সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভপুর উপজেলার মাছিমপুর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশী যুবক হত্যার প্রতিবাদ জানিয়েছে সুনামগঞ্জ ব্যাটালিয়ন (২৮ বিজিবি।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বিএসএফের প্রতিনিধি দলের সাথে পতাকা বৈঠকে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিবাদ জানান সুনামগঞ্জ ব্যাটালিয়ন (২৮ বিজিবি) এর অধিনায়ক একেএম জাকারিয়া কাদিরা।
জানা যায়, সুনামগঞ্জ ব্যাটালিয়ন (২৮ বিজিবি) এর অধীনস্থ তাহিরপুর উপজেলাধীন লাউরগড় বিওপির দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত পিলার ১২০৩/৮-এস এর নিকটবর্তী সায়েদাবাদ-নালিকাটা বর্ডার হাট নামক স্থানে সুনামগঞ্জ ব্যাটালিয়ন (২৮ বিজিবি) এর অধিনায়ক লে: কর্নেল এ কে এম জাকারিয়া কাদির এবং ১৯৩ ব্যাটালিয়ন বিএসএফ, শিলং কমান্ড্যান্ট শ্রী রাজিব কুমার এর মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত বৈঠকে বিজিবি’র পক্ষে ১২ সদস্য বিশিষ্ট প্রতিনিধি দল এবং ভারতের ১৯৩ ব্যাটালিয়ন বিএসএফ এর পক্ষে ১২ সদস্য বিশিষ্ট একটি প্রতিনিধি দল উপস্থিত ছিলেন।
পতাকা বৈঠকে গত ০৮ জানুয়ারি সুনামগঞ্জ এর উপর সীমান্ত পিলার হতে আনুমানিক ২০-৩০ গজ ভারতের অভ্যন্তরে বাংলাদেশ নাগরিক মো: সাইদুল ইসলাম (২২) গুলি করে হত্যার বিষয়ে ব্যাটালিয়ন (২৮ বিজিবি) কর্তৃক জোর প্রতিবাদ জানানো হয়। ব্যাটালিয়ন (২৮ বিজিবি) এর অধিনায়ক একেএম জাকারিয়া কাদির হত্যাকান্ডের বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চান।
প্রতিউত্তরে বিএসএফ কমান্ড্যান্ট জানান, ”১৯৩ ব্যাটালিয়ন বিএসএফ করাইগড়া ক্যাম্পের দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় বাংলাদেশী নাগরিকের উপর ফায়ার এর ব্যাপারে বিএসএফ এবং পুলিশের সমন্বয়ে একটি তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে। তদন্ত শেষে ফায়ারের সম্পৃক্ততার বিষয়টি জানানো হবে”।
দুই দেশীয় পতাকা বৈঠেক সীমান্তে আহত, নিহত ও ফায়ারিং দুর্ঘটনা বন্ধ করনের বিষয়ে আলোচনা করা হয়। পতাকা বৈঠক অদ্য ১১৫০ ঘটিকায় সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে সম্পন্ন হয়। পতাকা বৈঠক শেষে অধিনায়ক, সুনামগঞ্জ ব্যাটালিয়ন (২৮ বিজিবি) কর্তৃক মাছিমপুর বিওপি এর অধীনস্থ গামারীতলায় নিহত হওয়ার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং সীমান্তবর্তী এলাকার স্থানীয় জনগনের সাথে মতবিনিময় করেন। বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।