লন্ডন ০৭:৫০ অপরাহ্ন, সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দিরাইয়ে পশুর হাটে বিক্রি কম দুশ্চিন্তায় খামারিরা

সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে ৩টি পশুর হাট ক্রেতা-বিক্রেতাদের দর কষা-কষিতে মুখর হয়ে উঠেছে। এবারের ঈদে পশুর হাটগুলোতে দেশি ছোট ও মাঝারি আকারে গরু-ছাগলের চাহিদা বেশি রয়েছে। হাটে বড় আকারের অনেক গরু থাকলেও এসব গরু ঘিরে দর্শনার্থীদের ভিড় বেশি। তবে দরদামেই সীমাবদ্ধ থাকছেন ক্রেতারা।

স্থায়ী এবং অস্থায়ী হাটে সকাল থেকে শুরু হয়েছে কেনাবেচা। দিনভরই লেগে আছে ক্রেতার সমাগম। তবে গরুর দাম চড়া বলে অভিযোগ করছেন ক্রেতারা।

অপরদিকে বিক্রেতাদের দাবি, গো-খাদ্যের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় নির্ধারিত মূল্য মিলছে না তাদের। ফলে লাভ ও হচ্ছে না আশানুরূপ। এছাড়াও বড় গরু বিক্রি কম হওয়ায় এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন খামারীরা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হাটগুলোতে প্রচুর গরু এনেছেন বিক্রেতারা। হাটে ক্রেতা বিক্রেতার সমাগম ঘটেছে। তবে সে অনুপাতে গরু বিক্রি কম। বিক্রেতারা গরুর দাম বেশি বলছেন বলে জানান ক্রেতারা। তারপরও তারা দর কষাকষি করে অনেকেই গরু-ছাগল কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। এদিকে পশু রাখা ও পালন করার ঝামেলা এড়াতে অনেকেই শেষ সময়ে কোরবানির পশু কিনবেন বলে জানা গেছে।

উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, এবার উপজেলায় স্থায়ী ও অস্থায়ী মোট ৩টি পশুর হাট বসেছে। এর মধ্যে পৌর শহরে ১ টি, আকিলশাহ বাজার ও শ্যামারচর বাজারে ২টি পশুর হাট রয়েছে।

বিক্রেতারা জানান, কোরবানি ঘনিয়ে আসায় হাটে পশু বিক্রি দিন দিন বাড়ছে। সাধারণত ছোট গরু ৬৫ থেকে ৮৫ হাজার টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। মাঝারি গরু ১ লাখ থেকে দেড় লাখ টাকা এবং বড় গরু দেড় লাখ টাকার ওপরে বিক্রি হচ্ছে। আর ছোট ছাগল ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা, মধ্যম সাইজ ছাগল ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকা ও বড় ছাগল ১৫ হাজার টাকার ওপরে দাম রয়েছে।

হাটের ইজারাদার এমরান হোসেন বলেন, দিরাই পৌরসভা থেকে ১০ লাখ ৪২ হাজার টাকা ইজারা মূল্যে হাট এনেছি। ছোট ও মাঝারি গরু কিছু বিক্রি হচ্ছে, বড় গরু বিক্রি কম।
ঈদের আগে বিক্রি না বাড়লে বড় লোকসান হবে।

দিরাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক বলেন, পশুর হাট তদারকিতে মাঠে পুলিশের বিশেষ টিম রয়েছে। ক্রেতা-বিক্রেতারা যেন নির্বিঘ্নে কোরবানির পশু বেচাকেনা করতে পারেন সেজন্য পুলিশ তৎপর রয়েছে।

ট্যাগ:

লিবিয়া থেকে ফিরিয়ে আনা হলো ১৭৩ বাংলাদেশিকে

দিরাইয়ে পশুর হাটে বিক্রি কম দুশ্চিন্তায় খামারিরা

প্রকাশের সময়: ০৯:১০:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ জুন ২০২৫

সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে ৩টি পশুর হাট ক্রেতা-বিক্রেতাদের দর কষা-কষিতে মুখর হয়ে উঠেছে। এবারের ঈদে পশুর হাটগুলোতে দেশি ছোট ও মাঝারি আকারে গরু-ছাগলের চাহিদা বেশি রয়েছে। হাটে বড় আকারের অনেক গরু থাকলেও এসব গরু ঘিরে দর্শনার্থীদের ভিড় বেশি। তবে দরদামেই সীমাবদ্ধ থাকছেন ক্রেতারা।

স্থায়ী এবং অস্থায়ী হাটে সকাল থেকে শুরু হয়েছে কেনাবেচা। দিনভরই লেগে আছে ক্রেতার সমাগম। তবে গরুর দাম চড়া বলে অভিযোগ করছেন ক্রেতারা।

অপরদিকে বিক্রেতাদের দাবি, গো-খাদ্যের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় নির্ধারিত মূল্য মিলছে না তাদের। ফলে লাভ ও হচ্ছে না আশানুরূপ। এছাড়াও বড় গরু বিক্রি কম হওয়ায় এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন খামারীরা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হাটগুলোতে প্রচুর গরু এনেছেন বিক্রেতারা। হাটে ক্রেতা বিক্রেতার সমাগম ঘটেছে। তবে সে অনুপাতে গরু বিক্রি কম। বিক্রেতারা গরুর দাম বেশি বলছেন বলে জানান ক্রেতারা। তারপরও তারা দর কষাকষি করে অনেকেই গরু-ছাগল কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। এদিকে পশু রাখা ও পালন করার ঝামেলা এড়াতে অনেকেই শেষ সময়ে কোরবানির পশু কিনবেন বলে জানা গেছে।

উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, এবার উপজেলায় স্থায়ী ও অস্থায়ী মোট ৩টি পশুর হাট বসেছে। এর মধ্যে পৌর শহরে ১ টি, আকিলশাহ বাজার ও শ্যামারচর বাজারে ২টি পশুর হাট রয়েছে।

বিক্রেতারা জানান, কোরবানি ঘনিয়ে আসায় হাটে পশু বিক্রি দিন দিন বাড়ছে। সাধারণত ছোট গরু ৬৫ থেকে ৮৫ হাজার টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। মাঝারি গরু ১ লাখ থেকে দেড় লাখ টাকা এবং বড় গরু দেড় লাখ টাকার ওপরে বিক্রি হচ্ছে। আর ছোট ছাগল ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা, মধ্যম সাইজ ছাগল ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকা ও বড় ছাগল ১৫ হাজার টাকার ওপরে দাম রয়েছে।

হাটের ইজারাদার এমরান হোসেন বলেন, দিরাই পৌরসভা থেকে ১০ লাখ ৪২ হাজার টাকা ইজারা মূল্যে হাট এনেছি। ছোট ও মাঝারি গরু কিছু বিক্রি হচ্ছে, বড় গরু বিক্রি কম।
ঈদের আগে বিক্রি না বাড়লে বড় লোকসান হবে।

দিরাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক বলেন, পশুর হাট তদারকিতে মাঠে পুলিশের বিশেষ টিম রয়েছে। ক্রেতা-বিক্রেতারা যেন নির্বিঘ্নে কোরবানির পশু বেচাকেনা করতে পারেন সেজন্য পুলিশ তৎপর রয়েছে।