লন্ডন ০৭:১০ অপরাহ্ন, সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

এক বছরে সুনামগঞ্জের সড়কে ঝরেছে ৪৪ প্রাণ

 

নিরাপদ সড়কের জন্য পাঁচ বছর আগে দেশ কাঁপানো আন্দোলন করেছিলেন শিক্ষার্থীরা। তখন সরকারে দিক থেকে সড়ক নিরাপদ করতে নানা আশ্বাস দেওয়া হলেও দেশের সড়ক মহাসড়কে মৃত্যু মিছিল থামছেই না। ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে ২৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৩৬টি সড়ক দুর্ঘটনায় ঘটেছে। এতে প্রাণ গেছে ৪৪ জনের।

নিহতদের মধ্যে গীতিকার, সুরকার ও শিল্পী মতিউর রহমান হাসান (পাগল হাসান) রয়েছেন। প্রতিভাবান এই শিল্পীর মৃত্যু কাঁদিয়েছে দেশের সংস্কৃতিপ্রেমি মানুষদের। এছাড়া শিশু, শিক্ষক, ব্যাংকার, পুলিশ সদস্য, মৎস্যজীবী, ব্যবসায়ী, কৃষক, যানবাহনের চালক, বরযাত্রী সহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। আহতও হয়েছেন অসংখ্য মানুষ। এভাবে বছরের পর বছর দেশে মানুষের মৃত্যুর অন্যতম কারণ হয়ে উঠেছে সড়ক দুর্ঘটনা। রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, দেশে ৬২ শতাংশ দুর্ঘটনার কারণ যানবাহনের বেপরোয়া গতি। এছাড়া চালকদের অদক্ষতা, মহাসড়কে স্বল্পগতির যানবাহনের চলাচল, ফুটপাত হকারের দখলে থাকা, দুর্বল ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, গণপরিবহন খাতে চাঁদাবাজি এবং সড়ক ব্যবহারকারীদের মধ্যে অসচেতনতা দুর্ঘটনার পেছনে বিশেষভাবে দায়ী। বছরের শেষ পর্যায়ে দেখে নেওয়া যাক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনার আলোচিত খবরগুলো।
১ জানুয়ারি
বন্ধুর পাসর্পোট নেয়ার নেয়ার জন্য মোটরসাইকেল যোগে জুবায়ের আহমদ ও তার বন্ধু জাহিদুল সুনামগঞ্জ জেলা শহরে আসেন। সেখান থেকে বাড়ি ফেরার পথে বেলা ১১টার জগন্নাথপুর—সুনামগঞ্জ সড়কে ট্রাকের চাপায় সড়কে ঝড়ে জুবায়ের আহমদ’র প্রাণ।
২ জানুয়ারি
সুনামগঞ্জ—সিলেট সড়কের বড়কাপন এলাকায় একটি পিকআপ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশের গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে দুমড়ে—মুচড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় ৩ জনের। এরা হলেন— ব্যবসায়ী জামালগঞ্জ উপজেলার হটামারা গ্রামের আসাব উদ্দিন (৫০), দিরাই উপজেলার সাদিরপুর গ্রামের নুরুল হক (৪৫) ও শান্তিগঞ্জ উপজেলার উকারগাঁও গ্রামের আবদুল করিম (৫৭)।
১৫ জানুয়ারি
শান্তিগঞ্জ উপজেলার সিলেট—দিরাই আঞ্চলিক মহাসড়কের গাগলী এলাকায় বেপরোয়া বাসের ধাক্কায় আব্দুন নূর (৫৫) নামের এক পথচারী নিহত হন। নিহত ব্যক্তি গাগলী গ্রামের মৃত. আফিজ মিয়ার ছেলে।
১৮ জানুয়ারি
জগন্নাথপুরের সীমান্তবর্তী দিরাই উপজেলার জগদল ইউনিয়নের কামড়ী সেতুতে মাটি ভর্তি ট্রাক্টর উল্টে চালক আছকির মিয়ার (২৬) মৃত্যু হয়।
২১ জানুয়ারি
সুনামগঞ্জ—জগন্নাথপুর—ঢাকা আঞ্চলিক মহাসড়কের হবিবনগর এলাকায় মোটরসাইকেলের ধাক্কায় দর্জি জমশের আলী (৫৭) গুরুতর আহন হন। ২১ জানুয়ারি দুপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান তিনি।
৫ মার্চ
