লন্ডন ০৬:০২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জীবন ও জীবিকা বাঁচাতে চরম আবহাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নেয়ার পরামর্শ বিশ্ব জলবায়ু সংস্থার

লবায়ু উত্তপ্তকারী এল নিনোর আগমন ঘোষণা করেছে বিশ্ব জলবায়ু সংস্থা (ডব্লিউএমও)।

কর্মকর্তারা সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, জীবন ও জীবিকা বাঁচাতে চরম আবহাওয়ার জন্য এখনই প্রস্তুতি আবশ্যক।

২০১৬ সালে সর্বশেষ বড় ধরনের এল নিনো ঘটেছিল। ওই বছর বিশ্বের সবচেয়ে উষ্ণ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল। মানব সৃষ্ট কার্বন নিঃসরণের মাত্রা বেড়ে যাওয়া নতুন করে এল নিনো সৃষ্টি হয়েছে। বিশ্বজুড়ে এরইমধ্যে জল ও স্থলের তাপমাত্রা রেকর্ড ভেঙে যাচ্ছে। বিশ্ব জলবায়ু সংস্থা একে ‘দ্বিগুণ দুর্ভাগ্য’ বলে অভিহিত করেছে।

বিশ্ব জলবায়ু সংস্থা জানিয়েছে, ২০২৩ সালের শেষ পর্যন্ত এল নিনোর প্রভাব মাঝারি ও শক্তিশালী মাত্রায় থাকার ৯০ শতাংশ সম্ভাবনা রয়েছে।

জুনের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্র পূর্বাভাস দিয়েছিল, বছরের শেষের দিকে শক্তিশালী এবং এমনকি আরও গরম এল নিনোর সম্ভাবনা ৫৬ শতাংশ।

পূর্ব ও মধ্যাঞ্চলীয় প্রশান্ত মহাসাগর এলাকায় সমুদ্রপৃষ্ঠের উষ্ণতা যখন স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি উষ্ণ থাকে তখন তাকে এল নিনো বলা হয়। এল নিনো কতটা শক্তিশালী তার ভিত্তিতে বিশ্বজুড়ে নির্দিষ্ট কিছু এলাকায় ভারী বৃষ্টি কিংবা খরার ঝুঁকি বাড়ে। এটি পৃথিবীর সবচেয়ে বড় প্রাকৃতিক জলবায়ু ঘটনা এবং কোটি কোটি মানুষকে প্রভাবিত করে।

এল নিনো সাধারণত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণে, দক্ষিণ আমেরিকার দক্ষিণে, আফ্রিকার হর্ন এবং মধ্য এশিয়ায় বন্যার মাত্রা বাড়ায়। একই সময় তীব্র তাপপ্রবাহ এবং খরা পূর্ব অস্ট্রেলিয়া, ইন্দোনেশিয়া, দক্ষিণ এশিয়া এবং মধ্য আমেরিকায় দেখা দেয়।

বিশ্ব জলবায়ু সংস্থার মহাসচিব পেটেরি তালাস বলেছেন, ‘এল নিনোর সূচনা তাপমাত্রার রেকর্ড ভঙ্গ করার এবং বিশ্বের অনেক অংশে ও সমুদ্রে আরো তীব্র তাপ সৃষ্টির সম্ভাবনাকে ব্যাপকভাবে বাড়াবে।

ডব্লিউএমও-এর ঘোষণা হচ্ছে, সারা বিশ্বের সরকারগুলোর জন্য প্রস্তুতিগুলোকে জোরদারের সংকেত। প্রারম্ভিক সতর্কতা এবং এই প্রধান জলবায়ু ঘটনার সাথে সম্পর্কিত চরম আবহাওয়ার ঘটনাগুলোর পূর্বাভাসমূলক পদক্ষেপ জীবন ও জীবিকা বাঁচানোর জন্য অত্যাবশ্যক।’

সূত্র: রয়টার্স
ডে-বা

ট্যাগ:

