লন্ডন ০১:১৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫, ৩ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে দেড় কোটি টাকার মাছ লুট

 

সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার চরনারচর ইউনিয়নের কামান বিলে দেড় কোটি টাকার মাছ লুটের ঘটনা ঘটেছে। মাছ শিকার করতে আসা হাজার হাজার মানুষকে উল্লাস করতে দেখা গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় দুই-তিনটি গ্রামের প্রায় হাজার খানেক মানুষ পলো, ছোট ছোট জাল ও মাছ ধরার বিভিন্ন উপকরণ নিয়ে কামান বিলে নেমে পড়ে। এসময় কামান বিলের ইজারা প্রাপ্ত চরনারচর এবিএম মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সদস্যরা বাধা দিলেও জনতা তা উপেক্ষা করে মাছ ধরা চালিয়ে যায়।

মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সদস্যদের দাবি, এ ঘটনায় প্রায় দেড় কোটি টাকার মাছ লুট হয়েছে।

ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়ার পর শুক্রবার দিনভর এবং রাতভর আশপাশের উপজেলা ও বিভিন্ন গ্রামের হাজার হাজার মানুষ সেখানে ভিড় জমায়। স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, শনিবার সকালে সেখানে ২০ হাজারেরও বেশি মানুষ জড়ো হয়।

চরনারচর এবিএম মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক সুধির বিশ্বাস অভিযোগ করে বলেন, “১৯৭ একর জায়গাজুড়ে বিস্তৃত কামান বিলে মাছ ধরতে পাঁচ মাস সময় লাগে। ৪০ জন জেলে দীর্ঘদিন ধরে পরিশ্রম করে যমুনা নামে পরিচিত মূল অংশে মাছ সংরক্ষণ করেছিল। পরিকল্পনা অনুযায়ী, শুক্রবার ওই মাছ ধরার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। তবে এলাকার একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান থাকায় তা এক সপ্তাহ পিছিয়ে দেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছিল। কিন্তু স্থানীয়রা তা উপেক্ষা করে বৃহস্পতিবার রাতেই শুনতে পাই, শুক্রবার পলো বাইচ হবে।”

দিরাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক জানান, “আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। হাজার হাজার মানুষ মাছ ধরে নিয়ে গেছে। এ ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি। মামলা হলে তদন্তক্রমে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

ট্যাগ:
জনপ্রিয়

সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে দেড় কোটি টাকার মাছ লুট

প্রকাশের সময়: ০৯:১৯:২৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২ মার্চ ২০২৫

 

সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার চরনারচর ইউনিয়নের কামান বিলে দেড় কোটি টাকার মাছ লুটের ঘটনা ঘটেছে। মাছ শিকার করতে আসা হাজার হাজার মানুষকে উল্লাস করতে দেখা গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় দুই-তিনটি গ্রামের প্রায় হাজার খানেক মানুষ পলো, ছোট ছোট জাল ও মাছ ধরার বিভিন্ন উপকরণ নিয়ে কামান বিলে নেমে পড়ে। এসময় কামান বিলের ইজারা প্রাপ্ত চরনারচর এবিএম মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সদস্যরা বাধা দিলেও জনতা তা উপেক্ষা করে মাছ ধরা চালিয়ে যায়।

মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সদস্যদের দাবি, এ ঘটনায় প্রায় দেড় কোটি টাকার মাছ লুট হয়েছে।

ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়ার পর শুক্রবার দিনভর এবং রাতভর আশপাশের উপজেলা ও বিভিন্ন গ্রামের হাজার হাজার মানুষ সেখানে ভিড় জমায়। স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, শনিবার সকালে সেখানে ২০ হাজারেরও বেশি মানুষ জড়ো হয়।

চরনারচর এবিএম মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক সুধির বিশ্বাস অভিযোগ করে বলেন, “১৯৭ একর জায়গাজুড়ে বিস্তৃত কামান বিলে মাছ ধরতে পাঁচ মাস সময় লাগে। ৪০ জন জেলে দীর্ঘদিন ধরে পরিশ্রম করে যমুনা নামে পরিচিত মূল অংশে মাছ সংরক্ষণ করেছিল। পরিকল্পনা অনুযায়ী, শুক্রবার ওই মাছ ধরার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। তবে এলাকার একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান থাকায় তা এক সপ্তাহ পিছিয়ে দেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছিল। কিন্তু স্থানীয়রা তা উপেক্ষা করে বৃহস্পতিবার রাতেই শুনতে পাই, শুক্রবার পলো বাইচ হবে।”

দিরাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক জানান, “আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। হাজার হাজার মানুষ মাছ ধরে নিয়ে গেছে। এ ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি। মামলা হলে তদন্তক্রমে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”