তাহিরপুরে সীমান্তে চারাগাঁও এলসি পয়েন্টের জিরো লাইনে কয়লা কুড়াতে গিয়ে ভারতীয় কয়লাবাহী ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে শিশু অনন্ত পাল (১২) মৃত্যু হয়।
৪ মার্চ
শান্তিগঞ্জে বরযাত্রীবাহী একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে রাহুল সরকার (১৬) নামে এক কিশোর নিহত হয়। এ ঘটনায় আহত হন অন্তত ১৫ জন। জানা যায়, হবিগঞ্জ থেকে বরসহ অর্ধশতাধিক যাত্রী নিয়ে দিরাই উপজেলা আসছিলো বাসটি। দিরাই মদনপুর সড়কের গাগলী নারাইনপুর এলাকায় পৌঁছালে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসটি খাদে পড়ে যায়।
৮ মার্চ
দোয়ারাবাজার—বাংলাবাজার ব্রিটিশ সড়কে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় রুশন আলী (৩০) নামের একজনের মৃত্যু হয়েছে। লামাসানীয়া মুদির দোকান পয়েন্টের স—মিলের সামনে একজন মহিলাকে বাঁচাতে গিয়ে সড়কের পাশের গাছের সাথে ধাক্কা লাগে মোটরসাইকেলের। এসময় ঘটনাস্থলেই রুশন আলীর মৃত্যু হয়। মৃত রুশন আলী (৩০) উপজেলার নরসিংপুর ইউনিয়নের দ্বীনেরটুক গ্রামের মিরন মিয়ার পুত্র।
১৭ মার্চ
জগন্নাথপুর উপজেলার পাইলগাঁও ইউনিয়নের আলাঘদি গ্রামে ট্রলি উল্টে সুহেল মিয়া (৩৭) নামের চালকের মৃত্যু হয়।
২৫ মার্চ
দোয়ারাবাজার উপজেলার মহব্বতপুর বাজারের নিজ বাসার সামনে পিকআপের চাপায় রামিম হোসেন (৩) মৃত্যু হয়।
৩১ মার্চ
শান্তিগঞ্জ উপজেলার সিলেট—সুনামগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কে প্রাইভেট কার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বৈদ্যুতিক খুঁটির সাথে ধাক্কা লেগে খাদে পড়ে এএসআই মহিউদ্দিন আহমদ (৩৫) নামে এক পুলিশ সদস্য মারা যান।
১ এপ্রিল
দিরাই উপজেলার ধল রোডে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৮ মাসের শিশু নাজিয়া বাঁচলেও, মা ফাহিমা বেগম (৩৭) মৃত্যু হয়।
২ এপ্রিল
ছাতক—গোবিন্দগঞ্জ সড়কের মিত্রগাঁও বঙ্গবন্ধু সড়ক সংলগ্ন এলাকায় মৃত স্বজনকে শেষ দেখা দেখতে গিয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় রাহেলা বেগম (২৫) নামের এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়।
৫ এপ্রিল
নাতনীর বাড়ি ইফতার দিয়ে ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় আরেক নাতনি সহ দাদী নিহত হয়েছেন। নিহত দাদী শামসুন্নাহার (৭৫) ও নাতনি মোছা জান্নাত (১৪) দিরাই উপজেলার তাড়ল ইউনিয়নের তলবাউসী গ্রামের আতাউর রহমানের মা ও ছোট মেয়ে।
১৮ এপ্রিল
গীতিকার, সুরকার ও শিল্পী মতিউর রহমান হাসান (পাগল হাসান) সড়ক দুঘটনায় মারা যান। ১৮ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সকালে সুনামগঞ্জ‘র ছাতকের সুরমা ব্রিজ এলাকায় বাস—সিএনজি সংঘর্ষে তিনি মারা যান। তিনি সিএনজির যাত্রী ছিলেন। এসময় তার সঙ্গে থাকা ছাত্তার নামে একজনও ঘটনাস্থলে মারা যায়। সিএনজির চালকসহ ৩ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। এই দুর্ঘটনা পুরো দেশের সংস্কৃতি প্রেমিদের কাঁদায়।
২২ এপ্রিল
পৌর শহরের নতুন হাছননগর ভুবির পয়েন্টে মাহিন্দ্র ট্রাক ও সিএনজি অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে সিএনজি অটোরিকশার যাত্রী ওয়েজখালী এলাকার সুরেশ রবি দাস (৪০) মৃত্যু হয়। আহত হয়েছেন অটোরিকশায় থাকা আরও দুই জন।
