নতুন বছরের প্রথম দিন সীমিত পরিসরে শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে নতুন বই। আগের বছরগুলোর মতো ঘটা করে হয়নি এবারের বই উৎসব। ২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের জন্য বই ছাপানোয় জটিলতা ও বই সংস্কারে সময় লাগায় বছরের প্রথমদিন সবার হাতে বই তুলে দিতে পােও নি সরকার। তবে প্রাথমিকে প্রাক প্রাথমিক থেকে তৃতীয় শ্রেণির কিছু বই আসায় তুলে দেয়া হয়েছে শিক্ষার্থীদের হাতে। নতুন বছরে বই হাতে না পেয়ে ব্যথিত শিক্ষার্থীরা।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের দেয়া তথ্যমতে, বছরের প্রথম দিন প্রাক প্রাথমিক থেকে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত সাড়ে সাত লক্ষ বই শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। জেলার ১১ উপজেলায় প্রাক প্রাথমিকে ২১ হাজার ৩৭৮টি, প্রথম শ্রেণিতে ২ লাখ ১৪ হাজার ৬২১টি, দ্বিতীয় শ্রেণিতে ১ লাখ ৯৭ হাজার ৬০৭টি, তৃতীয় শ্রেণিতে ৩ লাখ ১২ হাজার ৭২০টি বই বিতরণ করা হয়েছে। চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির কোন বই স্কুলে পৌঁছায় নি।
তাহিরপুরের পুরানখালাস সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক শরীফ উদ্দিন বলেন, আমাদের স্কুলে প্রথম থেকে তৃতীয় শ্রেণির বই এসে পৌঁছেছে। বছরের প্রথম দিন শিক্ষার্থীদের হাতে আমরা বইগুলো তুলে দিয়েছি। চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির বই না পাওয়ায় বিতরণ করা যায় নি।
প্রাথমিকের চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির মতো একটি বইও জোটেনি উচ্চ মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীদের। জেলার কোথাও উচ্চ বিদ্যালয়গুলোতে বছরের প্রথম দিন বই পৌঁছায়নি। তাই প্রথম দিন বিদ্যালয়ে এসে খালি হাতে ফিরেছে শিক্ষার্থীরা। এতে তাদের মনে অনেকটা বেদনার ছাপ দেখা দিলেও, পরের দিন বই পাওয়ার খবরে আনন্দিত তারা।
এইচএমপি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ইনছান মিঞা বললেন, আমাদের কাছে বই এসে না পৌঁছায় আমরা বিতরণ করতে পারি নি। তবে আগামীকাল (২ জানুয়ারি) সকালে বই এসে পৌঁছানোর কথা, আসলে এদিনই আমরা দিয়ে দিব।
সরকারি জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) আবু নোমান মো. শফিকুর রহমান বললেন, বছরের প্রথম দিন বই না পেলে শিক্ষার্থীরা মন খারাপ থাকবে এটাই স্বাভাবিক। আমরা বই দিতে পারি নি তাদেরকে। তবে অতটা মন খারাপ ছিলো না। কারণ আগামীকালকে ষষ্ঠ শ্রেণির বই চলে আসবে।
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম বললেন, বছরের শুরু হলেও বই না আসায় এবার উচ্চ মাধ্যমিকে আমরা প্রথম দিন জেলার কোন বিদ্যালয়ে একটি বইও তুলে দিতে পারি নি। কালকে থেকে বই আসা শুরু হবে। আসার পর পর বিতরণও শুরু হবে।