লন্ডন ০৩:০৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির ইউনিট কমিটি ঘোষণা স্থগিত, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ২৪ ফেব্রুয়ারি

সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির ১৬ ইউনিটের নতুন আহ্বায়ক কমিটি রবিবার ঘোষণা করা সম্ভব হয়নি। আহ্বায়ক ও যুগ্ম আহ্বায়ক সংখ্যা নিয়ে মতবিরোধের কারণে দলীয় কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের পরামর্শ নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এজন্য কমিটি ঘোষণার তারিখ পিছিয়ে আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দলীয় দায়িত্বশীলরা।

রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ২টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত জেলা বিএনপির জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। তবে আহ্বায়ক ও যুগ্ম আহ্বায়ক পদে কতজন থাকবেন— এ নিয়ে একমত না হওয়ায় বিষয়টি দলীয় ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে উপস্থাপনের সিদ্ধান্ত হয়। এরপরই আনুষ্ঠানিকভাবে কমিটি ঘোষণা করা হবে।

এর আগে, গত ১৬ নভেম্বর কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির প্রথম সভায় জেলার সব ইউনিটের কমিটি বাতিল করা হয়। একই সঙ্গে আহ্বায়ক ও যুগ্ম আহ্বায়ক হতে আগ্রহীদের দলীয় ফরম পূরণের নির্দেশ দেওয়া হয়। এতে ১৬ ইউনিটের প্রায় ৪০০ নেতা আবেদন করেন, যার মধ্যে বিতর্কিত ভূমিকার অভিযোগে ৩২ জনের আবেদন বাতিল করা হয় এবং তিনজনকে কোনো কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

রবিবারের সভায় জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক কলিম উদ্দিন আহমদ মিলন প্রস্তাব দেন, প্রতিটি ইউনিটে একজন আহ্বায়ক ও চারজন যুগ্ম আহ্বায়ক রাখা যেতে পারে এবং তিনজনকে স্বাক্ষর ক্ষমতা দেওয়া যেতে পারে। এতে গুরুত্বপূর্ণ নেতারা নেতৃত্বে সুযোগ পাবেন বলে তিনি মত দেন।

তবে জেলা আহ্বায়ক কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট মাসুক আলম এ প্রস্তাবের বিরোধিতা করেন। তিনি বলেন, “আগের সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছিল, আহ্বায়কের সঙ্গে দুইজন যুগ্ম আহ্বায়ক থাকবেন এবং দুইজনের স্বাক্ষর ক্ষমতা থাকবে। সেই সিদ্ধান্তই কার্যকর করা উচিত।” তার এই মতামতকে সমর্থন করেন জেলা আহ্বায়ক কমিটির প্রথম সদস্য মিজানুর রহমান চৌধুরী।

অন্যদিকে, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মুনাজ্জির হোসেন সুজন ও রেজাউল হক কলিম উদ্দিন আহমদ মিলনের প্রস্তাবকে সমর্থন জানান। পরে সভায় উপস্থিত আরও কয়েকজন এই মতকে সমর্থন করেন।

কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক জিকে গৌছ ও সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মিফতাহ্ সিদ্দিকী মতবিরোধ মেটাতে বিষয়টি দলীয় ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপর ছেড়ে দেওয়ার প্রস্তাব দেন। তারা জানান, চলতি সপ্তাহে তারেক রহমানের সঙ্গে ভার্চুয়াল সভা হবে, যেখানে এই বিষয়ে পরামর্শ নেওয়া হবে। এরপর ২৪ ফেব্রুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে ইউনিট কমিটি ঘোষণা করা হবে।

জেলা বিএনপির স্বাক্ষর ক্ষমতাপ্রাপ্ত সদস্য অ্যাডভোকেট আব্দুল হক বলেন, “আহ্বায়ক ও যুগ্ম আহ্বায়ক নিয়ে দ্বিমতের কারণে কমিটি ঘোষণার সিদ্ধান্ত পেছানো হয়েছে। আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি একসঙ্গে ২১ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হবে।”

জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কলিম উদ্দিন আহমদ মিলন বলেন, “ইউনিট কমিটির আহ্বায়ক-যুগ্ম আহ্বায়ক চূড়ান্ত হলেও পুরো আহ্বায়ক কমিটি একসঙ্গে ঘোষণা করা হবে। দেরি হলে পরবর্তী কমিটি গঠনেও বিলম্ব হবে। তাই ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রতিটি ইউনিটের ২১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হবে।”

ট্যাগ:

