সুনামগঞ্জে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের কার্যনির্বাহী সদস্য ও সুনামগঞ্জ জেলা শাখার সহ-সভাপতি মাওলানা মুশতাক আহমদ গাজীনগরীর (৫২) হত্যা মামলায় জমিয়তের অপর পক্ষের নেতা এম আব্দুল হাফিজকে ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে দিরাই আমল গ্রহণকারী জুডিশিয়াল আদালতে তাকে হাজির করা হলে বিচারক এফ এম সাফায়েত সালাম পুলিশের আবেদনের প্রেক্ষিতে ৩ দিনের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শেরে নূর আলী রিমান্ড মঞ্জুরের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আমাদের প্রিয় ব্যাক্তি গাজীনগরী হুজুরের জন্য আজ শতাধিক আইনজীবী আদালতে দাঁড়িয়েছিলাম, আমরা আশা করি, এই হত্যার আসল রহস্য উদঘাটন হবে। আদালত আসামীর ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
আব্দুল হাফিজ শান্তিগঞ্জ উপজেলার দরগাপুর গ্রামের আলিফ পাঠানের ছেলে। তিনি উপজেলা জমিয়তের সাধারণ সম্পাদক এবং সুনামগঞ্জ-৩ (জগন্নাথপুর-শান্তিগঞ্জ) আসনে জমিয়তের একাংশের সম্ভাব্য সংসদ সদস্য প্রার্থী সৈয়দ তালহা আলমের রাজনৈতিক উপদেষ্টা।
এদিকে, আলোচিত মুশতাক হত্যার এজাহারভুক্ত আসামির ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর রায়ের পর খুনিদের ফাঁসির দাবিতে আদালত চত্বরে শত শত তৌহিদী জনতা বিক্ষোভ করেন। পরে সেখান থেকে জমিয়তের বিক্ষুদ্ধ নেতাকর্মীরা একটি মিছিল করে ট্রাফিক পয়েন্টে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়।
সমাবেশে জমিয়তের সুনামগঞ্জ জেলা সিনিয়র সহ-সভাপতি মাওলানা আনোয়ারুল ইসলামের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক মাওলানা তৈয়্যিবুর রহমান চৌধুরী, সুনামগঞ্জ-৩ আসনে জমিয়ত মনোনীত প্রার্থী মাওলানা হাম্মাদ আহমদ গাজীনগরী, জেলা জমিয়তের সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা রফিক আহমদ উলাশনগরী, মাওলানা আরশাদ নোমান, যুবনেতা ত্বোহা হোসাইন প্রমুখ।
মাওলানা মুশতাক আহমদ গাজীনগরীর হত্যা মামলায় সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) ভোরে সিলেট থেকে অভিযুক্ত এম আব্দুল হাফিজকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে ওইদিন বিকেলে দিরাই আদালতের বিচারক সাফায়েত সালামের আদালতে তাকে সোপর্দ করা হলে তাকে জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দেন। এর আগে গ্রেপ্তার আসামিকে সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হয়।
দলীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গত ২ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ১০টার দিকে মাওলানা মুশতাক ফোন করে তার স্ত্রী রুবি বেগমকে জানিয়েছিলেন, এক ঘণ্টার মধ্যে বাড়ি ফিরবেন। কিন্তু তিনি বাড়িতে ফিরে না আসায় আত্মীয়-স্বজনেরা তার খোঁজ করতে থাকেন। তার খোঁজ না পাওয়ায় পরের দিন শান্তিগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন স্ত্রী রুবি বেগম। নিখোঁজের তিন দিন পর শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকালে দিরাই উপজেলার শরিফপুর ইটভাটা এলাকার নদীতে মাওলানা মুশতাকের ভাসমান লাশ দেখতে পায় স্থানীয়রা। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তার লাশ উদ্ধার করে।
কালনী ভিউ ডেস্কঃ 