২৫ এপ্রিল
সিলেট কোম্পানীগঞ্জে ট্রাক ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার সংঘর্ষে দুইজন নিহত ও চারজন আহত হয়েছেন। ছাতক উপজেলার লুবিয়া গ্রামের হারুনুর রশিদ ও নেত্রকোনার কমলাকান্দা উপজেলার বিশরপাশার গ্রামের বাসিন্দা পার্থ শাহা নিহত হন।
১ মে
জামালগঞ্জে অটোরিক্সা চাপায় ফেনারবাক ইউনিয়নের ছয়হারা গ্রামের দিজরাজ তালুকদারের ছেলে শান্ত তালুকদার (৪) মৃত্যু হয়।
২৮ মে
সুনামগঞ্জ—সিলেট সড়কের গোবিন্দপুর এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান সোনালী ব্যাংকের অব. ম্যানেজার (প্রিন্সিপাল অফিসার) দীপক রঞ্জন চৌধুরী। রাতে গোবিন্দপুর এলাকায় ঝড়ের কবলে পড়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে কারটি যাত্রীসহ সড়কের পাশের পানিতে ডুবে যায়।
২৯ মে
জগন্নাথপুরে বেপোরোয়া গতিতে একটি মিনিবাস বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে নারীসহ ১০ জন আহত হন। সুনামগঞ্জ—জগন্নাথপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের যোগলনগর এলাকায় এই সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে।
৩ জুন
সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার পাগলা—জগন্নাথপুর সড়কে বাস—মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছে। ঘটনাস্থলে নিহত ব্যক্তির নাম শিব্বির আহমদ (৩৩) তিনি বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার ছাতারকোনা গ্রামের মৃত. আবু কালামের ছেলে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত মোটরসাইকেল আরোহী একই গ্রামের রিয়াজ উদ্দিনের ছেলে সাদ্দাম হোসেন (৩৫) কে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মারা যান।
১৩ জুন
সিলেটের বিশ্বনাথ থানার লামাকাজী সংলগ্ন এলাকায় লেগুনা—বাস সংঘর্ষে শান্তিগঞ্জ উপজেলা দরগাপাশা ইউনিয়নের পাইকাপন পশ্চিমপাড়া গ্রামের মৎস্যজীবী শিব্বির আহমদ ও শাহীন আহমদ মারা যান।
২৪ জুন
শান্তিগঞ্জ উপজেলার সিলেট—সুনামগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের শান্তিগঞ্জ এলাকার আবদুল মজিদ কলেজের পাশে ট্রাক চাপায় পিষ্ট হয়ে মরিয়ম বেগম নামের সাত বছরের এক শিশু কন্যার মৃত্যু হয়।
২৬ জুন
জগন্নাথপুর—ঢাকা আঞ্চলিক মহাসড়কের খাশিলা এলাকায় ট্রাক চাপায় অটোরিক্সায় দরিব মিয়া (৩০) মারা যান।
১৩ জুলাই
শ্বশুর বাড়ি থেকে বাবার বাড়ি যাওয়ার পথে সিএনজি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কে উল্টে যাওয়ায় মারা যান সাদিয়া (২৫)।
১০ আগস্ট
সিলেট—সুনামগঞ্জ সড়কের কৈতক পয়েন্টে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় মারা যান ছাতকের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্র নেতা ফেরদৌস আহমদ। তিনি গোবিন্দগঞ্জ—সৈদেরগাঁও ইউনিয়নের তকিপুর গ্রামের হারিছ আলীর ছেলে।
৭ অক্টোবর
