লন্ডন ১১:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

এবার ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল সিলেটে: ৫ মিনিটের ব্যবধানে দুইবার ভূমিকম্প

ভূমিকম্পের ঝূঁকিপূর্ণ অঞ্চল হিসেবে চিহ্নিত সিলেটে আবারও ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। তাও ৫ মিনিটের ব্যবধানে দুই দফা ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে সিলেট ও মৌলভীবাজার। তারচেয়ে ভয়ঙ্কর তথ্য, এবারের দুটি ভূমিকম্পেরই উৎপত্তিস্থল সিলেটে। প্রথমটির সিলেটের বিয়ানীবাজারে ও দ্বিতীয়টির মৌলভীবাজারের বড়লেখায়।বুধবার দিবাগত রাত ২টা ৫০ মিনিট ৩১ সেকেন্ডে প্রথম ভূকম্পন অনুভূত হয়। এর মাত্রা ছিল ৩ দশমিক ৫। এর পরপরই রাত ২টা ৫৫ মিনিট ১৪ সেকেন্ডে আবারও কেঁপে ওঠে সিলেট ও মৌলভীবাজারের আশপাশ এলাকা। পরেরটির মাত্রা ছিল ৩ দশমিক ৩।

আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ ফারজানা সুলতানা জানান, প্রথম ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল সিলেটের বিয়ানীবাজারে ও দ্বিতীয়টির উৎপত্তিস্থল মৌলভীবাজারের বড়লেখায়।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ভূমিকম্পটি অল্পমাত্রার হলেও পাহাড়ি ও ভূমিকম্পপ্রবণ সিলেট অঞ্চলে একের পর এক ভূকম্পন মানুষের মধ্যে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে।জানা যায়, সিলেটের অবস্থান মেঘালয় সীমান্তে অবস্থিত সক্রিয় ডাউকি ফল্ট লাইনের কাছে। এই লাইনটি অত্যন্ত সক্রিয় এবং ভূতাত্ত্বিকদের মতে, প্রায় ১৩০ বছর পর এটি নতুন করে বড় মাত্রার ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে রয়েছে। ডাউকি ফল্ট ছাড়াও সিলেট ফল্ট এবং ত্রিপুরা ফল্টের অবস্থানও সিলেটের কাছাকাছি, যা এই অঞ্চলকে আরও ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলেছে। এ ছাড়া এই অঞ্চলে অতীতে বড় ধরনের ভূমিকম্পের ইতিহাস আছে। ১৮৯৭ সালের ‘বড় বৈছাল’ নামে পরিচিত ৮.৩ মাত্রার একটি ভয়াবহ ভূমিকম্প ডাউকি ফল্টেই হয়েছিল।

সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) পুর ও প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মুশতাক আহমদ বলেন, ‘টেকটোনিক প্লেটের বাউন্ডারি সিলেটের কাছাকাছি থাকায় এ অঞ্চল ভূমিকম্পের সবচেয়ে ঝুঁকিতে আছে। ডাউকি ফল্ট, সিলেট ফল্ট, ত্রিপুরা ফল্টের অবস্থান সিলেটের কাছাকাছি হওয়ায় ঝুঁকি অনেক বেশি। ডাউকির ভেতরে কিংবা বাইরে ভূ-কম্পন হলে সিলেটের জন্য তা হবে বিপজ্জনক।’

ট্যাগ:

এবার ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল সিলেটে: ৫ মিনিটের ব্যবধানে দুইবার ভূমিকম্প

প্রকাশের সময়: ০৯:০৬:৩৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫

ভূমিকম্পের ঝূঁকিপূর্ণ অঞ্চল হিসেবে চিহ্নিত সিলেটে আবারও ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। তাও ৫ মিনিটের ব্যবধানে দুই দফা ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে সিলেট ও মৌলভীবাজার। তারচেয়ে ভয়ঙ্কর তথ্য, এবারের দুটি ভূমিকম্পেরই উৎপত্তিস্থল সিলেটে। প্রথমটির সিলেটের বিয়ানীবাজারে ও দ্বিতীয়টির মৌলভীবাজারের বড়লেখায়।বুধবার দিবাগত রাত ২টা ৫০ মিনিট ৩১ সেকেন্ডে প্রথম ভূকম্পন অনুভূত হয়। এর মাত্রা ছিল ৩ দশমিক ৫। এর পরপরই রাত ২টা ৫৫ মিনিট ১৪ সেকেন্ডে আবারও কেঁপে ওঠে সিলেট ও মৌলভীবাজারের আশপাশ এলাকা। পরেরটির মাত্রা ছিল ৩ দশমিক ৩।

আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ ফারজানা সুলতানা জানান, প্রথম ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল সিলেটের বিয়ানীবাজারে ও দ্বিতীয়টির উৎপত্তিস্থল মৌলভীবাজারের বড়লেখায়।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ভূমিকম্পটি অল্পমাত্রার হলেও পাহাড়ি ও ভূমিকম্পপ্রবণ সিলেট অঞ্চলে একের পর এক ভূকম্পন মানুষের মধ্যে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে।জানা যায়, সিলেটের অবস্থান মেঘালয় সীমান্তে অবস্থিত সক্রিয় ডাউকি ফল্ট লাইনের কাছে। এই লাইনটি অত্যন্ত সক্রিয় এবং ভূতাত্ত্বিকদের মতে, প্রায় ১৩০ বছর পর এটি নতুন করে বড় মাত্রার ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে রয়েছে। ডাউকি ফল্ট ছাড়াও সিলেট ফল্ট এবং ত্রিপুরা ফল্টের অবস্থানও সিলেটের কাছাকাছি, যা এই অঞ্চলকে আরও ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলেছে। এ ছাড়া এই অঞ্চলে অতীতে বড় ধরনের ভূমিকম্পের ইতিহাস আছে। ১৮৯৭ সালের ‘বড় বৈছাল’ নামে পরিচিত ৮.৩ মাত্রার একটি ভয়াবহ ভূমিকম্প ডাউকি ফল্টেই হয়েছিল।

সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) পুর ও প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মুশতাক আহমদ বলেন, ‘টেকটোনিক প্লেটের বাউন্ডারি সিলেটের কাছাকাছি থাকায় এ অঞ্চল ভূমিকম্পের সবচেয়ে ঝুঁকিতে আছে। ডাউকি ফল্ট, সিলেট ফল্ট, ত্রিপুরা ফল্টের অবস্থান সিলেটের কাছাকাছি হওয়ায় ঝুঁকি অনেক বেশি। ডাউকির ভেতরে কিংবা বাইরে ভূ-কম্পন হলে সিলেটের জন্য তা হবে বিপজ্জনক।’