাজারে রায়হান মিয়া। করিমপুর ইউনিয়নের টুকদিরাই বাজারে আশিকুর রহমান, টানাখালী বাজারে আবুল হোসেন। জগদল ইউনিয়নের কলিয়ারকাপন বাজারে মো. সুমন মিয়া চৌধুরী, হুসেনপুর বাজারে মো. আবুল লেইছ। তাড়ল ইউনিয়নের ধল বাজারে নূরে আলম সিদ্দিকী, টেলিফোন বাজারে মো. নাঈম মিয়া। কুলঞ্জ ইউনিয়নের তারাপাশা বাজারে মো. শাহিন মিয়া, আকিলশাহ বাজারে মো. নাসির উদ্দিন।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সনজীব সরকার বলেন, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি একটি রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ, যা দরিদ্র ও স্বল্প আয়ের মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। এই প্রক্রিয়া যাতে নিরপেক্ষ, স্বচ্ছ এবং অভিযোগমুক্ত হয়, সেজন্য আমরা এবার উন্মুক্ত লটারির মাধ্যমে ডিলার নির্বাচন করেছি। আমরা প্রাথমিক আবেদন যাচাই-বাছাই করে কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় মাঠপর্যায়ে তদন্ত করেছি। গণশুনানি ও সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদন বিশ্লেষণের পর আজ লটারির মাধ্যমে তালিকা চূড়ান্ত করা হয়। তবে এটি চূড়ান্ত নয় কোনো প্রকার বড় ধরনের অভিযোগ প্রমাণিত হলে পুনঃতদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সরকার এ বিষয়ে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতিতে রয়েছে। তিনি আরও বলেন, আমরা চাই এ কর্মসূচির মাধ্যমে কেউ যেন অনিয়মের শিকার না হন কিংবা অবৈধ সুবিধা নিতে না পারেন। দরিদ্র জনগণের জন্য নির্ধারিত এই চাল সঠিকভাবে বিতরণে আমরা সবসময় সতর্ক আছি। পরবর্তী সময়ে ডিলারদের কার্যক্রম নিয়মিতভাবে মনিটর করা হবে এবং কোনো অনিয়ম পেলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

উল্লেখ্য, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় প্রতি মাসে নির্ধারিত পরিমাণ চাল নির্ধারিত মূল্যে ডিলারদের মাধ্যমে বিতরণ করা হয়। ফলে এসব ডিলারের নির্ভরযোগ্যতা ও দায়িত্বশীলতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

ট্যাগ:

সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি আব্দুল লতিফ জেপির ইন্তেকাল

দিরাইয়ে উন্মুক্ত লটারিতে খাদ্যবান্ধব ডিলার নিয়োগ

প্রকাশের সময়: ০৫:১০:২৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ অগাস্ট ২০২৫

খাদ্য অধিকার নিশ্চিত ও স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় সুবিধাভোগী নির্বাচন নিশ্চিত করতে সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলায় উন্মুক্ত লটারির মাধ্যমে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ডিলার নিয়োগের প্রাথমিক তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে।

বুধবার (৬ আগস্ট) বিকেলে উপজেলা গণমিলনায়তনে আয়োজিত এ লটারিতে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সনজীব সরকার।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মামুনুর রশিদ। এছাড়াও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, সাংবাদিক ও আবেদনকারী ব্যক্তিরা সরাসরি লটারিতে অংশগ্রহণ করেন।

উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের ১৮টি পয়েন্টের জন্য ১৮ জনকে প্রাথমিকভাবে ডিলার হিসেবে নির্বাচিত করা হয়েছে। তালিকাভুক্তদের মধ্যে রয়েছেন, রফিনগর ইউনিয়নের খাগাউড়া বাজারে আব্দুল কাদির, বাংলা বাজারে মো. জমিরুল ইসলাম। ভাটিপাড়া ইউনিয়নের ভাটিপাড়া বাজারে মো. জমির রহমান, মধুরাপুর বাজারে স্বপন আহমদ চৌধুরী। রাজানগর ইউনিয়নের রাজানগর বাজারে তানভীর রহমান, গচিয়া বাজারে লিটন মিয়া। চরনারচর ইউনিয়নের চরনারচর বাজারে লিটন বৈদ্য, শ্যামারচর বাজারে তোফিকুল ইসলাম।সরমঙ্গল ইউনিয়নের কল্যাণী বাজারে নিপাশ তালুকদার, নাচনী বাজারে রায়হান মিয়া। করিমপুর ইউনিয়নের টুকদিরাই বাজারে আশিকুর রহমান, টানাখালী বাজারে আবুল হোসেন। জগদল ইউনিয়নের কলিয়ারকাপন বাজারে মো. সুমন মিয়া চৌধুরী, হুসেনপুর বাজারে মো. আবুল লেইছ। তাড়ল ইউনিয়নের ধল বাজারে নূরে আলম সিদ্দিকী, টেলিফোন বাজারে মো. নাঈম মিয়া। কুলঞ্জ ইউনিয়নের তারাপাশা বাজারে মো. শাহিন মিয়া, আকিলশাহ বাজারে মো. নাসির উদ্দিন।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সনজীব সরকার বলেন, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি একটি রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ, যা দরিদ্র ও স্বল্প আয়ের মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। এই প্রক্রিয়া যাতে নিরপেক্ষ, স্বচ্ছ এবং অভিযোগমুক্ত হয়, সেজন্য আমরা এবার উন্মুক্ত লটারির মাধ্যমে ডিলার নির্বাচন করেছি। আমরা প্রাথমিক আবেদন যাচাই-বাছাই করে কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় মাঠপর্যায়ে তদন্ত করেছি। গণশুনানি ও সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদন বিশ্লেষণের পর আজ লটারির মাধ্যমে তালিকা চূড়ান্ত করা হয়। তবে এটি চূড়ান্ত নয় কোনো প্রকার বড় ধরনের অভিযোগ প্রমাণিত হলে পুনঃতদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সরকার এ বিষয়ে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতিতে রয়েছে। তিনি আরও বলেন, আমরা চাই এ কর্মসূচির মাধ্যমে কেউ যেন অনিয়মের শিকার না হন কিংবা অবৈধ সুবিধা নিতে না পারেন। দরিদ্র জনগণের জন্য নির্ধারিত এই চাল সঠিকভাবে বিতরণে আমরা সবসময় সতর্ক আছি। পরবর্তী সময়ে ডিলারদের কার্যক্রম নিয়মিতভাবে মনিটর করা হবে এবং কোনো অনিয়ম পেলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

উল্লেখ্য, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় প্রতি মাসে নির্ধারিত পরিমাণ চাল নির্ধারিত মূল্যে ডিলারদের মাধ্যমে বিতরণ করা হয়। ফলে এসব ডিলারের নির্ভরযোগ্যতা ও দায়িত্বশীলতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।