শান্তিগঞ্জ উপজেলার পূর্ব পাগলা ইউনিয়নের দামোধরতপী মামদপুর এলাকায় সুনামগঞ্জ—সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান নাম সিরাজ মিয়া ওরফে বিরাট (৫০)। তিনি উপজেলার দামোধরতপী গ্রামের মৃত তেরাব আলীর ছেলে।
১২ অক্টোবর
দোয়ারাবাজার সদর ইউনিয়নের নৈনগাঁও গ্রামে ছাতক—দোয়ারাবাজার সড়কে দুই সিএনজির মুখোমুখি সংঘর্ষে ৭ জন আহত হন।
৯ নভেম্বর
ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সার ধাক্কায় গুরুতর আহত সুনামগঞ্জ পিটিআইয়ের প্রশিক্ষণার্থী রাজিব চৌধুরী (৩৪) মারা যান। রাজিবের বাড়ি শাল্লা উপজেলার নিয়ামতপুর গ্রামে।
১৭ নভেম্বর
তাহিরপুর বাজার—সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় সড়কে আনিসা (৭) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়। সে উপজেলার শ্রীপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের পাঠাবুকা গ্রামের শরিফুলের মেয়ে।
১৭ নভেম্বর
জামালগঞ্জ উপজেলার সাচনা—বেহেলী সড়কের রাজাপুর ব্রিজের পাশে অটোরিকশার ও মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে বেহেলী ইউনিয়নের আলীপুর গ্রামের মৃত. শুক্কুর মাহমুদের ছেলে আশিকনূর (৪৫) ও একই ইউনিয়নের বাগানী গ্রামের জামাল মিয়ার ছেলে সুলেমান মিয়া (৩২) মারা যান।
২৪ নভেম্বর
সুনামগঞ্জ—সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কে সদর উপজেলার নীলপুর বাজার এলাকায় ট্রাক—সিএনজির মুখোমুখি সংঘর্ষে শান্তিগঞ্জ উপজেলার জয়কলস ইউনিয়নের ইমামনগর গ্রামের মৃত আব্দুল কাহার’র স্ত্রী রাজিয়া বেগম (৫০) মারা যান। এ ঘটনায় আরও ৪ জন আহত হন।
১ ডিসেম্বর
সিলেটে—সুনামগঞ্জ সড়কে গ্যাস সিলিন্ডার ভর্তি একটি ট্রাক উল্টে সিএনজির উপর পড়ে চালক শিহাব উদ্দিন (২৬) নামের এক যুবকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। শিহাব উদ্দিন উপজেলার গোবিন্দগঞ্জ—সৈদেরগাঁও ইউনিয়নের বুড়াইরগাঁও হায়াতপুর গ্রামের মৃত. নুর ইসলামের ছেলে।
১৩ ডিসেম্বর
শান্তিগঞ্জ উপজেলার পাগলা বাজারে ট্রাক চাপায় জাকিরুল ইসলাম জাকির (২৪) মারা যান। জাকিরুল পশ্চিম পাগলা ইউনিয়নের শত্রুমর্দন খারাসাবাড়ির বাসিন্দা মরহুম আশকর আলীর ছেলে।
১৪ ডিসেম্বর
স্বজনদের চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফেরার পথে সিলেট—ঢাকা মহাসড়কের দক্ষিণ সুরমার লালারগাঁওয়ে যাত্রীবাহী বাস ও সিএনজি চালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে জগন্নাধপুরের দুই যুবক প্রাণ হারান। এরা হলেন— জগন্নাথপুর পৌরসভার আলখানাপাড় এলাকার আঞ্জব উল্লার ছেলে রুহুল আমিন রাহুল (২৬) ও একই উপজেলার ভবানিপুর এলাকার আব্দুস ছাত্তারের ছেলে আব্দুল মুকিত (৪০)।
২০ ডিসেম্বর
সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার বাঘের কোণা সড়ক এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন ছাতকের দুই ছাত্রদল কর্মী ও সিলেটের একজন। ছাতকের দুইজন হলেন— তাঁতিকোনা মহল্লার সৈয়দ জুনেদ আহমদের ছেলে পৌর ছাত্রদল কর্মী সৈয়দ মখছুদ হাসান মহান (১৮) ও একই উপজেলার ছৈলা—আফজালাবাদ ইউনিয়নের রাধানগর গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে ছাত্রদল কর্মী সায়েম আহমেদ (২০)।

ট্যাগ:

