লন্ডন ০১:৪৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নারী দিবস উপলক্ষে সুনামগঞ্জে নবায়নযোগ্য জ্বালানির দাবিতে ব্যতিক্রমী প্রচারাভিযান

 

সুনামগঞ্জে আন্তর্জাতিক নারী দিবস ২০২৫ উপলক্ষে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে নারীর অংশগ্রহণ, ক্ষমতায়ন ও নীতি নির্ধারক হিসেবে ভূমিকা মূল্যায়নের দাবিতে ব্যতিক্রমী প্রচারাভিযানের আয়োজন করা হয়েছে। শনিবার (৮ মার্চ) শহীদ মুক্তিযোদ্ধা জগৎজ্যোতি পাবলিক লাইব্রেরির সামনে হাউস, ক্লিন (কোস্টাল লাইভলিহুড এন্ড এনভায়রনমেন্টাল একশন নেটওয়ার্ক) ও বিডাব্লিউজিইডি (বাংলাদেশ ওয়ার্কিং গ্রুপ অন ইকোলজি এন্ড ডেভেলপমেন্ট)-এর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এই কর্মসূচির মূল লক্ষ্য ছিল সারাদেশে শতভাগ নবায়নযোগ্য জ্বালানি নিশ্চিত করে নারীদের জ্বালানি নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠা করা।

প্রচারাভিযানে অংশগ্রহণকারীরা নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রসারের প্রয়োজনীয়তা ও বিদ্যুৎ খাতে নারীর অন্তর্ভুক্তি বিষয়ে সচেতনতা তৈরি করেন। বক্তারা জোর দিয়ে বলেন, টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হলে জ্বালানি খাতে নারীদের সিদ্ধান্ত গ্রহণের সুযোগ বৃদ্ধি করতে হবে এবং জ্বালানির ন্যায়সঙ্গত ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।

সৃষ্টি যুব জাগরণ সংঘের সভাপতি তৃষ্ণা আক্তার রুশনা বলেন, “দেশে ব্যবহৃত মোট জ্বালানির ৪৬ শতাংশই ব্যবহার হয় গৃহস্থালির কাজে, অর্থাৎ নারীরাই সবচেয়ে বেশি জ্বালানি ব্যবহার করেন। কিন্তু আমদানিকৃত জীবাশ্ম জ্বালানির কারণে বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির ফলে তারাই সবচেয়ে বেশি ভুক্তভোগী।”

তিনি আরও বলেন, “জ্বালানি খাতে পরিকল্পনা, বাস্তবায়ন, উৎপাদন ও বিতরণ—সব ক্ষেত্রেই নারীরা বঞ্চিত। সারাদেশে নারীদের মালিকানায় মাত্র ২-৪ শতাংশ জমি থাকায় বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের এড়িয়ে যায়। ফলে নারীরা শুধুমাত্র সুবিধাভোগী হিসেবে বিবেচিত হন, কিন্তু সক্রিয় অংশীদার বা নীতিনির্ধারক হিসেবে স্বীকৃতি পান না।”

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন অনির্বান মহিলা সংঘের সভানেত্রী শিল্পী বেগম, স্বপ্ননীল মহিলা সংঘের সভাপতি মাহিন চৌধুরী প্রমুখ।

নারীর জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে দাবির প্রতি গুরুত্ব

আয়োজকদের মতে, জ্বালানি খাতে নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত না হলে দেশের টেকসই উন্নয়ন ব্যাহত হবে। তাই নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রসার এবং জ্বালানি নীতিতে নারীর সিদ্ধান্ত গ্রহণের সুযোগ বৃদ্ধির দাবিতে তারা সবাইকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান।

ট্যাগ:

রাত সাড়ে ৯টার পর সিলেটের সব বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে

নারী দিবস উপলক্ষে সুনামগঞ্জে নবায়নযোগ্য জ্বালানির দাবিতে ব্যতিক্রমী প্রচারাভিযান

প্রকাশের সময়: ০১:০৪:৫৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ মার্চ ২০২৫

 

সুনামগঞ্জে আন্তর্জাতিক নারী দিবস ২০২৫ উপলক্ষে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে নারীর অংশগ্রহণ, ক্ষমতায়ন ও নীতি নির্ধারক হিসেবে ভূমিকা মূল্যায়নের দাবিতে ব্যতিক্রমী প্রচারাভিযানের আয়োজন করা হয়েছে। শনিবার (৮ মার্চ) শহীদ মুক্তিযোদ্ধা জগৎজ্যোতি পাবলিক লাইব্রেরির সামনে হাউস, ক্লিন (কোস্টাল লাইভলিহুড এন্ড এনভায়রনমেন্টাল একশন নেটওয়ার্ক) ও বিডাব্লিউজিইডি (বাংলাদেশ ওয়ার্কিং গ্রুপ অন ইকোলজি এন্ড ডেভেলপমেন্ট)-এর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এই কর্মসূচির মূল লক্ষ্য ছিল সারাদেশে শতভাগ নবায়নযোগ্য জ্বালানি নিশ্চিত করে নারীদের জ্বালানি নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠা করা।

প্রচারাভিযানে অংশগ্রহণকারীরা নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রসারের প্রয়োজনীয়তা ও বিদ্যুৎ খাতে নারীর অন্তর্ভুক্তি বিষয়ে সচেতনতা তৈরি করেন। বক্তারা জোর দিয়ে বলেন, টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হলে জ্বালানি খাতে নারীদের সিদ্ধান্ত গ্রহণের সুযোগ বৃদ্ধি করতে হবে এবং জ্বালানির ন্যায়সঙ্গত ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।

সৃষ্টি যুব জাগরণ সংঘের সভাপতি তৃষ্ণা আক্তার রুশনা বলেন, “দেশে ব্যবহৃত মোট জ্বালানির ৪৬ শতাংশই ব্যবহার হয় গৃহস্থালির কাজে, অর্থাৎ নারীরাই সবচেয়ে বেশি জ্বালানি ব্যবহার করেন। কিন্তু আমদানিকৃত জীবাশ্ম জ্বালানির কারণে বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির ফলে তারাই সবচেয়ে বেশি ভুক্তভোগী।”

তিনি আরও বলেন, “জ্বালানি খাতে পরিকল্পনা, বাস্তবায়ন, উৎপাদন ও বিতরণ—সব ক্ষেত্রেই নারীরা বঞ্চিত। সারাদেশে নারীদের মালিকানায় মাত্র ২-৪ শতাংশ জমি থাকায় বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের এড়িয়ে যায়। ফলে নারীরা শুধুমাত্র সুবিধাভোগী হিসেবে বিবেচিত হন, কিন্তু সক্রিয় অংশীদার বা নীতিনির্ধারক হিসেবে স্বীকৃতি পান না।”

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন অনির্বান মহিলা সংঘের সভানেত্রী শিল্পী বেগম, স্বপ্ননীল মহিলা সংঘের সভাপতি মাহিন চৌধুরী প্রমুখ।

নারীর জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে দাবির প্রতি গুরুত্ব

আয়োজকদের মতে, জ্বালানি খাতে নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত না হলে দেশের টেকসই উন্নয়ন ব্যাহত হবে। তাই নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রসার এবং জ্বালানি নীতিতে নারীর সিদ্ধান্ত গ্রহণের সুযোগ বৃদ্ধির দাবিতে তারা সবাইকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান।