লন্ডন ০৫:২৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫, ৫ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সাবেক মেয়রসহ পাঁচ আওয়ামী লীগ নেতা আদালতে আত্মসমর্পণ

সুনামগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র নাদের বখ্তসহ আওয়ামী লীগের পাঁচ নেতা রবিবার আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন। বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নির্জন কুমার মিত্র তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

রবিবার সকাল সাড়ে ১১টায় জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র নাদের বখ্ত, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি সোয়েব চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক জুবায়ের আহমদ অপু, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য শাহারুল আলম আফজল, এবং ছাত্রলীগ কর্মী মুছিবুর রহমান আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। আত্মসমর্পণের সময় তাদের সমর্থক ও স্বজনরা আদালত প্রাঙ্গণে ভিড় জমান।

আদালতের রায়ের পর নাদের বখ্তের সমর্থকরা ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেন, যা নিয়ে আদালত প্রাঙ্গণে উত্তেজনা দেখা দেয়। বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা এই স্লোগানকে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগ এনে প্রতিবাদ জানান। জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট জিয়াউর রহিম শাহীন বলেন, “জয় বাংলা জাতীয় স্লোগান নয়। আদালত প্রাঙ্গণে এ ধরনের স্লোগান দিয়ে তারা পরিস্থিতি উত্তেজিত করার চেষ্টা করেছেন। আমরা আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাই।”

অন্যদিকে, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এবং জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম বলেন, “সাবেক মেয়রসহ আত্মসমর্পণকারী নেতারা নির্দোষ। ঘটনাস্থলে তারা ছিলেন না। আমরা আদালতে তাদের জামিনের আবেদন করেছি, কিন্তু তা মঞ্জুর হয়নি।”

কোর্ট ইন্সপেক্টর আকবর হোসেন জানান, আদালতের নির্দেশে নাদের বখ্তসহ পাঁচজনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ৪ আগস্ট ছাত্র-জনতার মিছিলে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের হামলায় দোয়ারাবাজার উপজেলার এরোয়াখাই গ্রামের জহুর আলীর ভাই হাফিজ আহমদ বাদী হয়ে মামলা করেন। এতে নাদের বখ্তসহ এজাহারভুক্ত ৯৯ জনের নাম উল্লেখ করে ২০০ জনকে আসামি করা হয়। এর আগে এই মামলায় সাবেক মন্ত্রী এমএ মান্নান ও সাবেক এমপি মুহিবুর রহমান মানিক গ্রেপ্তার হয়ে জেল খেটেছেন।

ট্যাগ:
জনপ্রিয়

সাবেক মেয়রসহ পাঁচ আওয়ামী লীগ নেতা আদালতে আত্মসমর্পণ

প্রকাশের সময়: ০৬:১৫:৫২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪

সুনামগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র নাদের বখ্তসহ আওয়ামী লীগের পাঁচ নেতা রবিবার আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন। বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নির্জন কুমার মিত্র তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

রবিবার সকাল সাড়ে ১১টায় জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র নাদের বখ্ত, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি সোয়েব চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক জুবায়ের আহমদ অপু, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য শাহারুল আলম আফজল, এবং ছাত্রলীগ কর্মী মুছিবুর রহমান আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। আত্মসমর্পণের সময় তাদের সমর্থক ও স্বজনরা আদালত প্রাঙ্গণে ভিড় জমান।

আদালতের রায়ের পর নাদের বখ্তের সমর্থকরা ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেন, যা নিয়ে আদালত প্রাঙ্গণে উত্তেজনা দেখা দেয়। বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা এই স্লোগানকে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগ এনে প্রতিবাদ জানান। জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট জিয়াউর রহিম শাহীন বলেন, “জয় বাংলা জাতীয় স্লোগান নয়। আদালত প্রাঙ্গণে এ ধরনের স্লোগান দিয়ে তারা পরিস্থিতি উত্তেজিত করার চেষ্টা করেছেন। আমরা আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাই।”

অন্যদিকে, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এবং জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম বলেন, “সাবেক মেয়রসহ আত্মসমর্পণকারী নেতারা নির্দোষ। ঘটনাস্থলে তারা ছিলেন না। আমরা আদালতে তাদের জামিনের আবেদন করেছি, কিন্তু তা মঞ্জুর হয়নি।”

কোর্ট ইন্সপেক্টর আকবর হোসেন জানান, আদালতের নির্দেশে নাদের বখ্তসহ পাঁচজনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ৪ আগস্ট ছাত্র-জনতার মিছিলে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের হামলায় দোয়ারাবাজার উপজেলার এরোয়াখাই গ্রামের জহুর আলীর ভাই হাফিজ আহমদ বাদী হয়ে মামলা করেন। এতে নাদের বখ্তসহ এজাহারভুক্ত ৯৯ জনের নাম উল্লেখ করে ২০০ জনকে আসামি করা হয়। এর আগে এই মামলায় সাবেক মন্ত্রী এমএ মান্নান ও সাবেক এমপি মুহিবুর রহমান মানিক গ্রেপ্তার হয়ে জেল খেটেছেন।