লন্ডন ১২:৪৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫, ৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সুনামগঞ্জে পাঁচ হাজার টিউবওয়েল অকেজো: কোটি টাকার প্রকল্প নিয়ে প্রশ্ন

সুনামগঞ্জ-৩ আসনের জগন্নাথপুর ও শান্তিগঞ্জ উপজেলায় স্থাপিত প্রায় পাঁচ হাজার সরকারি টিউবওয়েল অকেজো হয়ে পড়েছে। সাবেক পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নানের নির্বাচনী এলাকায় বিশেষ প্রকল্পের আওতায় এসব টিউবওয়েল স্থাপন করা হলেও দুই বছরের মাথায় বেশিরভাগ টিউবওয়েলে পানি উঠছে না, ফলে দুর্ভোগে পড়েছেন হাজারো গ্রামবাসী।

২০১৯-২০ অর্থবছরে শান্তিগঞ্জ ও জগন্নাথপুরে নিরাপদ পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন উন্নয়নের জন্য প্রায় ১০০ কোটি টাকার প্রকল্প নেওয়া হয়। এই প্রকল্পের আওতায় ৩৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ৫,৮০০টি হ্যান্ড টিউবওয়েল বসানো হলেও বেশিরভাগই এখন অকেজো। প্রকল্প বাস্তবায়নকারী কর্তৃপক্ষের দাবি, এ এলাকায় হ্যান্ড টিউবওয়েল বসানো উপযুক্ত ছিল না।

সরেজমিনে দেখা যায়, এমনকি সাবেক মন্ত্রীর নিজ বাড়ির টিউবওয়েলও অকেজো। স্থানীয়রা বলছেন, অপরিকল্পিতভাবে প্রকল্প বাস্তবায়ন করায় জনগণের কোটি কোটি টাকা অপচয় হয়েছে। শিমুলবাক গ্রামের এক বাসিন্দা বলেন, “টাকা দিয়েও পানি পেলাম না, বরং জায়গা দখল করে আছে টিউবওয়েলগুলো।”

উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী জানিয়েছেন, এ এলাকায় ভবিষ্যতে হ্যান্ড টিউবওয়েলের পরিবর্তে সাবমারসিবল টিউবওয়েল স্থাপনের সুপারিশ করা হয়েছে।

সচেতন নাগরিক কমিটির সভাপতি নাজমা বেগম বলেছেন, “এটি লুটপাটের প্রাথমিক স্টেজ। জনগণের সাথে প্রতারণা হয়েছে। দায়ীদের চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনতে হবে।”

ট্যাগ:
জনপ্রিয়

দিরাইয়ে ফুটপাত দখলে হাঁসফাঁস জনজীবনঃ উচ্ছেদেও মিলছে না সমাধান

সুনামগঞ্জে পাঁচ হাজার টিউবওয়েল অকেজো: কোটি টাকার প্রকল্প নিয়ে প্রশ্ন

প্রকাশের সময়: ০৯:০৭:০২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩ মার্চ ২০২৫

সুনামগঞ্জ-৩ আসনের জগন্নাথপুর ও শান্তিগঞ্জ উপজেলায় স্থাপিত প্রায় পাঁচ হাজার সরকারি টিউবওয়েল অকেজো হয়ে পড়েছে। সাবেক পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নানের নির্বাচনী এলাকায় বিশেষ প্রকল্পের আওতায় এসব টিউবওয়েল স্থাপন করা হলেও দুই বছরের মাথায় বেশিরভাগ টিউবওয়েলে পানি উঠছে না, ফলে দুর্ভোগে পড়েছেন হাজারো গ্রামবাসী।

২০১৯-২০ অর্থবছরে শান্তিগঞ্জ ও জগন্নাথপুরে নিরাপদ পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন উন্নয়নের জন্য প্রায় ১০০ কোটি টাকার প্রকল্প নেওয়া হয়। এই প্রকল্পের আওতায় ৩৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ৫,৮০০টি হ্যান্ড টিউবওয়েল বসানো হলেও বেশিরভাগই এখন অকেজো। প্রকল্প বাস্তবায়নকারী কর্তৃপক্ষের দাবি, এ এলাকায় হ্যান্ড টিউবওয়েল বসানো উপযুক্ত ছিল না।

সরেজমিনে দেখা যায়, এমনকি সাবেক মন্ত্রীর নিজ বাড়ির টিউবওয়েলও অকেজো। স্থানীয়রা বলছেন, অপরিকল্পিতভাবে প্রকল্প বাস্তবায়ন করায় জনগণের কোটি কোটি টাকা অপচয় হয়েছে। শিমুলবাক গ্রামের এক বাসিন্দা বলেন, “টাকা দিয়েও পানি পেলাম না, বরং জায়গা দখল করে আছে টিউবওয়েলগুলো।”

উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী জানিয়েছেন, এ এলাকায় ভবিষ্যতে হ্যান্ড টিউবওয়েলের পরিবর্তে সাবমারসিবল টিউবওয়েল স্থাপনের সুপারিশ করা হয়েছে।

সচেতন নাগরিক কমিটির সভাপতি নাজমা বেগম বলেছেন, “এটি লুটপাটের প্রাথমিক স্টেজ। জনগণের সাথে প্রতারণা হয়েছে। দায়ীদের চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনতে হবে।”