ঈদুল আজহায় অসহায় ও দরিদ্র পরিবারে পশু কুরবানি দেয়া সম্ভব হয় না। আত্মীয় স্বজন বা পাড়া প্রতিবেশীরা দিলে সে মাংস ঘরে নিয়ে রান্না করে খাওয়া হয়। এছাড়া সারা বছরে একবারও মাংস কিনে খাওয়ার সামর্থ্য নেই অনেকের। পশ্চিম দিরাইয়ে অধিকাংশ মানুষই হতদরিদ্র। তাদের টানাপোড়েনের সংসারে তিনবেলা খাবার জোগানোই দায়, সেখানে গরুর মাংস তো দূরের কথা। সেইসব দরিদ্র মানুষদের দুয়ারে কুরবানির মাংস পৌঁছে দিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদুর রহমান মামুন।
বৃহস্পতিবার (২৯ জুন) ঈদুল আজহার দিন দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত তিনি উপজেলার দুর্গম এলাকা বাসাকরচ গ্রামসহ মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর উপহার ঘরগুলোর বাসিন্দা ৮৪ টি পরিবারের মাঝে কুরবানির মাংস পৌঁছে দেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জনি রায়, দিরাই অনলাইন প্রেসক্লাব সভাপতি মুজাহিদ সর্দার তালহা প্রমুখ।
প্রধানমন্ত্রীর উপহার দেয়া ঘরের বাসিন্দা সমতারা বিবি দিনমজুর স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকেই ছেলেদের সংসারেই থাকেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দেয়া কুরবানির মাংসের প্যাকেট হাতে পেয়ে চোখ যেন পানিতে টলটল করেছে। শুধু সমতারা বিবি নয় আয়মনা বেগম, মমতাজ বেগম, কুলসুম বেগমসহ একাধিক নারীর চোখে পানি আর কষ্টের ছাপ। তাদের মধ্যে অধিকাংশই বিধবা বা স্বামী পরিত্যক্তা। সবার চোখে পানি টলটল করলেও মাংস হাতে পেয়ে মুখে হাসি ফুটেছে। তাদের চোখে পানি থাকলেও মুখে হাসি দেখা যায়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদুর রহমান মামুন বলেন, মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দেয়া উপহার ঘরগুলোর বাসিন্দা উপজেলার ৮৪ টি পরিবারের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে কুরবানির মাংস পৌঁছে দিয়েছি। এছাড়াও বিগত কিছুদিন পূর্বে সিলেট ঢাকা মহাসড়কে দূর্ঘটনায় নিহত ৭ টি পরিবারের মাঝে কোরবানির মাংস পৌঁছে দেয়া হয়েছে।