লন্ডন ০৯:৪৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দিরাই-শাল্লায় বিএনপির মনোনয়ন দৌড়ে আলোচনায় নাসির ও পাবেল

সন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে সুনামগঞ্জ-২ (দিরাই-শাল্লা) আসনে বিএনপির মনোনয়ন দৌড়ে সবচেয়ে আলোচনায় রয়েছেন সাবেক সংসদ সদস্য নাসির উদ্দিন চৌধুরী এবং জেলা বিএনপির সাবেক উপদেষ্টা এডভোকেট তাহির রায়হান চৌধুরী পাবেল।

গুলশান কার্যালয়ে রবিবার বিকেলে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে বৈঠকে এই দুই নেতাকে নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায় সাংগঠনিক কার্যক্রম জোরদার করার নির্দেশ দেওয়া হয়।

দলীয় সূত্র জানায়, সুনামগঞ্জ-৩ আসনে কয়ছর এম আহমদকে একক প্রার্থী হিসেবে বিবেচনা করা হলেও দিরাই-শাল্লাসহ সুনামগঞ্জের সবকটি আসনে একক প্রার্থীর বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি কেন্দ্র।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই মাঠপর্যায়ের রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করবে বিএনপি। তৃণমূলের সমর্থন, মাঠের উপস্থিতি এবং জনপ্রিয়তার ভিত্তিতে প্রার্থী নির্ধারণ করা হবে বলে জানানো হয়েছে।

এডভোকেট তাহির রায়হান চৌধুরী পাবেল সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দিরাই-শাল্লায় দলের কার্যক্রমে সক্রিয় ভূমিকা রাখছেন। দলের দুর্দিনে তিনি মাঠে থেকে নেতাকর্মীদের সংগঠিত করেছেন এবং সাংগঠনিক অবস্থানকে আরও মজবুত করেছেন। বৈশ্বিক মহামারী করোনা এবং স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় তিনি দিরাই-শাল্লার অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে প্রশংসা কুড়িয়েছেন। তরুণ প্রজন্মের কাছে তিনি এখন আশার প্রতীক হয়ে উঠেছেন, যা তাকে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীদের শীর্ষ সারিতে তুলে এনেছে।

অন্যদিকে বর্ষীয়ান রাজনীতিক নাসির উদ্দিন চৌধুরী দীর্ঘদিন ধরে দিরাই-শাল্লার রাজনীতির পরিচিত মুখ। তিনি একসময় জাতীয় পার্টি থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং পরবর্তীতে বিএনপিতে যোগ দেন। দলে যোগদানের পরও তিনি এলাকায় নিজের জনপ্রিয়তা ধরে রেখেছেন। যদিও সাম্প্রতিক সময়ে শারীরিক অসুস্থতা ও পারিবারিক দ্বন্দ্বের কারণে কিছুটা বিতর্কের মুখে পড়েছেন, তবু দিরাই-শাল্লার রাজনীতিতে তার অবস্থান এখনো দৃঢ়। তৃণমূলের একটি বড় অংশ এখনো তাকে অভিজ্ঞ নেতৃত্ব হিসেবে মূল্যায়ন করে।

স্থানীয়দের মতে, দিরাই-শাল্লা আসনে বর্তমানে প্রতিযোগিতা মূলত অভিজ্ঞ বনাম তরুণ নেতৃত্বের মধ্যে সীমাবদ্ধ। দিরাই-শাল্লায় নাসির চৌধুরীর প্রভাব সুস্পষ্ট হলেও পাবেল চৌধুরীর জনপ্রিয়তা ক্রমেই বাড়ছে। মাঠপর্যায়ের উপস্থিতি ও সাংগঠনিক দক্ষতাই শেষ পর্যন্ত এই আসনে বিএনপির মনোনয়ন নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ।

দলীয় সূত্র বলছে, আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে মাঠপর্যায়ের রিপোর্ট যাচাই করে কেন্দ্র চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। তবে সব দিক বিবেচনায় দিরাই-শাল্লা আসনটি এখন বিএনপির সবচেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ আসনগুলোর একটি হিসেবে দেখা হচ্ছে।

ট্যাগ:
জনপ্রিয়

দিরাই-শাল্লায় বিএনপির মনোনয়ন দৌড়ে আলোচনায় নাসির ও পাবেল

প্রকাশের সময়: ০৬:৪৭:১১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫

সন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে সুনামগঞ্জ-২ (দিরাই-শাল্লা) আসনে বিএনপির মনোনয়ন দৌড়ে সবচেয়ে আলোচনায় রয়েছেন সাবেক সংসদ সদস্য নাসির উদ্দিন চৌধুরী এবং জেলা বিএনপির সাবেক উপদেষ্টা এডভোকেট তাহির রায়হান চৌধুরী পাবেল।

গুলশান কার্যালয়ে রবিবার বিকেলে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে বৈঠকে এই দুই নেতাকে নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায় সাংগঠনিক কার্যক্রম জোরদার করার নির্দেশ দেওয়া হয়।

দলীয় সূত্র জানায়, সুনামগঞ্জ-৩ আসনে কয়ছর এম আহমদকে একক প্রার্থী হিসেবে বিবেচনা করা হলেও দিরাই-শাল্লাসহ সুনামগঞ্জের সবকটি আসনে একক প্রার্থীর বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি কেন্দ্র।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই মাঠপর্যায়ের রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করবে বিএনপি। তৃণমূলের সমর্থন, মাঠের উপস্থিতি এবং জনপ্রিয়তার ভিত্তিতে প্রার্থী নির্ধারণ করা হবে বলে জানানো হয়েছে।

এডভোকেট তাহির রায়হান চৌধুরী পাবেল সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দিরাই-শাল্লায় দলের কার্যক্রমে সক্রিয় ভূমিকা রাখছেন। দলের দুর্দিনে তিনি মাঠে থেকে নেতাকর্মীদের সংগঠিত করেছেন এবং সাংগঠনিক অবস্থানকে আরও মজবুত করেছেন। বৈশ্বিক মহামারী করোনা এবং স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় তিনি দিরাই-শাল্লার অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে প্রশংসা কুড়িয়েছেন। তরুণ প্রজন্মের কাছে তিনি এখন আশার প্রতীক হয়ে উঠেছেন, যা তাকে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীদের শীর্ষ সারিতে তুলে এনেছে।

অন্যদিকে বর্ষীয়ান রাজনীতিক নাসির উদ্দিন চৌধুরী দীর্ঘদিন ধরে দিরাই-শাল্লার রাজনীতির পরিচিত মুখ। তিনি একসময় জাতীয় পার্টি থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং পরবর্তীতে বিএনপিতে যোগ দেন। দলে যোগদানের পরও তিনি এলাকায় নিজের জনপ্রিয়তা ধরে রেখেছেন। যদিও সাম্প্রতিক সময়ে শারীরিক অসুস্থতা ও পারিবারিক দ্বন্দ্বের কারণে কিছুটা বিতর্কের মুখে পড়েছেন, তবু দিরাই-শাল্লার রাজনীতিতে তার অবস্থান এখনো দৃঢ়। তৃণমূলের একটি বড় অংশ এখনো তাকে অভিজ্ঞ নেতৃত্ব হিসেবে মূল্যায়ন করে।

স্থানীয়দের মতে, দিরাই-শাল্লা আসনে বর্তমানে প্রতিযোগিতা মূলত অভিজ্ঞ বনাম তরুণ নেতৃত্বের মধ্যে সীমাবদ্ধ। দিরাই-শাল্লায় নাসির চৌধুরীর প্রভাব সুস্পষ্ট হলেও পাবেল চৌধুরীর জনপ্রিয়তা ক্রমেই বাড়ছে। মাঠপর্যায়ের উপস্থিতি ও সাংগঠনিক দক্ষতাই শেষ পর্যন্ত এই আসনে বিএনপির মনোনয়ন নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ।

দলীয় সূত্র বলছে, আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে মাঠপর্যায়ের রিপোর্ট যাচাই করে কেন্দ্র চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। তবে সব দিক বিবেচনায় দিরাই-শাল্লা আসনটি এখন বিএনপির সবচেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ আসনগুলোর একটি হিসেবে দেখা হচ্ছে।