লিবিয়া থেকে ফিরিয়ে আনা হলো ১৭৩ বাংলাদেশিকে

এক বছরে সুনামগঞ্জের সড়কে ঝরেছে ৪৪ প্রাণ

প্রকাশের সময়: ০৬:৩৯:০৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪

 

নিরাপদ সড়কের জন্য পাঁচ বছর আগে দেশ কাঁপানো আন্দোলন করেছিলেন শিক্ষার্থীরা। তখন সরকারে দিক থেকে সড়ক নিরাপদ করতে নানা আশ্বাস দেওয়া হলেও দেশের সড়ক মহাসড়কে মৃত্যু মিছিল থামছেই না। ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে ২৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৩৬টি সড়ক দুর্ঘটনায় ঘটেছে। এতে প্রাণ গেছে ৪৪ জনের।

নিহতদের মধ্যে গীতিকার, সুরকার ও শিল্পী মতিউর রহমান হাসান (পাগল হাসান) রয়েছেন। প্রতিভাবান এই শিল্পীর মৃত্যু কাঁদিয়েছে দেশের সংস্কৃতিপ্রেমি মানুষদের। এছাড়া শিশু, শিক্ষক, ব্যাংকার, পুলিশ সদস্য, মৎস্যজীবী, ব্যবসায়ী, কৃষক, যানবাহনের চালক, বরযাত্রী সহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। আহতও হয়েছেন অসংখ্য মানুষ। এভাবে বছরের পর বছর দেশে মানুষের মৃত্যুর অন্যতম কারণ হয়ে উঠেছে সড়ক দুর্ঘটনা। রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, দেশে ৬২ শতাংশ দুর্ঘটনার কারণ যানবাহনের বেপরোয়া গতি। এছাড়া চালকদের অদক্ষতা, মহাসড়কে স্বল্পগতির যানবাহনের চলাচল, ফুটপাত হকারের দখলে থাকা, দুর্বল ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, গণপরিবহন খাতে চাঁদাবাজি এবং সড়ক ব্যবহারকারীদের মধ্যে অসচেতনতা দুর্ঘটনার পেছনে বিশেষভাবে দায়ী। বছরের শেষ পর্যায়ে দেখে নেওয়া যাক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনার আলোচিত খবরগুলো।
১ জানুয়ারি
বন্ধুর পাসর্পোট নেয়ার নেয়ার জন্য মোটরসাইকেল যোগে জুবায়ের আহমদ ও তার বন্ধু জাহিদুল সুনামগঞ্জ জেলা শহরে আসেন। সেখান থেকে বাড়ি ফেরার পথে বেলা ১১টার জগন্নাথপুর—সুনামগঞ্জ সড়কে ট্রাকের চাপায় সড়কে ঝড়ে জুবায়ের আহমদ’র প্রাণ।
২ জানুয়ারি
সুনামগঞ্জ—সিলেট সড়কের বড়কাপন এলাকায় একটি পিকআপ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশের গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে দুমড়ে—মুচড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় ৩ জনের। এরা হলেন— ব্যবসায়ী জামালগঞ্জ উপজেলার হটামারা গ্রামের আসাব উদ্দিন (৫০), দিরাই উপজেলার সাদিরপুর গ্রামের নুরুল হক (৪৫) ও শান্তিগঞ্জ উপজেলার উকারগাঁও গ্রামের আবদুল করিম (৫৭)।
১৫ জানুয়ারি
শান্তিগঞ্জ উপজেলার সিলেট—দিরাই আঞ্চলিক মহাসড়কের গাগলী এলাকায় বেপরোয়া বাসের ধাক্কায় আব্দুন নূর (৫৫) নামের এক পথচারী নিহত হন। নিহত ব্যক্তি গাগলী গ্রামের মৃত. আফিজ মিয়ার ছেলে।
১৮ জানুয়ারি
জগন্নাথপুরের সীমান্তবর্তী দিরাই উপজেলার জগদল ইউনিয়নের কামড়ী সেতুতে মাটি ভর্তি ট্রাক্টর উল্টে চালক আছকির মিয়ার (২৬) মৃত্যু হয়।
২১ জানুয়ারি
সুনামগঞ্জ—জগন্নাথপুর—ঢাকা আঞ্চলিক মহাসড়কের হবিবনগর এলাকায় মোটরসাইকেলের ধাক্কায় দর্জি জমশের আলী (৫৭) গুরুতর আহন হন। ২১ জানুয়ারি দুপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান তিনি।
৫ মার্চ
তাহিরপুরে সীমান্তে চারাগাঁও এলসি পয়েন্টের জিরো লাইনে কয়লা কুড়াতে গিয়ে ভারতীয় কয়লাবাহী ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে শিশু অনন্ত পাল (১২) মৃত্যু হয়।
৪ মার্চ
শান্তিগঞ্জে বরযাত্রীবাহী একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে রাহুল সরকার (১৬) নামে এক কিশোর নিহত হয়। এ ঘটনায় আহত হন অন্তত ১৫ জন। জানা যায়, হবিগঞ্জ থেকে বরসহ অর্ধশতাধিক যাত্রী নিয়ে দিরাই উপজেলা আসছিলো বাসটি। দিরাই মদনপুর সড়কের গাগলী নারাইনপুর এলাকায় পৌঁছালে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসটি খাদে পড়ে যায়।
৮ মার্চ
দোয়ারাবাজার—বাংলাবাজার ব্রিটিশ সড়কে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় রুশন আলী (৩০) নামের একজনের মৃত্যু হয়েছে। লামাসানীয়া মুদির দোকান পয়েন্টের স—মিলের সামনে একজন মহিলাকে বাঁচাতে গিয়ে সড়কের পাশের গাছের সাথে ধাক্কা লাগে মোটরসাইকেলের। এসময় ঘটনাস্থলেই রুশন আলীর মৃত্যু হয়। মৃত রুশন আলী (৩০) উপজেলার নরসিংপুর ইউনিয়নের দ্বীনেরটুক গ্রামের মিরন মিয়ার পুত্র।
১৭ মার্চ
জগন্নাথপুর উপজেলার পাইলগাঁও ইউনিয়নের আলাঘদি গ্রামে ট্রলি উল্টে সুহেল মিয়া (৩৭) নামের চালকের মৃত্যু হয়।
২৫ মার্চ
দোয়ারাবাজার উপজেলার মহব্বতপুর বাজারের নিজ বাসার সামনে পিকআপের চাপায় রামিম হোসেন (৩) মৃত্যু হয়।
৩১ মার্চ
শান্তিগঞ্জ উপজেলার সিলেট—সুনামগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কে প্রাইভেট কার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বৈদ্যুতিক খুঁটির সাথে ধাক্কা লেগে খাদে পড়ে এএসআই মহিউদ্দিন আহমদ (৩৫) নামে এক পুলিশ সদস্য মারা যান।
১ এপ্রিল
দিরাই উপজেলার ধল রোডে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৮ মাসের শিশু নাজিয়া বাঁচলেও, মা ফাহিমা বেগম (৩৭) মৃত্যু হয়।
২ এপ্রিল
ছাতক—গোবিন্দগঞ্জ সড়কের মিত্রগাঁও বঙ্গবন্ধু সড়ক সংলগ্ন এলাকায় মৃত স্বজনকে শেষ দেখা দেখতে গিয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় রাহেলা বেগম (২৫) নামের এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়।
৫ এপ্রিল
নাতনীর বাড়ি ইফতার দিয়ে ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় আরেক নাতনি সহ দাদী নিহত হয়েছেন। নিহত দাদী শামসুন্নাহার (৭৫) ও নাতনি মোছা জান্নাত (১৪) দিরাই উপজেলার তাড়ল ইউনিয়নের তলবাউসী গ্রামের আতাউর রহমানের মা ও ছোট মেয়ে।
১৮ এপ্রিল
গীতিকার, সুরকার ও শিল্পী মতিউর রহমান হাসান (পাগল হাসান) সড়ক দুঘটনায় মারা যান। ১৮ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সকালে সুনামগঞ্জ‘র ছাতকের সুরমা ব্রিজ এলাকায় বাস—সিএনজি সংঘর্ষে তিনি মারা যান। তিনি সিএনজির যাত্রী ছিলেন। এসময় তার সঙ্গে থাকা ছাত্তার নামে একজনও ঘটনাস্থলে মারা যায়। সিএনজির চালকসহ ৩ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। এই দুর্ঘটনা পুরো দেশের সংস্কৃতি প্রেমিদের কাঁদায়।
২২ এপ্রিল
পৌর শহরের নতুন হাছননগর ভুবির পয়েন্টে মাহিন্দ্র ট্রাক ও সিএনজি অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে সিএনজি অটোরিকশার যাত্রী ওয়েজখালী এলাকার সুরেশ রবি দাস (৪০) মৃত্যু হয়। আহত হয়েছেন অটোরিকশায় থাকা আরও দুই জন।
২৫ এপ্রিল
সিলেট কোম্পানীগঞ্জে ট্রাক ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার সংঘর্ষে দুইজন নিহত ও চারজন আহত হয়েছেন। ছাতক উপজেলার লুবিয়া গ্রামের হারুনুর রশিদ ও নেত্রকোনার কমলাকান্দা উপজেলার বিশরপাশার গ্রামের বাসিন্দা পার্থ শাহা নিহত হন।
১ মে
জামালগঞ্জে অটোরিক্সা চাপায় ফেনারবাক ইউনিয়নের ছয়হারা গ্রামের দিজরাজ তালুকদারের ছেলে শান্ত তালুকদার (৪) মৃত্যু হয়।
২৮ মে
সুনামগঞ্জ—সিলেট সড়কের গোবিন্দপুর এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান সোনালী ব্যাংকের অব. ম্যানেজার (প্রিন্সিপাল অফিসার) দীপক রঞ্জন চৌধুরী। রাতে গোবিন্দপুর এলাকায় ঝড়ের কবলে পড়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে কারটি যাত্রীসহ সড়কের পাশের পানিতে ডুবে যায়।
২৯ মে
জগন্নাথপুরে বেপোরোয়া গতিতে একটি মিনিবাস বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে নারীসহ ১০ জন আহত হন। সুনামগঞ্জ—জগন্নাথপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের যোগলনগর এলাকায় এই সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে।
৩ জুন
সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার পাগলা—জগন্নাথপুর সড়কে বাস—মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছে। ঘটনাস্থলে নিহত ব্যক্তির নাম শিব্বির আহমদ (৩৩) তিনি বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার ছাতারকোনা গ্রামের মৃত. আবু কালামের ছেলে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত মোটরসাইকেল আরোহী একই গ্রামের রিয়াজ উদ্দিনের ছেলে সাদ্দাম হোসেন (৩৫) কে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মারা যান।
১৩ জুন
সিলেটের বিশ্বনাথ থানার লামাকাজী সংলগ্ন এলাকায় লেগুনা—বাস সংঘর্ষে শান্তিগঞ্জ উপজেলা দরগাপাশা ইউনিয়নের পাইকাপন পশ্চিমপাড়া গ্রামের মৎস্যজীবী শিব্বির আহমদ ও শাহীন আহমদ মারা যান।
২৪ জুন
শান্তিগঞ্জ উপজেলার সিলেট—সুনামগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের শান্তিগঞ্জ এলাকার আবদুল মজিদ কলেজের পাশে ট্রাক চাপায় পিষ্ট হয়ে মরিয়ম বেগম নামের সাত বছরের এক শিশু কন্যার মৃত্যু হয়।
২৬ জুন
জগন্নাথপুর—ঢাকা আঞ্চলিক মহাসড়কের খাশিলা এলাকায় ট্রাক চাপায় অটোরিক্সায় দরিব মিয়া (৩০) মারা যান।
১৩ জুলাই
শ্বশুর বাড়ি থেকে বাবার বাড়ি যাওয়ার পথে সিএনজি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কে উল্টে যাওয়ায় মারা যান সাদিয়া (২৫)।
১০ আগস্ট
সিলেট—সুনামগঞ্জ সড়কের কৈতক পয়েন্টে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় মারা যান ছাতকের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্র নেতা ফেরদৌস আহমদ। তিনি গোবিন্দগঞ্জ—সৈদেরগাঁও ইউনিয়নের তকিপুর গ্রামের হারিছ আলীর ছেলে।
৭ অক্টোবর
