সিলেট থেকে ইউরোপ, আমেরিকা ও মধ্যপ্রাচ্যে পণ্য রপ্তানির অপার সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষ করে এই অঞ্চলে উৎপাদিত সাইট্রাস জাতীয় ফল, সবজি ও বিভিন্ন ধরনের কৃষিপণ্যের বাজার রয়েছে বহির্বিশ্বে। সিলেটের প্রবাসীরাই হচ্ছেন এসব পণ্যের মূল ক্রেতা।
সিলেট থেকে কৃষিপণ্য রপ্তানির সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও ‘প্যাকিং হাউস’ না থাকায় কোনো পণ্য রপ্তানি সম্ভব হচ্ছে না। ২৬ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অত্যাধুনিক কার্গো কমপ্লেক্সটিও তাই অব্যবহৃত রয়েছে। ব্যবসায়ীদের মতে, ২-৩ কোটি টাকায় একটি প্যাকিং হাউস নির্মাণ করা হলে সিলেট থেকেই বিদেশে কৃষি ও কুঠির শিল্পপণ্য রপ্তানি করা সম্ভব হবে।
সিলেটের নাগা মরিচ, সাতকরা, জারা লেবু, ঢাকাদক্ষিণের লতি, তইকর, এবং খাসিয়া পানসহ বিভিন্ন পণ্যের ইউরোপ, আমেরিকা ও মধ্যপ্রাচ্যে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এসব পণ্যের প্রধান ক্রেতা প্রবাসী সিলেটিরা। সরাসরি ফ্লাইট চালু থাকলেও রপ্তানির জন্য প্যাকিং হাউস না থাকায় ব্যবসায়ীরা বর্তমানে ঢাকা থেকে এসব পণ্য রপ্তানি করতে বাধ্য হচ্ছেন, যা সময় ও ব্যয়ের চাপ বাড়াচ্ছে।
২০২২ সালে ওসমানী বিমানবন্দরে ১০০ টন ধারণক্ষমতার অত্যাধুনিক কার্গো কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হলেও প্যাকিং হাউসের অভাবে সেটি কার্যকর হয়নি। স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মতে, সিলেটে একটি প্যাকিং হাউস স্থাপিত হলে স্থানীয় কৃষিপণ্যের উৎপাদন ও মান বাড়বে এবং বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন সহজ হবে।
জালালাবাদ ভেজিটেবল অ্যান্ড ফ্রোজেন ফিশ এক্সপোর্ট গ্রুপের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, কৃষিপণ্য রপ্তানির জন্য মাননিয়ন্ত্রণ ও নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় সংরক্ষণ অত্যাবশ্যক। তবে প্যাকিং হাউস না থাকায় ব্যবসায়ীদের নারায়ণগঞ্জের শ্যামপুরের প্যাকিং হাউস ব্যবহার করতে হচ্ছে। এতে খরচ বাড়ছে।
সম্প্রতি বেসরকারি বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব নাসরিন জাহান সিলেটে এসে প্যাকিং হাউস স্থাপনের আশ্বাস দিয়েছেন। তবে এটি বাস্তবায়ন না হলে কার্গো কমপ্লেক্সও কোনো কাজে আসবে না বলে মত দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।