সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে ৩টি পশুর হাটে ক্রেতা-বিক্রেতাদের দর কষা-কষিতে মুখর হয়ে উঠেছে। এবারের ঈদে পশুর হাটগুলোতে দেশি গরু-ছাগলের চাহিদা বেশি রয়েছে। স্থায়ী এবং অস্থায়ী হাটে সকাল থেকে শুরু হয়েছে কেনাবেচা। দিনভরই লেগে আছে ক্রেতার সমাগম।
তবে গরুর দাম চড়া বলে অভিযোগ করছেন ক্রেতারা। অপরদিকে বিক্রেতাদের দাবি, গো-খাদ্যের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় নির্ধারিত মূল্য মিলছে না তাদের। ফলে লাভ ও হচ্ছে না আশানুরূপ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হাটগুলোতে প্রচুর গরু এনেছেন বিক্রেতারা। হাটে ক্রেতা বিক্রেতার সমাগমে যেন তিল ধারণের ঠাঁই নেই। তবে সে অনুপাতে গরু বিক্রি কম। বিক্রেতারা গরুর দাম বেশি বলছেন বলে জানান ক্রেতারা। তারপরও তারা দর কষাকষি করে অনেকেই পশু কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।
এদিকে পশু রাখা ও পালন করার ঝামেলা এড়াতে অনেকেই শেষ সময়ে কোরবানির পশু কিনবেন বলে জানা গেছে।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, এবার উপজেলায় স্থায়ী ও অস্থায়ী মোট ৩টি পশুর হাট বসেছে। এর মধ্যে পৌর শহরে ১ টি, আকিলবাজার ও শ্যামারচর বাজারে ২টি পশুর হাট রয়েছে।
বিক্রেতারা জানান, কোরবানি ঘনিয়ে আসায় হাটে পশু বিক্রি দিন দিন বাড়ছে। সাধারণত ছোট গরু ৬৫ থেকে ৮৫ হাজার টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। মাঝারি গরু ৯০ থেকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা এবং বড় গরু দেড় লাখ টাকার ওপরে বিক্রি হচ্ছে। আর ছোট ছাগল ৬ থেকে ৮ হাজার টাকা, মধ্যম সাইজ ছাগল ৯ থেকে ১৩ হাজার টাকা ও বড় ছাগল ১৫ হাজার টাকার ওপরে দাম রয়েছে।
হাটের ইজারাদার এমরান হোসেন বলেন, দিরাই পৌরসভা থেকে ৭ লাখ টাকা ইজারা মূল্যে হাট এনেছি। ঈদের আগে আজকেই শেষ হাট। বিক্রি না বাড়লে বড় লোকসান হবে।
দিরাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কাজী মোক্তাদির হোসেন বলেন, পশুর হাট তদারকিতে মাঠে পুলিশের বিশেষ টিম রয়েছে। ক্রেতা-বিক্রেতারা যেন নির্বিঘ্নে কোরবানির পশু বেচাকেনা করতে পারেন সেজন্য পুলিশ তৎপর রয়েছে।