লন্ডন ০১:৩৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সুনামগঞ্জে আদালত চত্বর থেকে নবম শ্রেণির ছাত্রী অপহরণের অভিযোগ

সুনামগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত চত্বর থেকে নবম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে দ্বিতীয়বারের মতো অপহরণের অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (২৭ আগস্ট) বিকেলে এ ঘটনা ঘটে বলে ভুক্তভোগী পরিবারের দাবি।

অপহৃতা ধর্মপাশা উপজেলার পাইকুরাটি ইউনিয়নের একটি গ্রামের বাসিন্দা ও বাদশাগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী। বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) দুপুরে নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করে পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, একই গ্রামের হাবিকুল ও তার সহযোগীরা আদালত প্রাঙ্গণ থেকে ছাত্রীটিকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায়।

লিখিত বক্তব্যে জানানো হয়, দীর্ঘদিন ধরে চকিয়াচাপুর গ্রামের আইজল মিয়ার ছেলে মোবারক ছাত্রীটিকে উত্ত্যক্ত করত। বিষয়টি জানাজানি হলে গত ১৯ জুন রাতে মোবারকসহ কয়েকজন প্রথমবার ওই ছাত্রীকে অপহরণ করে। এ ঘটনায় মেয়ের বাবা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। পরে গত সোমবার পুলিশ ছাত্রীটিকে উদ্ধার করে এবং মোবারককে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়।

পরদিন ছাত্রীটিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য সুনামগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয় এবং বুধবার আদালত তাকে বাবার জিম্মায় দেন। তবে আদালত চত্বরে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা মোবারকের চাচা হাবিকুল ও তার সহযোগীরা মেয়ের বাবাকে মারধর করে পুনরায় ছাত্রীটিকে অপহরণ করে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ পরিবারের।

চকিয়াচাপুর গ্রামের প্রত্যক্ষদর্শী আলেফর খান বলেন, আদালত চত্বরে হাবিকুলসহ ১২-১৪ জন অপেক্ষা করছিল। তারা মেয়ের বাবাকে মারধর করে জোর করে মেয়েটিকে নিয়ে যায় আমি নিজ চোখে দেখেছি।

অপহৃতার বাবা বলেন, আদালত আমার জিম্মায় মেয়েকে দিলেও হাবিকুল ও তার লোকজন আমাকে মারধর করে মেয়েকে তুলে নিয়ে গেছে। এরপর থেকে তার কোনো খোঁজ পাচ্ছি না।

তবে অভিযুক্ত হাবিকুল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমার ভাতিজা (মোবারক) এখন কারাগারে আছে। ওই মেয়ে পালিয়েছে না কি করেছে আমরা জানি না। বরং বুধবার বিকেলে মেয়ের পরিবারের লোকজন আমাদের বাড়িতে হামলা চালিয়েছে। এ ঘটনায় আমরা থানায় অভিযোগ দিয়েছি।

ধর্মপাশা থানার ওসি মোহাম্মদ এনামুল হক বলেন, ছাত্রীটি পুনরায় অপহৃত হয়েছে এমন কোনো লিখিত অভিযোগ আমরা পাইনি। তবে মোবারকের বাড়িতে হামলার অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

ট্যাগ:
জনপ্রিয়

সুনামগঞ্জে আদালত চত্বর থেকে নবম শ্রেণির ছাত্রী অপহরণের অভিযোগ

প্রকাশের সময়: ১১:২৪:৩১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ অগাস্ট ২০২৫

সুনামগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত চত্বর থেকে নবম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে দ্বিতীয়বারের মতো অপহরণের অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (২৭ আগস্ট) বিকেলে এ ঘটনা ঘটে বলে ভুক্তভোগী পরিবারের দাবি।

অপহৃতা ধর্মপাশা উপজেলার পাইকুরাটি ইউনিয়নের একটি গ্রামের বাসিন্দা ও বাদশাগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী। বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) দুপুরে নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করে পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, একই গ্রামের হাবিকুল ও তার সহযোগীরা আদালত প্রাঙ্গণ থেকে ছাত্রীটিকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায়।

লিখিত বক্তব্যে জানানো হয়, দীর্ঘদিন ধরে চকিয়াচাপুর গ্রামের আইজল মিয়ার ছেলে মোবারক ছাত্রীটিকে উত্ত্যক্ত করত। বিষয়টি জানাজানি হলে গত ১৯ জুন রাতে মোবারকসহ কয়েকজন প্রথমবার ওই ছাত্রীকে অপহরণ করে। এ ঘটনায় মেয়ের বাবা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। পরে গত সোমবার পুলিশ ছাত্রীটিকে উদ্ধার করে এবং মোবারককে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়।

পরদিন ছাত্রীটিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য সুনামগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয় এবং বুধবার আদালত তাকে বাবার জিম্মায় দেন। তবে আদালত চত্বরে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা মোবারকের চাচা হাবিকুল ও তার সহযোগীরা মেয়ের বাবাকে মারধর করে পুনরায় ছাত্রীটিকে অপহরণ করে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ পরিবারের।

চকিয়াচাপুর গ্রামের প্রত্যক্ষদর্শী আলেফর খান বলেন, আদালত চত্বরে হাবিকুলসহ ১২-১৪ জন অপেক্ষা করছিল। তারা মেয়ের বাবাকে মারধর করে জোর করে মেয়েটিকে নিয়ে যায় আমি নিজ চোখে দেখেছি।

অপহৃতার বাবা বলেন, আদালত আমার জিম্মায় মেয়েকে দিলেও হাবিকুল ও তার লোকজন আমাকে মারধর করে মেয়েকে তুলে নিয়ে গেছে। এরপর থেকে তার কোনো খোঁজ পাচ্ছি না।

তবে অভিযুক্ত হাবিকুল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমার ভাতিজা (মোবারক) এখন কারাগারে আছে। ওই মেয়ে পালিয়েছে না কি করেছে আমরা জানি না। বরং বুধবার বিকেলে মেয়ের পরিবারের লোকজন আমাদের বাড়িতে হামলা চালিয়েছে। এ ঘটনায় আমরা থানায় অভিযোগ দিয়েছি।

ধর্মপাশা থানার ওসি মোহাম্মদ এনামুল হক বলেন, ছাত্রীটি পুনরায় অপহৃত হয়েছে এমন কোনো লিখিত অভিযোগ আমরা পাইনি। তবে মোবারকের বাড়িতে হামলার অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।