সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সুবিপ্রবি) স্থায়ী ক্যাম্পাস শান্তিগঞ্জে নয়, বরং সুনামগঞ্জ জেলা শহরের নিকটেই স্থাপনের দাবি জানিয়েছে জেলার সর্বস্তরের মানুষ। এ বিষয়ে রবিবার (৫ জানুয়ারি) জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
স্মারকলিপিতে দেখার হাওরের পরিবেশ, জীববৈচিত্র্য ও জলজ প্রাণীর সুরক্ষা এবং সুনামগঞ্জ-সিলেট সড়কের চাপ এড়ানোর জন্য ক্যাম্পাসের স্থান পুনর্নির্ধারণের দাবি জানানো হয়। এতে বলা হয়, সুনামগঞ্জ সদর শহরের ঐতিহ্য রক্ষা ও প্রাকৃতিক ভারসাম্য বজায় রাখার স্বার্থে ক্যাম্পাসটি জেলা শহরের কাছাকাছি স্থাপন করা উচিত।
স্মারকলিপিতে আরও উল্লেখ করা হয়, সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে জেলার মানুষের ব্যাপক উৎসাহ থাকলেও এর বর্তমান ক্যাম্পাসের স্থান নির্বাচন বিতর্কিত এবং বৈষম্যমূলক। শান্তিগঞ্জ উপজেলার এক সাবেক মন্ত্রী নিজ এলাকায় ক্যাম্পাস স্থাপনের জন্য নিরবচ্ছিন্ন প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন, যা স্থানীয়দের মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি করেছে।
স্মারকলিপি প্রদান অনুষ্ঠানে জেলা আইনজীবী সমিতির নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক, পরিবেশকর্মী, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বসহ বিভিন্ন পেশার বিশিষ্টজনেরা উপস্থিত ছিলেন। বক্তারা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস যদি শান্তিগঞ্জে স্থায়ীভাবে নির্মাণ করা হয়, তবে দেখার হাওরের প্রাণবৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়বে। পাশাপাশি সুনামগঞ্জ-সিলেট একমুখী সড়কে বাড়তি চাপ পড়ার কারণে যোগাযোগব্যবস্থা ভেঙে পড়ার আশঙ্কাও রয়েছে।
জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। স্মারকলিপির বিষয়টি দ্রুত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে মন্ত্রিসভার বৈঠকে সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন দেওয়া হয় এবং ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে জাতীয় সংসদে এর আইন পাস হয়। বর্তমানে শান্তিগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন ভাড়া করা ভবনে এর প্রশাসনিক কার্যক্রম ও পাঠদান চলছে।
স্মারকলিপিতে অংশগ্রহণকারীরা দাবি করেন, উন্নয়নের ক্ষেত্রে বৈষম্য দূর করে সুনামগঞ্জের সার্বিক উন্নয়ন নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি। এজন্য সুবিপ্রবির ক্যাম্পাস সুনামগঞ্জ সদর শহরের নিকটবর্তী স্থানে স্থানান্তর করার প্রতি সরকারের বিশেষ দৃষ্টি কামনা করা হয়।
কালনী ভিউ ডেস্ক : 









