লন্ডন ১২:০১ অপরাহ্ন, সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দিরাইয়ে নাছির চৌধুরীর জনসভায় অনুপস্থিত শীর্ষ নেতৃবৃন্দ

{"remix_data":[],"remix_entry_point":"challenges","source_tags":["local"],"origin":"unknown","total_draw_time":0,"total_draw_actions":0,"layers_used":0,"brushes_used":0,"photos_added":0,"total_editor_actions":{},"tools_used":{},"is_sticker":false,"edited_since_last_sticker_save":false,"containsFTESticker":false}

দিরাইয়ে ৩১ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে বিএনপি এক জনসভা করেছে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন সুনামগঞ্জ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য নাছির উদ্দিন চৌধুরী। তাঁর সঙ্গে ছিলেন দুই মেয়ে। তবে উপজেলা ও পৌর বিএনপির ব্যানারে আয়োজিত এ সভায় দলের দায়িত্বশীলদের অনেককেই অনুপস্থিত দেখা গেছে। বিষয়টি স্থানীয়ভাবে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

সূত্র জানায়, কয়েকমাস ধরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় অবস্থান করছেন নাছির উদ্দিন চৌধুরী। সম্প্রতি তিনি জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য আব্দুর রশিদ চৌধুরীকে ঢাকায় ডেকে পাঠান এবং দিরাইয়ে জনসভা আয়োজনের নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে জনসভায় উপজেলা বিএনপির একজন যুগ্ম আহবায়ক ও সাবেক এক ইউনিয়ন চেয়ারম্যানকেও রাখতে বলেন। এর পরপরই দিরাই এসে সভার প্রস্তুতি নেন আব্দুর রশিদ চৌধুরী।

কিন্তু বুধবারের সভায় উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়কসহ অনেক নেতাকে দেখা যায়নি। সভায় সভাপতিত্ব করেন আব্দুর রশিদ চৌধুরী এবং সঞ্চালনা করেন সাবেক ছাত্রনেতা সাংবাদিক রুদ্র মিজান। বক্তব্য দেন উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হুমায়ুন কবির তালুকদার, সদস্য আবদাই মিয়া, পৌর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুক সর্দারসহ কয়েকজন নেতা। তবে মঞ্চে উপস্থিত অনেক নেতাই বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ পাননি।

বিএনপির একাধিক নেতা অভিযোগ করেন, নাছির উদ্দিন চৌধুরীর বিরোধীদের মঞ্চে রাখা এবং অনেকে আমন্ত্রণ না পাওয়া এসব কারণে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। আবার যাঁরা আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন, তাঁদের অনেকেই অংশ নেননি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পৌর বিএনপির এক নেতা বলেন, নাছির উদ্দিন চৌধুরীর জনপ্রিয়তা আকাশছোঁয়া। কিন্তু তিনি গুরুতর অসুস্থ। তাঁকে ব্যবহার করে কেউ কেউ ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিল করতে চাইছে।

এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনাও চলছে। পরিবেশবাদী ফারহানুল হক লিখেছেন, নাছির উদ্দিন চৌধুরী শুধু শারীরিকভাবে নয়, মানসিকভাবেও অক্ষম হয়ে গেছেন। আমরা দিরাইবাসী কাঠের পুতুল চাই না। তার এ লেখা নাছির উদ্দিন চৌধুরীর ছোটভাই মিলন চৌধুরীও শেয়ার করেন।

এ বিষয়ে উপজেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য ইফতেখার মোঃ নাবিল চৌধুরী বলেন, উপজেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী যেকোনো কর্মসূচি সবাই মিলে এক ব্যানারে আয়োজন করার কথা ছিল। কিন্তু আজ তা মানা হয়নি। আমাদের নেতা নাছির চৌধুরীকে সামনে রেখে যদি উপজেলা বিএনপির আহবায়ক, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়কসহ সবাইকে নিয়ে জনসভা আয়োজন করা হতো, তাহলে ভালো হতো। তিনি আরও জানান, বৃহস্পতিবার থেকে ইউনিয়ন পর্যায়ে বিএনপির কাউন্সিল শুরু হচ্ছে, তাই উপজেলা কমিটির বেশিরভাগ নেতাই সম্মেলন আয়োজন নিয়ে ব্যস্ত এজন্য অনেকে হয়তো আমন্ত্রণ পেলেও আসতে পারেননি।

সব মিলিয়ে নাছির উদ্দিন চৌধুরীর এ জনসভা স্থানীয় বিএনপির ভেতরকার সমীকরণ নতুন করে আলোচনায় তুলেছে।

ট্যাগ:
জনপ্রিয়

দিরাইয়ে নাছির চৌধুরীর জনসভায় অনুপস্থিত শীর্ষ নেতৃবৃন্দ

প্রকাশের সময়: ০৮:০০:৪৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

দিরাইয়ে ৩১ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে বিএনপি এক জনসভা করেছে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন সুনামগঞ্জ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য নাছির উদ্দিন চৌধুরী। তাঁর সঙ্গে ছিলেন দুই মেয়ে। তবে উপজেলা ও পৌর বিএনপির ব্যানারে আয়োজিত এ সভায় দলের দায়িত্বশীলদের অনেককেই অনুপস্থিত দেখা গেছে। বিষয়টি স্থানীয়ভাবে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

সূত্র জানায়, কয়েকমাস ধরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় অবস্থান করছেন নাছির উদ্দিন চৌধুরী। সম্প্রতি তিনি জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য আব্দুর রশিদ চৌধুরীকে ঢাকায় ডেকে পাঠান এবং দিরাইয়ে জনসভা আয়োজনের নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে জনসভায় উপজেলা বিএনপির একজন যুগ্ম আহবায়ক ও সাবেক এক ইউনিয়ন চেয়ারম্যানকেও রাখতে বলেন। এর পরপরই দিরাই এসে সভার প্রস্তুতি নেন আব্দুর রশিদ চৌধুরী।

কিন্তু বুধবারের সভায় উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়কসহ অনেক নেতাকে দেখা যায়নি। সভায় সভাপতিত্ব করেন আব্দুর রশিদ চৌধুরী এবং সঞ্চালনা করেন সাবেক ছাত্রনেতা সাংবাদিক রুদ্র মিজান। বক্তব্য দেন উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হুমায়ুন কবির তালুকদার, সদস্য আবদাই মিয়া, পৌর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুক সর্দারসহ কয়েকজন নেতা। তবে মঞ্চে উপস্থিত অনেক নেতাই বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ পাননি।

বিএনপির একাধিক নেতা অভিযোগ করেন, নাছির উদ্দিন চৌধুরীর বিরোধীদের মঞ্চে রাখা এবং অনেকে আমন্ত্রণ না পাওয়া এসব কারণে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। আবার যাঁরা আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন, তাঁদের অনেকেই অংশ নেননি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পৌর বিএনপির এক নেতা বলেন, নাছির উদ্দিন চৌধুরীর জনপ্রিয়তা আকাশছোঁয়া। কিন্তু তিনি গুরুতর অসুস্থ। তাঁকে ব্যবহার করে কেউ কেউ ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিল করতে চাইছে।

এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনাও চলছে। পরিবেশবাদী ফারহানুল হক লিখেছেন, নাছির উদ্দিন চৌধুরী শুধু শারীরিকভাবে নয়, মানসিকভাবেও অক্ষম হয়ে গেছেন। আমরা দিরাইবাসী কাঠের পুতুল চাই না। তার এ লেখা নাছির উদ্দিন চৌধুরীর ছোটভাই মিলন চৌধুরীও শেয়ার করেন।

এ বিষয়ে উপজেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য ইফতেখার মোঃ নাবিল চৌধুরী বলেন, উপজেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী যেকোনো কর্মসূচি সবাই মিলে এক ব্যানারে আয়োজন করার কথা ছিল। কিন্তু আজ তা মানা হয়নি। আমাদের নেতা নাছির চৌধুরীকে সামনে রেখে যদি উপজেলা বিএনপির আহবায়ক, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়কসহ সবাইকে নিয়ে জনসভা আয়োজন করা হতো, তাহলে ভালো হতো। তিনি আরও জানান, বৃহস্পতিবার থেকে ইউনিয়ন পর্যায়ে বিএনপির কাউন্সিল শুরু হচ্ছে, তাই উপজেলা কমিটির বেশিরভাগ নেতাই সম্মেলন আয়োজন নিয়ে ব্যস্ত এজন্য অনেকে হয়তো আমন্ত্রণ পেলেও আসতে পারেননি।

সব মিলিয়ে নাছির উদ্দিন চৌধুরীর এ জনসভা স্থানীয় বিএনপির ভেতরকার সমীকরণ নতুন করে আলোচনায় তুলেছে।