লন্ডন ০১:৩৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দাফনের ১৭ দিন পর জীবিত উদ্ধার

সিলেটে নিখোঁজের পর লাশ শনাক্ত করে দাফন করা হলেও রবিউল ইসলাম নাইম (১৪)কে জীবিত উদ্ধার হয়েছেন।

ওসমানীনগর উপজেলার গোয়ালাবাজার এলাকার গদিয়াচর গ্রামের কনাই মিয়ার ছেলে রবিউল ইসলাম নাইম (১৪) নিখোঁজ হওয়ার পর তার পরিবার লাশ শনাক্ত করলেও শেষ পর্যন্ত তাকে জীবিত উদ্ধার করেছে পুলিশ।

জানা গেছে, গোয়ালাবাজার সংলগ্ন ব্রাহ্মণগ্রাম সুপ্রিম ফিলিং স্টেশন মার্কেটের বগুড়া রেস্টুরেন্টের কর্মচারী ছিল রবিউল। গত ২৬ জুলাই রেস্টুরেন্ট থেকে সে নিখোঁজ হয়। এরপর ৩ আগস্ট মৌলভীবাজারের কুলাউড়া রেলস্টেশনের পাশের একটি ডোবা থেকে এক কিশোরের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। খবর পেয়ে রবিউলের পরিবার লাশটি তাদের ছেলের বলে শনাক্ত করেন।

এসময় রবিউলের পরিবার অভিযোগ করে, বগুড়া রেস্টুরেন্টের মালিক বুলবুল মিয়া রবিউলকে হত্যা করে কুলাউড়ায় লাশ ফেলে রেখেছেন। পরে লাশ উদ্ধারের পর ওসমানীনগর ও কুলাউড়া থানায় মামলা করতে চাইলে প্রথমে দুটি থানাই গড়িমসি করে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ৬ আগস্ট লাশ নিয়ে রবিউলের মা ও স্বজনরা সিলেট-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করেন।

অবশেষে শুক্রবার (২২ আগস্ট) হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার সৈয়দপুর এলাকায় রবিউলকে জীবিত অবস্থায় পাওয়া যায়। পুলিশ জানিয়েছে, ওই এলাকায় তার নানার বাড়ি। পরিবারের লোকজনই তাকে খুঁজে পেয়ে পুলিশকে খবর দেন। পরে কুলাউড়া থানাপুলিশ রবিউলকে হেফাজতে নিয়ে শনিবার মৌলভীবাজার আদালতে তার জবানবন্দি রেকর্ডের জন্য পাঠায়।

কুলাউড়া থানার ওসি মো. ওমর ফারুক জানান, রবিউল আত্মগোপনে ছিল। পরিবারের সদস্যরা তাকে পেয়ে খবর দেওয়ার পর পুলিশ হেফাজতে নেয়। তিনি বলেন, আগের লাশ উদ্ধার ও দায়েরকৃত মামলার বিষয়ে আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ট্যাগ:
জনপ্রিয়

দাফনের ১৭ দিন পর জীবিত উদ্ধার

প্রকাশের সময়: ০২:৩৪:৩৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৫

সিলেটে নিখোঁজের পর লাশ শনাক্ত করে দাফন করা হলেও রবিউল ইসলাম নাইম (১৪)কে জীবিত উদ্ধার হয়েছেন।

ওসমানীনগর উপজেলার গোয়ালাবাজার এলাকার গদিয়াচর গ্রামের কনাই মিয়ার ছেলে রবিউল ইসলাম নাইম (১৪) নিখোঁজ হওয়ার পর তার পরিবার লাশ শনাক্ত করলেও শেষ পর্যন্ত তাকে জীবিত উদ্ধার করেছে পুলিশ।

জানা গেছে, গোয়ালাবাজার সংলগ্ন ব্রাহ্মণগ্রাম সুপ্রিম ফিলিং স্টেশন মার্কেটের বগুড়া রেস্টুরেন্টের কর্মচারী ছিল রবিউল। গত ২৬ জুলাই রেস্টুরেন্ট থেকে সে নিখোঁজ হয়। এরপর ৩ আগস্ট মৌলভীবাজারের কুলাউড়া রেলস্টেশনের পাশের একটি ডোবা থেকে এক কিশোরের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। খবর পেয়ে রবিউলের পরিবার লাশটি তাদের ছেলের বলে শনাক্ত করেন।

এসময় রবিউলের পরিবার অভিযোগ করে, বগুড়া রেস্টুরেন্টের মালিক বুলবুল মিয়া রবিউলকে হত্যা করে কুলাউড়ায় লাশ ফেলে রেখেছেন। পরে লাশ উদ্ধারের পর ওসমানীনগর ও কুলাউড়া থানায় মামলা করতে চাইলে প্রথমে দুটি থানাই গড়িমসি করে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ৬ আগস্ট লাশ নিয়ে রবিউলের মা ও স্বজনরা সিলেট-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করেন।

অবশেষে শুক্রবার (২২ আগস্ট) হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার সৈয়দপুর এলাকায় রবিউলকে জীবিত অবস্থায় পাওয়া যায়। পুলিশ জানিয়েছে, ওই এলাকায় তার নানার বাড়ি। পরিবারের লোকজনই তাকে খুঁজে পেয়ে পুলিশকে খবর দেন। পরে কুলাউড়া থানাপুলিশ রবিউলকে হেফাজতে নিয়ে শনিবার মৌলভীবাজার আদালতে তার জবানবন্দি রেকর্ডের জন্য পাঠায়।

কুলাউড়া থানার ওসি মো. ওমর ফারুক জানান, রবিউল আত্মগোপনে ছিল। পরিবারের সদস্যরা তাকে পেয়ে খবর দেওয়ার পর পুলিশ হেফাজতে নেয়। তিনি বলেন, আগের লাশ উদ্ধার ও দায়েরকৃত মামলার বিষয়ে আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।