গত এক বছরে সুনামগঞ্জ সীমান্তে ১০ জন বাংলাদেশি বিভিন্ন দুর্ঘটনা ও সহিংস ঘটনায় নিহত হয়েছেন। সুনামগঞ্জ ব্যাটালিয়ন-২৮ বিজিবি সূত্রে জানা যায়, সীমান্ত এলাকায় বিএসএফের গুলিতে মৃত্যু, ভারতীয় খাসিয়াদের আক্রমণ, অবৈধভাবে কয়লা আনতে গিয়ে মাটি চাপা পড়া এবং চোরাকারবারিদের সিন্ডিকেটে ফেঁসে গিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশের সময় অসুস্থ হয়ে মারা যাওয়ার মতো নানা কারণে এই মৃত্যুগুলো সংঘটিত হয়েছে।
সর্বশেষ, বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার মাছিমপুর গামারীতলা সীমান্তে সাইদুল ইসলাম (২২) নামের এক যুবক বিএসএফের গুলিতে নিহত হন। এই ঘটনার পর বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর প্রতি কড়া প্রতিবাদ জানায় এবং সীমান্তে নিরস্ত্র মানুষ হত্যার তীব্র নিন্দা করে।
বিজিবি জানিয়েছে, ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৫ সালের ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত ১০ জন নিহত এবং ৩ জন আহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে একজন বিএসএফের গুলিতে, একজন খাসিয়াদের মারধরে, এবং সাতজন ঝুঁকিপূর্ণ কয়লাখনিতে মাটিচাপায় প্রাণ হারান। এছাড়া, অনুপ্রবেশের সময় ৪৪ জন দেশি-বিদেশি নাগরিককে আটক করা হয়েছে এবং বিভিন্ন অস্ত্র ও বিস্ফোরক দ্রব্য জব্দ করা হয়েছে।
বিজিবি অধিনায়ক এ কে এম জাকারিয়া কাদির বলেন, সীমান্ত এলাকায় অনুপ্রবেশ এবং চোরাচালান রোধে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে সভা ও কাউন্সেলিং কার্যক্রম চলছে। তিনি আরও বলেন, সীমান্তের অনাকাঙ্ক্ষিত হতাহতের পেছনে চোরাকারবারিদের সিন্ডিকেট ও ঝুঁকিপূর্ণ কার্যক্রম অন্যতম কারণ।
নিহতদের পরিবার দাবি করেছে, তারা সীমান্তে কাঠ সংগ্রহ, গরু চরানো বা কৃষিকাজ করতে গিয়েছিলেন। তবে একাধিক সূত্র বলছে, সীমান্ত এলাকায় সক্রিয় চোরাই সিন্ডিকেটের কারণে নিম্ন আয়ের মানুষ চোরাকারবারে জড়িয়ে পড়ে মৃত্যুর শিকার হচ্ছেন।
কালনী ভিউ ডেস্ক : 