জীবন ও জীবিকা বাঁচাতে চরম আবহাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নেয়ার পরামর্শ বিশ্ব জলবায়ু সংস্থার

প্রকাশের সময়: ১০:১০:৪১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ জুলাই ২০২৩

লবায়ু উত্তপ্তকারী এল নিনোর আগমন ঘোষণা করেছে বিশ্ব জলবায়ু সংস্থা (ডব্লিউএমও)।

কর্মকর্তারা সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, জীবন ও জীবিকা বাঁচাতে চরম আবহাওয়ার জন্য এখনই প্রস্তুতি আবশ্যক।

২০১৬ সালে সর্বশেষ বড় ধরনের এল নিনো ঘটেছিল। ওই বছর বিশ্বের সবচেয়ে উষ্ণ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল। মানব সৃষ্ট কার্বন নিঃসরণের মাত্রা বেড়ে যাওয়া নতুন করে এল নিনো সৃষ্টি হয়েছে। বিশ্বজুড়ে এরইমধ্যে জল ও স্থলের তাপমাত্রা রেকর্ড ভেঙে যাচ্ছে। বিশ্ব জলবায়ু সংস্থা একে ‘দ্বিগুণ দুর্ভাগ্য’ বলে অভিহিত করেছে।

বিশ্ব জলবায়ু সংস্থা জানিয়েছে, ২০২৩ সালের শেষ পর্যন্ত এল নিনোর প্রভাব মাঝারি ও শক্তিশালী মাত্রায় থাকার ৯০ শতাংশ সম্ভাবনা রয়েছে।

জুনের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্র পূর্বাভাস দিয়েছিল, বছরের শেষের দিকে শক্তিশালী এবং এমনকি আরও গরম এল নিনোর সম্ভাবনা ৫৬ শতাংশ।

পূর্ব ও মধ্যাঞ্চলীয় প্রশান্ত মহাসাগর এলাকায় সমুদ্রপৃষ্ঠের উষ্ণতা যখন স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি উষ্ণ থাকে তখন তাকে এল নিনো বলা হয়। এল নিনো কতটা শক্তিশালী তার ভিত্তিতে বিশ্বজুড়ে নির্দিষ্ট কিছু এলাকায় ভারী বৃষ্টি কিংবা খরার ঝুঁকি বাড়ে। এটি পৃথিবীর সবচেয়ে বড় প্রাকৃতিক জলবায়ু ঘটনা এবং কোটি কোটি মানুষকে প্রভাবিত করে।

এল নিনো সাধারণত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণে, দক্ষিণ আমেরিকার দক্ষিণে, আফ্রিকার হর্ন এবং মধ্য এশিয়ায় বন্যার মাত্রা বাড়ায়। একই সময় তীব্র তাপপ্রবাহ এবং খরা পূর্ব অস্ট্রেলিয়া, ইন্দোনেশিয়া, দক্ষিণ এশিয়া এবং মধ্য আমেরিকায় দেখা দেয়।

বিশ্ব জলবায়ু সংস্থার মহাসচিব পেটেরি তালাস বলেছেন, ‘এল নিনোর সূচনা তাপমাত্রার রেকর্ড ভঙ্গ করার এবং বিশ্বের অনেক অংশে ও সমুদ্রে আরো তীব্র তাপ সৃষ্টির সম্ভাবনাকে ব্যাপকভাবে বাড়াবে।

ডব্লিউএমও-এর ঘোষণা হচ্ছে, সারা বিশ্বের সরকারগুলোর জন্য প্রস্তুতিগুলোকে জোরদারের সংকেত। প্রারম্ভিক সতর্কতা এবং এই প্রধান জলবায়ু ঘটনার সাথে সম্পর্কিত চরম আবহাওয়ার ঘটনাগুলোর পূর্বাভাসমূলক পদক্ষেপ জীবন ও জীবিকা বাঁচানোর জন্য অত্যাবশ্যক।’

সূত্র: রয়টার্স
ডে-বা