সুনামগঞ্জের পাগলা-জগন্নাথপুর-সৈয়দপুর (আউশকান্দি) আঞ্চলিক মহাসড়কে ডাকাতি আতঙ্ক বেড়ে চলেছে। গত বুধবার রাতে কোন্দানালা-দাঁড়াখাই এলাকায় দুইটি বাসে ডাকাতির ঘটনায় এ উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। সড়কে চলাচলকারী যানবাহনের চালকরা দ্রুত পুলিশ চেকপোস্ট স্থাপনের দাবি জানিয়েছেন।
পাগলা থেকে সৈয়দপুর পর্যন্ত এই সড়কের দূরত্ব ৩৬ কিলোমিটার। ২০২২ সালের ৭ নভেম্বর রাণীগঞ্জ সেতুর উদ্বোধনের পর থেকে সড়কটির গুরুত্ব বহুগুণে বৃদ্ধি পায়। রাজধানী ঢাকার সঙ্গে সুনামগঞ্জের দূরত্ব প্রায় ৫৫ কিলোমিটার কমে যায়, যা সড়কটিকে সুনামগঞ্জ-ঢাকা যোগাযোগের প্রধান রুটে পরিণত করেছে।
যাত্রীবাহী বাস ও মালবাহী ট্রাকসহ সব ধরণের যানবাহন চলাচল বেড়ে যাওয়ায় সড়কটি ব্যস্ত হয়ে পড়ে। তবে সাম্প্রতিক ডাকাতির ঘটনায় যাত্রী ও পরিবহন চালকদের মধ্যে ভয়ের সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে, বুধবারের ঘটনার পর বৃহস্পতিবার রাত থেকে এই পথে দূরপাল্লার বাস চলাচল কমে গেছে।
স্থানীয় বাস চালকরা জানিয়েছেন, পুলিশ চেকপোস্ট বসানো না হলে আন্তঃজেলা বাসগুলো এই পথ ব্যবহার করবে না। সাধারণ যাত্রীদের মধ্যেও আতঙ্ক বিরাজ করছে। স্থানীয় একটি বিয়ের অনুষ্ঠানেও রাতের পরিবর্তে দিনের বেলায় বাড়ি ফেরার সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।
২০০৫ সালের আগে সড়কটির বিভিন্ন অংশে ছিনতাই ও ডাকাতির ঘটনা নিয়মিত ঘটত। পুলিশের তৎপরতা ও স্থানীয় জনগণের সচেতনতার কারণে পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হলেও বর্তমানে আবারও এই ধরণের ঘটনা দেখা দিচ্ছে।
জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে শুক্রবার একটি সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, আন্তঃজেলা বাসগুলো ডাবর পয়েন্টে একত্রিত হবে এবং সেখান থেকে পুলিশি প্রহরায় সুনামগঞ্জ হয়ে গন্তব্যে পৌঁছাবে। পাশাপাশি ছয়হারা সেতুর টোল প্লাজা এলাকায় চেকপোস্ট স্থাপন করা হবে।
সড়কের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন স্থানীয় বিশিষ্টজনেরা।
কালনী ভিউ ডেস্ক : 









