নিজস্ব প্রতিবেদক: 
সুনামগঞ্জ-২ (দিরাই-শাল্লা) আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী, জেলা বিএনপির সাবেক উপদেষ্টা ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় প্রাথমিক মনোনয়নপ্রাপ্ত এডভোকেট তাহির রায়হান চৌধুরী পাবেল বলেছেন, বিএনপি রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় গেলে দিরাই-শাল্লার আর্থসামাজিক উন্নয়নে আমূল পরিবর্তন আসবে, অবহেলিত এ জনপদ আর পিছিয়ে থাকবে না।
শুক্রবার বিকেলে উপজেলার রফিনগর ইউনিয়নের বাংলা বাজারে ইউনিয়ন বিএনপি আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এডভোকেট পাবেল বলেন, ছাত্রজীবনে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে দিরাই উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি হিসেবে রাজনীতির পথচলা শুরু করি। দলের বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করে আজও সংগঠনের সঙ্গে আছি। দলের দুঃসময়ে নেতাকর্মীদের পাশে থেকেছি, আইনি সহায়তা দিয়েছি এবং কেন্দ্রীয় প্রতিটি কর্মসূচি নিষ্ঠার সঙ্গে বাস্তবায়ন করেছি।
তিনি বলেন, গত ১৭ বছর ধরে ফ্যাসিস্ট সরকারের নির্যাতন ও মামলার ভয় উপেক্ষা করে রাজপথে ছিলাম। এখন আমি আশাবাদী দল আমার এই ত্যাগ ও নিষ্ঠার সঠিক মূল্যায়ন করবে।
দিরাই-শাল্লার উন্নয়ন প্রসঙ্গে এডভোকেট পাবেল আরও বলেন, স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরও আমাদের এ অঞ্চলে কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন হয়নি। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে দেশনায়ক তারেক রহমানের নেতৃত্বে অবহেলিত অঞ্চলগুলোকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে উন্নয়ন করা হবে। দিরাই-শাল্লা আর পিছিয়ে থাকবে না।
তিনি সবাইকে আহ্বান জানিয়ে বলেন, এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে সকল ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে ধানের শীষের প্রার্থীকে বিজয়ী করতে হবে। শহীদ জিয়ার স্বপ্ন ও দেশনায়ক তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নই হবে আমাদের লক্ষ্য।
সভায় সভাপতিত্ব করেন রফিনগর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জাহেদ মিয়া এবং পরিচালনা করেন যুবদল নেতা জুনেদ মিয়া। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার আব্দুল কাইয়ূম, দিরাই পৌর বিএনপির আহ্বায়ক মিজানুর রহমান, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সোয়েব হাসান, দিরাই উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক সামছুল ইসলাম সরদার খেজুর, পৌর বিএনপির সদস্য বাবুল সরদার ও মঞ্জু মিয়া, উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব লিপন হাসান চৌধুরী, পৌর যুবদলের আহ্বায়ক মহিউদ্দিন মিলাদ, জেলা তরুণ দলের আহ্বায়ক আবুল ফজল আকাশ, উপজেলা তরুণ দলের সাবেক সভাপতি রেজাউল করিম চৌধুরী, উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আবু হাসান চৌধুরী সাজুসহ বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
