সুনামগঞ্জের প্রবীণ রাজনীতিবিদ, সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি, দিরাইয়ের কৃতি সন্তান আলহাজ্ব মতিউর রহমান ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)।
শনিবার সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল প্রায় ৯০ এর অধিক।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, অসুস্থতার কারণে সম্প্রতি তাঁকে ল্যাবএইড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই আজ সকালে তিনি ইন্তেকাল করেন। মরহুমের জানাজার নামাজ আজ আসরের পরপরই মহাখালী ডিওএইচএস মসজিদ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হবে। পরে কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন হবে।
দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের অধিকারী আলহাজ্ব মতিউর রহমান ছিলেন সুনামগঞ্জ জেলার আওয়ামী রাজনীতির এক পরিচিত মুখ। ছাত্রলীগ দিয়ে তাঁর রাজনৈতিক জীবন শুরু। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে পাঁচ দশকেরও বেশি সময় দল ও এলাকার মানুষের কল্যাণে কাজ করে গেছেন তিনি। রাজনীতিতে তাঁর পরিমিতিবোধ, অভিজ্ঞতা এবং সংগঠন গঠনে ভূমিকা জেলা আ.লীগে বিশেষভাবে স্মরণীয়।
২০০৯ সালের উপনির্বাচনে সুনামগঞ্জ-৪ (সদর–বিশ্বম্ভরপুর) আসন থেকে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এমপি হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে তিনি স্থানীয় উন্নয়ন, অবকাঠামো নির্মাণ, শিক্ষা ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেন।
দীর্ঘ সময় তিনি সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তাঁর নেতৃত্বে সংগঠনকে সুসংগঠিত করা, দলকে ঐক্যবদ্ধ রাখা এবং তৃণমূল পর্যায়ে সংগঠন বিস্তারে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। পরবর্তীতে জেলা আ.লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
দলীয় নেতাকর্মীদের মতে, মতিউর রহমান ছিলেন একজন অগ্রগামী, শান্ত স্বভাবের ও ঐক্যবদ্ধ রাজনীতির প্রবক্তা। জেলা রাজনীতিতে তিনি সবসময় ভারসাম্যপূর্ণ ও মিতব্যয়ী নেতৃত্বের উদাহরণ হিসেবে পরিচিত ছিলেন।
তার মৃত্যুতে সুনামগঞ্জ-জুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। জেলা আওয়ামী লীগ, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক সংগঠন ও স্থানীয় মানুষের পক্ষ থেকে গভীর শোক ও সমবেদনা জানানো হয়েছে। অনেক নেতা-কর্মী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাকে স্মরণ করে শোকবার্তা প্রকাশ করছেন।
পরিবারের পক্ষ থেকে সকলের কাছে মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া চাওয়া হয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ 
















