লন্ডন ০৭:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ছাতকে লিজবিহীন বালু উত্তোলন, হুমকির মুখে জনজীবন

 

ছাতকের বিভিন্ন বালু মহাল থেকে সরকারি লিজ ছাড়া অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের হিড়িক চলছে। প্রভাবশালী একটি চক্র সোনাই নদী, চেলা নদী, মরা চেলা, চলিতার ঢালা, পিয়াইন নদী থেকে প্রতি রাতে সরকারি কর ফাঁকি দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকার বালু উত্তোলন ও বিক্রি করছে।

রাতের আঁধারে ইসলামপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন কোয়ারির নদীর তলদেশ থেকে এক্সকেভেটরের মাধ্যমে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এ কার্যক্রমে নদীর দুই পাড়ের ঘরবাড়ি ও বিভিন্ন স্থাপনা ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। স্থানীয় চক্রগুলো ট্রাক চলাচলের জন্য নদীতে বাঁধ নির্মাণ করে রাস্তাও তৈরি করেছে এবং এসব রাস্তা ব্যবহারের জন্য ট্রাক প্রতি টোল আদায় করছে।

নদীর পাড়ের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, বর্ষা মৌসুমে বালু উত্তোলনে তেমন ক্ষতি না হলেও শীতকালে নদী শুকিয়ে যাওয়ায় তলদেশ থেকে বালু উত্তোলনের ফলে পাড়ের ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তারা জানান, এক্সকেভেটরের উচ্চ শব্দে রাতে ঘুমানোও দুষ্কর হয়ে উঠেছে।

স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, প্রশাসনের কিছু কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করেই এই চক্র তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। ফলে সাধারণ মানুষ তাদের বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস পাচ্ছে না। সম্প্রতি, রফিক মিয়ার একটি এক্সকেভেটর আটক করা হলেও তা ছেড়ে দেওয়া হয়, যা প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে।

ছাতক উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবু নাছের জানান, অবৈধ বালু উত্তোলন রোধে অভিযান অব্যাহত রয়েছে এবং একাধিকবার সরঞ্জামাদি জব্দ করা হয়েছে। তবে স্থানীয়দের মতে, শক্তিশালী এই চক্রের কার্যক্রম বন্ধ করতে আরও কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরি।

ট্যাগ:

লিবিয়া থেকে ফিরিয়ে আনা হলো ১৭৩ বাংলাদেশিকে

ছাতকে লিজবিহীন বালু উত্তোলন, হুমকির মুখে জনজীবন

প্রকাশের সময়: ০৫:৩৮:৫৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ জানুয়ারী ২০২৫

 

ছাতকের বিভিন্ন বালু মহাল থেকে সরকারি লিজ ছাড়া অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের হিড়িক চলছে। প্রভাবশালী একটি চক্র সোনাই নদী, চেলা নদী, মরা চেলা, চলিতার ঢালা, পিয়াইন নদী থেকে প্রতি রাতে সরকারি কর ফাঁকি দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকার বালু উত্তোলন ও বিক্রি করছে।

রাতের আঁধারে ইসলামপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন কোয়ারির নদীর তলদেশ থেকে এক্সকেভেটরের মাধ্যমে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এ কার্যক্রমে নদীর দুই পাড়ের ঘরবাড়ি ও বিভিন্ন স্থাপনা ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। স্থানীয় চক্রগুলো ট্রাক চলাচলের জন্য নদীতে বাঁধ নির্মাণ করে রাস্তাও তৈরি করেছে এবং এসব রাস্তা ব্যবহারের জন্য ট্রাক প্রতি টোল আদায় করছে।

নদীর পাড়ের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, বর্ষা মৌসুমে বালু উত্তোলনে তেমন ক্ষতি না হলেও শীতকালে নদী শুকিয়ে যাওয়ায় তলদেশ থেকে বালু উত্তোলনের ফলে পাড়ের ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তারা জানান, এক্সকেভেটরের উচ্চ শব্দে রাতে ঘুমানোও দুষ্কর হয়ে উঠেছে।

স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, প্রশাসনের কিছু কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করেই এই চক্র তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। ফলে সাধারণ মানুষ তাদের বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস পাচ্ছে না। সম্প্রতি, রফিক মিয়ার একটি এক্সকেভেটর আটক করা হলেও তা ছেড়ে দেওয়া হয়, যা প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে।

ছাতক উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবু নাছের জানান, অবৈধ বালু উত্তোলন রোধে অভিযান অব্যাহত রয়েছে এবং একাধিকবার সরঞ্জামাদি জব্দ করা হয়েছে। তবে স্থানীয়দের মতে, শক্তিশালী এই চক্রের কার্যক্রম বন্ধ করতে আরও কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরি।