লন্ডন ০৩:২৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সুনামগঞ্জের সাবেক এমপি সাদিকের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে বিএনপির করা মামলায় সুনামগঞ্জের সাবেক এমপি মোহাম্মদ সাদিকসহ ১২ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে আদালত।

বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মিনহাজুর রহমান মামলার তদন্ত কর্মকর্তার আবেদন মঞ্জুর করে এই আদেশ দেন।

নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত অন্যদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমেদ, সাবেক নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ আবু হাফিজ, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. জাবেদ আলী, মো. শাহ নেওয়াজ, মো. রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আহসান হাবিব খান, মো. আলমগীর, মো. আনিছুর রহমান এবং নির্বাচন কমিশনের সাবেক দুই সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ। সুনামগঞ্জের সাবেক এমপি মোহাম্মদ সাদিক নির্বাচন কমিশনের সচিব ছিলেন এবং সুনামগঞ্জ ৪ আসন থেকে গত সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত হন।

আদালতের আদেশে বলা হয়েছে, আসামিরা বর্তমানে পলাতক। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাদের বিদেশ গমন ঠেকাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ইমিগ্রেশন বিভাগ ও সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

মামলাটি দায়ের করেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এবং মামলা, গুম, খুন ও তথ্য সংরক্ষণ বিষয়ক সমন্বয়ক সালাহ উদ্দিন খান।

গত ২২ জুন রাজধানীর গুলশান থানায় তিনি এ মামলা করেন। অভিযোগে বলা হয়, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে নির্বাচন কমিশন সংবিধান অনুযায়ী দায়িত্ব পালন না করে ভয়ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে ভোটারবিহীন নির্বাচন সম্পন্ন করে। ২৬ জুন মামলায় রাষ্ট্রদ্রোহ, প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দণ্ডবিধির ১২৪(ক), ৪২০ ও ৪০৬ ধারা যুক্ত করা হয়।মামলায় ২০১৪ সালের সিইসি কাজী রকিবউদ্দীন আহমেদ, ২০১৮ সালের সিইসি কে এম নূরুল হুদা ও ২০২৪ সালের সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়ালকেও আসামি করা হয়েছে। একই মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ মোট ২৪ জনকে আসামি করা হয়। তাদের মধ্যে রয়েছেন পুলিশের সাবেক পাঁচ মহাপরিদর্শক হাসান মাহমুদ খন্দকার, এ কে এম শহীদুল হক, জাবেদ পাটোয়ারী, বেনজীর আহমেদ এবং চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।

মামলার অপর দুই আসামি সিইসি নূরুল হুদা ও কাজী হাবিবুল আউয়াল বর্তমানে কারাগারে আছেন। গত ২২ জুন কে এম নূরুল হুদাকে রাজধানীর উত্তরা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার চার দিনের রিমান্ড শেষে আরও চার দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয় এবং পরে তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। অপর আসামি কাজী হাবিবুল আউয়ালকে ২৫ জুন মগবাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং তার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয়।

ট্যাগ:

সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি আব্দুল লতিফ জেপির ইন্তেকাল

সুনামগঞ্জের সাবেক এমপি সাদিকের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

প্রকাশের সময়: ১০:৫০:১৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৮ অগাস্ট ২০২৫

রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে বিএনপির করা মামলায় সুনামগঞ্জের সাবেক এমপি মোহাম্মদ সাদিকসহ ১২ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে আদালত।

বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মিনহাজুর রহমান মামলার তদন্ত কর্মকর্তার আবেদন মঞ্জুর করে এই আদেশ দেন।

নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত অন্যদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমেদ, সাবেক নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ আবু হাফিজ, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. জাবেদ আলী, মো. শাহ নেওয়াজ, মো. রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আহসান হাবিব খান, মো. আলমগীর, মো. আনিছুর রহমান এবং নির্বাচন কমিশনের সাবেক দুই সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ। সুনামগঞ্জের সাবেক এমপি মোহাম্মদ সাদিক নির্বাচন কমিশনের সচিব ছিলেন এবং সুনামগঞ্জ ৪ আসন থেকে গত সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত হন।

আদালতের আদেশে বলা হয়েছে, আসামিরা বর্তমানে পলাতক। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাদের বিদেশ গমন ঠেকাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ইমিগ্রেশন বিভাগ ও সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

মামলাটি দায়ের করেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এবং মামলা, গুম, খুন ও তথ্য সংরক্ষণ বিষয়ক সমন্বয়ক সালাহ উদ্দিন খান।

গত ২২ জুন রাজধানীর গুলশান থানায় তিনি এ মামলা করেন। অভিযোগে বলা হয়, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে নির্বাচন কমিশন সংবিধান অনুযায়ী দায়িত্ব পালন না করে ভয়ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে ভোটারবিহীন নির্বাচন সম্পন্ন করে। ২৬ জুন মামলায় রাষ্ট্রদ্রোহ, প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দণ্ডবিধির ১২৪(ক), ৪২০ ও ৪০৬ ধারা যুক্ত করা হয়।মামলায় ২০১৪ সালের সিইসি কাজী রকিবউদ্দীন আহমেদ, ২০১৮ সালের সিইসি কে এম নূরুল হুদা ও ২০২৪ সালের সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়ালকেও আসামি করা হয়েছে। একই মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ মোট ২৪ জনকে আসামি করা হয়। তাদের মধ্যে রয়েছেন পুলিশের সাবেক পাঁচ মহাপরিদর্শক হাসান মাহমুদ খন্দকার, এ কে এম শহীদুল হক, জাবেদ পাটোয়ারী, বেনজীর আহমেদ এবং চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।

মামলার অপর দুই আসামি সিইসি নূরুল হুদা ও কাজী হাবিবুল আউয়াল বর্তমানে কারাগারে আছেন। গত ২২ জুন কে এম নূরুল হুদাকে রাজধানীর উত্তরা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার চার দিনের রিমান্ড শেষে আরও চার দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয় এবং পরে তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। অপর আসামি কাজী হাবিবুল আউয়ালকে ২৫ জুন মগবাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং তার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয়।