লন্ডন ০১:১৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫, ৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ওবায়দুল কাদের কীভাবে দেশ ছাড়লেন, ব্যাখ্যা চায় ট্রাইব্যুনাল

 

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের কীভাবে দেশ ত্যাগ করেছেন, তা জানতে চেয়ে পুলিশের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। পুলিশের মহাপরিদর্শককে (আইজিপি) আগামী ১৫ দিনের মধ্যে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ‘গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধ’ মামলার শুনানি শেষে চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম এসব তথ্য জানান।

তাজুল ইসলাম বলেন, “আমরা আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি যে ওবায়দুল কাদের গত তিন মাস ধরে বাংলাদেশে ছিলেন। গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হওয়ার পরও তিনি কীভাবে দেশের ভেতরে অবস্থান করছিলেন এবং পরবর্তী সময়ে কীভাবে সীমান্ত অতিক্রম করলেন, তা জানতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে।” আদালত এ ব্যাখ্যা দিতে ১৫ দিনের সময় দিয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, “আদালতের নির্দেশনার পরও যদি কেউ তাকে পালাতে সাহায্য করে থাকেন, তাহলে আইন অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।”

এছাড়া, গুমের ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্পৃক্ততার বিষয়ে গুম কমিশনের রিপোর্ট ট্রাইব্যুনালে উপস্থাপন করা হয়েছে বলে জানান তিনি। রিপোর্টে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনা জুলাই-আগস্ট গণহত্যার পরিকল্পনার নিউক্লিয়াস ছিলেন। তার বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ করার জন্য ট্রাইব্যুনাল আরও দুই মাস সময় দিয়েছে।

এর পাশাপাশি, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারির অগ্রগতি সম্পর্কেও আইজিপির কাছে জানতে চেয়েছে ট্রাইব্যুনাল।

 

ট্যাগ:
জনপ্রিয়

দিরাইয়ে ফুটপাত দখলে হাঁসফাঁস জনজীবনঃ উচ্ছেদেও মিলছে না সমাধান

ওবায়দুল কাদের কীভাবে দেশ ছাড়লেন, ব্যাখ্যা চায় ট্রাইব্যুনাল

প্রকাশের সময়: ০৮:২৯:৩৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪

 

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের কীভাবে দেশ ত্যাগ করেছেন, তা জানতে চেয়ে পুলিশের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। পুলিশের মহাপরিদর্শককে (আইজিপি) আগামী ১৫ দিনের মধ্যে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ‘গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধ’ মামলার শুনানি শেষে চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম এসব তথ্য জানান।

তাজুল ইসলাম বলেন, “আমরা আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি যে ওবায়দুল কাদের গত তিন মাস ধরে বাংলাদেশে ছিলেন। গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হওয়ার পরও তিনি কীভাবে দেশের ভেতরে অবস্থান করছিলেন এবং পরবর্তী সময়ে কীভাবে সীমান্ত অতিক্রম করলেন, তা জানতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে।” আদালত এ ব্যাখ্যা দিতে ১৫ দিনের সময় দিয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, “আদালতের নির্দেশনার পরও যদি কেউ তাকে পালাতে সাহায্য করে থাকেন, তাহলে আইন অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।”

এছাড়া, গুমের ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্পৃক্ততার বিষয়ে গুম কমিশনের রিপোর্ট ট্রাইব্যুনালে উপস্থাপন করা হয়েছে বলে জানান তিনি। রিপোর্টে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনা জুলাই-আগস্ট গণহত্যার পরিকল্পনার নিউক্লিয়াস ছিলেন। তার বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ করার জন্য ট্রাইব্যুনাল আরও দুই মাস সময় দিয়েছে।

এর পাশাপাশি, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারির অগ্রগতি সম্পর্কেও আইজিপির কাছে জানতে চেয়েছে ট্রাইব্যুনাল।