রাত সাড়ে ৯টার পর সিলেটের সব বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে

সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির ইউনিট কমিটি ঘোষণা স্থগিত, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ২৪ ফেব্রুয়ারি

প্রকাশের সময়: ০৮:৪৬:০৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির ১৬ ইউনিটের নতুন আহ্বায়ক কমিটি রবিবার ঘোষণা করা সম্ভব হয়নি। আহ্বায়ক ও যুগ্ম আহ্বায়ক সংখ্যা নিয়ে মতবিরোধের কারণে দলীয় কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের পরামর্শ নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এজন্য কমিটি ঘোষণার তারিখ পিছিয়ে আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দলীয় দায়িত্বশীলরা।

রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ২টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত জেলা বিএনপির জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। তবে আহ্বায়ক ও যুগ্ম আহ্বায়ক পদে কতজন থাকবেন— এ নিয়ে একমত না হওয়ায় বিষয়টি দলীয় ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে উপস্থাপনের সিদ্ধান্ত হয়। এরপরই আনুষ্ঠানিকভাবে কমিটি ঘোষণা করা হবে।

এর আগে, গত ১৬ নভেম্বর কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির প্রথম সভায় জেলার সব ইউনিটের কমিটি বাতিল করা হয়। একই সঙ্গে আহ্বায়ক ও যুগ্ম আহ্বায়ক হতে আগ্রহীদের দলীয় ফরম পূরণের নির্দেশ দেওয়া হয়। এতে ১৬ ইউনিটের প্রায় ৪০০ নেতা আবেদন করেন, যার মধ্যে বিতর্কিত ভূমিকার অভিযোগে ৩২ জনের আবেদন বাতিল করা হয় এবং তিনজনকে কোনো কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

রবিবারের সভায় জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক কলিম উদ্দিন আহমদ মিলন প্রস্তাব দেন, প্রতিটি ইউনিটে একজন আহ্বায়ক ও চারজন যুগ্ম আহ্বায়ক রাখা যেতে পারে এবং তিনজনকে স্বাক্ষর ক্ষমতা দেওয়া যেতে পারে। এতে গুরুত্বপূর্ণ নেতারা নেতৃত্বে সুযোগ পাবেন বলে তিনি মত দেন।

তবে জেলা আহ্বায়ক কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট মাসুক আলম এ প্রস্তাবের বিরোধিতা করেন। তিনি বলেন, “আগের সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছিল, আহ্বায়কের সঙ্গে দুইজন যুগ্ম আহ্বায়ক থাকবেন এবং দুইজনের স্বাক্ষর ক্ষমতা থাকবে। সেই সিদ্ধান্তই কার্যকর করা উচিত।” তার এই মতামতকে সমর্থন করেন জেলা আহ্বায়ক কমিটির প্রথম সদস্য মিজানুর রহমান চৌধুরী।

অন্যদিকে, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মুনাজ্জির হোসেন সুজন ও রেজাউল হক কলিম উদ্দিন আহমদ মিলনের প্রস্তাবকে সমর্থন জানান। পরে সভায় উপস্থিত আরও কয়েকজন এই মতকে সমর্থন করেন।

কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক জিকে গৌছ ও সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মিফতাহ্ সিদ্দিকী মতবিরোধ মেটাতে বিষয়টি দলীয় ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপর ছেড়ে দেওয়ার প্রস্তাব দেন। তারা জানান, চলতি সপ্তাহে তারেক রহমানের সঙ্গে ভার্চুয়াল সভা হবে, যেখানে এই বিষয়ে পরামর্শ নেওয়া হবে। এরপর ২৪ ফেব্রুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে ইউনিট কমিটি ঘোষণা করা হবে।

জেলা বিএনপির স্বাক্ষর ক্ষমতাপ্রাপ্ত সদস্য অ্যাডভোকেট আব্দুল হক বলেন, “আহ্বায়ক ও যুগ্ম আহ্বায়ক নিয়ে দ্বিমতের কারণে কমিটি ঘোষণার সিদ্ধান্ত পেছানো হয়েছে। আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি একসঙ্গে ২১ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হবে।”

জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কলিম উদ্দিন আহমদ মিলন বলেন, “ইউনিট কমিটির আহ্বায়ক-যুগ্ম আহ্বায়ক চূড়ান্ত হলেও পুরো আহ্বায়ক কমিটি একসঙ্গে ঘোষণা করা হবে। দেরি হলে পরবর্তী কমিটি গঠনেও বিলম্ব হবে। তাই ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রতিটি ইউনিটের ২১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হবে।”