শান্তিগঞ্জ উপজেলার পূর্ব পাগলা ইউনিয়নের দামোধরতপী মামদপুর এলাকায় সুনামগঞ্জ—সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান নাম সিরাজ মিয়া ওরফে বিরাট (৫০)। তিনি উপজেলার দামোধরতপী গ্রামের মৃত তেরাব আলীর ছেলে।
১২ অক্টোবর
দোয়ারাবাজার সদর ইউনিয়নের নৈনগাঁও গ্রামে ছাতক—দোয়ারাবাজার সড়কে দুই সিএনজির মুখোমুখি সংঘর্ষে ৭ জন আহত হন।
৯ নভেম্বর
ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সার ধাক্কায় গুরুতর আহত সুনামগঞ্জ পিটিআইয়ের প্রশিক্ষণার্থী রাজিব চৌধুরী (৩৪) মারা যান। রাজিবের বাড়ি শাল্লা উপজেলার নিয়ামতপুর গ্রামে।
১৭ নভেম্বর
তাহিরপুর বাজার—সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় সড়কে আনিসা (৭) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়। সে উপজেলার শ্রীপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের পাঠাবুকা গ্রামের শরিফুলের মেয়ে।
১৭ নভেম্বর
জামালগঞ্জ উপজেলার সাচনা—বেহেলী সড়কের রাজাপুর ব্রিজের পাশে অটোরিকশার ও মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে বেহেলী ইউনিয়নের আলীপুর গ্রামের মৃত. শুক্কুর মাহমুদের ছেলে আশিকনূর (৪৫) ও একই ইউনিয়নের বাগানী গ্রামের জামাল মিয়ার ছেলে সুলেমান মিয়া (৩২) মারা যান।
২৪ নভেম্বর
সুনামগঞ্জ—সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কে সদর উপজেলার নীলপুর বাজার এলাকায় ট্রাক—সিএনজির মুখোমুখি সংঘর্ষে শান্তিগঞ্জ উপজেলার জয়কলস ইউনিয়নের ইমামনগর গ্রামের মৃত আব্দুল কাহার’র স্ত্রী রাজিয়া বেগম (৫০) মারা যান। এ ঘটনায় আরও ৪ জন আহত হন।
১ ডিসেম্বর
সিলেটে—সুনামগঞ্জ সড়কে গ্যাস সিলিন্ডার ভর্তি একটি ট্রাক উল্টে সিএনজির উপর পড়ে চালক শিহাব উদ্দিন (২৬) নামের এক যুবকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। শিহাব উদ্দিন উপজেলার গোবিন্দগঞ্জ—সৈদেরগাঁও ইউনিয়নের বুড়াইরগাঁও হায়াতপুর গ্রামের মৃত. নুর ইসলামের ছেলে।
১৩ ডিসেম্বর
শান্তিগঞ্জ উপজেলার পাগলা বাজারে ট্রাক চাপায় জাকিরুল ইসলাম জাকির (২৪) মারা যান। জাকিরুল পশ্চিম পাগলা ইউনিয়নের শত্রুমর্দন খারাসাবাড়ির বাসিন্দা মরহুম আশকর আলীর ছেলে।
১৪ ডিসেম্বর
স্বজনদের চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফেরার পথে সিলেট—ঢাকা মহাসড়কের দক্ষিণ সুরমার লালারগাঁওয়ে যাত্রীবাহী বাস ও সিএনজি চালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে জগন্নাধপুরের দুই যুবক প্রাণ হারান। এরা হলেন— জগন্নাথপুর পৌরসভার আলখানাপাড় এলাকার আঞ্জব উল্লার ছেলে রুহুল আমিন রাহুল (২৬) ও একই উপজেলার ভবানিপুর এলাকার আব্দুস ছাত্তারের ছেলে আব্দুল মুকিত (৪০)।
২০ ডিসেম্বর
সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার বাঘের কোণা সড়ক এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন ছাতকের দুই ছাত্রদল কর্মী ও সিলেটের একজন। ছাতকের দুইজন হলেন— তাঁতিকোনা মহল্লার সৈয়দ জুনেদ আহমদের ছেলে পৌর ছাত্রদল কর্মী সৈয়দ মখছুদ হাসান মহান (১৮) ও একই উপজেলার ছৈলা—আফজালাবাদ ইউনিয়নের রাধানগর গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে ছাত্রদল কর্মী সায়েম আহমেদ (২০)।