সুনামগঞ্জের বৃহত্তম বালু-পাথর মহাল যাদুকাটা নদী থেকে বালু-পাথরবাহী বড় নৌযান ও বাল্কহেড বের হতে পারছে না নাব্যতা সংকটের কারণে। জামালগঞ্জ, তাহিরপুর ও বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার সীমানায় অবস্থিত রক্তি নদীতে পানির স্তর নেমে যাওয়ায় নৌপথে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে।
বুধবার, রক্তি নদীর বিভিন্ন স্থানে শতাধিক বালু-পাথরবাহী নৌযান আটকা পড়েছে বলে জানা গেছে।
ফতেহপুর এলাকার বালু-পাথর ব্যবসায়ী টিটু তালুকদার জানান, বৃষ্টির অভাবে নদীর নাব্যতা সংকট তীব্রতর হয়েছে। বিশেষ করে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার ফতেহপুর থেকে দুবলারচর পর্যন্ত শতাধিক নৌযান আটকে পড়েছে। কিছু নৌকা রাতে কোনোভাবে যাতায়াত করলেও বড় নৌযান চলাচলে চরম বিঘ্ন ঘটছে। যাদুকাটা নদী থেকে এসব নৌযান সুরমা নদী হয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বালু ও পাথর সরবরাহ করে থাকে।
জামালগঞ্জ থানার সাব-ইন্সপেক্টর আরিফ উল্লাহ জানান, রক্তি নদীর দুর্লভপুর এলাকায় নাব্যতা সংকটের কারণে প্রায় ৪০টি বালু বোঝাই ট্রলার আটকা পড়েছে। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) সেখানে নদী খননের কাজ করছে।
বিশ্বম্ভরপুর থানার ওসি মোখলেছুর রহমান বলেন, “রক্তি নদীর দুবলারচর ও সংগ্রামপুর এলাকায় নৌযান চলাচলে সমস্যা হচ্ছে বলে খবর পেয়েছি। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি, বৃহস্পতিবার সকালে সরেজমিনে পুলিশ পাঠানো হবে।”
স্থানীয় ব্যবসায়ী ও নৌযান শ্রমিকরা দ্রুত নাব্যতা সংকট নিরসনে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
কালনী ভিউ ডেস্ক : 









