লন্ডন ০৫:২৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫, ২ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তরুণদের উন্নয়নের স্রোতধারায় যুক্ত করলে দেশ উন্নত হবে

 

দেশে জনসংখ্যার প্রায় ৪৫ থেকে ৫০ শতাংশ ১৫ থেকে ৪৫ বছরের মধ্যে। এই কর্মক্ষম বিশাল জনশক্তি যদি একটি গাছ লাগায়, তাহলে দেশে অনেক বড় পরিবর্তন হবে। যদি এরা চিন্তা করে আমি এমন একটি জিনিস বানাবো, যা বিদেশে রপ্তানি করে ডলার আয় সম্ভব, তাহলে অনেক বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জন করা যাবে।

সেজন্য তরুণদের যোগ্য করে গড়ে তুলতে হবে। আগে তরুণদের যোগ্য করার আয়োজনটা ছিল প্রশ্নবিদ্ধ। শিক্ষক তৈরি হয়নি, অথচ আমরা ইউনিভার্সিটি বানিয়ে দিয়েছি, প্রতি জেলায় জেলায় ইউনিভার্সিটি হচ্ছে। কিন্তু আমাদের মাননীয় শিক্ষা উপদেষ্টাই বলেছেন যে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেসব ছাত্ররা পড়ালেখা করে তারা ‘আপ টু দা মার্ক’ নয়। কেনো হলো না, সে বিষয়ে কোন ধরনের কথা বলা হচ্ছে না। সেজন্য তরুণদেরকে যোগ্য করে গড়ে তুলে অর্থনৈতিক উন্নয়নের মূল স্রোতধারায় সংযুক্ত করতে পারলে বাংলাদেশ উন্নত দেশে পরিণত হবে। আমাদের দেশে ভূগর্ভস্ত লোহা নাই, স্বর্ণ নাই। কিন্তু আমাদের মানুষ আছে, এর থেকে বড় সম্পদ আর কিছু নাই।

শনিবার বেলা ১১ টায় সুনামগঞ্জ ঐতিহ্য জাদুঘর প্রাঙ্গণে সুনামগঞ্জ জেলা তথ্য অফিস, গণযোগাযোগ অধিদপ্তর, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় ও সুনামগঞ্জ যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উদ্যোগে এবং জেলা প্রশাসনের আয়োজনে ‘বিজয়ের উল্লাসে, তারুণ্যের উচ্ছ্বাসে’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া।

অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. রেজাউল করিম’র সভাপতিত্বে ও জেলা তথ্য অফিসার শুভ রায় সুমন’র সঞ্চালনায় তিনি আরও বলেন, আমরা একটা বিশেষ সময় অতিবাহিত করছি। প্রত্যেকটা জাতির জীবনে এই সময়টা একবার আসে। এরপরে আসলেও ১০০ বছর, ২০০ বছর সময় লাগবে। আমাদের ইংরেজিতে এটাকে বলে ‘পপুলেশন ডিভিডেন্ড’।

মানে যে পপুলেশনটা আছে সেটা বিনিয়োগ করলে শেয়ার কিনলে যে রকম বছরের শেষে মুনাফা পাই, আমাদের জনগণের কাছ থেকেও এরকম একটা মুনাফা পাবো, সেই সময়টা এখন চলছে।

আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সমর কুমার পাল, সুনামগঞ্জ জেলা তথ্য অফিসের উপপরিচালক শেখ ওয়ালিদ ফয়েজ, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. শাহনুর আলম, সরকারি জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আ.ন.ম শফিকুর রহমান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক ইমন দোজ্জা আহমেদ, বিশ্বম্ভপুর ছাত্র কল্যাণ পরিষদের সভাপতি এন.ডি.উছমান গণি।

 

ট্যাগ:
জনপ্রিয়

তরুণদের উন্নয়নের স্রোতধারায় যুক্ত করলে দেশ উন্নত হবে

প্রকাশের সময়: ০৬:৫১:৩৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫

 

দেশে জনসংখ্যার প্রায় ৪৫ থেকে ৫০ শতাংশ ১৫ থেকে ৪৫ বছরের মধ্যে। এই কর্মক্ষম বিশাল জনশক্তি যদি একটি গাছ লাগায়, তাহলে দেশে অনেক বড় পরিবর্তন হবে। যদি এরা চিন্তা করে আমি এমন একটি জিনিস বানাবো, যা বিদেশে রপ্তানি করে ডলার আয় সম্ভব, তাহলে অনেক বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জন করা যাবে।

সেজন্য তরুণদের যোগ্য করে গড়ে তুলতে হবে। আগে তরুণদের যোগ্য করার আয়োজনটা ছিল প্রশ্নবিদ্ধ। শিক্ষক তৈরি হয়নি, অথচ আমরা ইউনিভার্সিটি বানিয়ে দিয়েছি, প্রতি জেলায় জেলায় ইউনিভার্সিটি হচ্ছে। কিন্তু আমাদের মাননীয় শিক্ষা উপদেষ্টাই বলেছেন যে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেসব ছাত্ররা পড়ালেখা করে তারা ‘আপ টু দা মার্ক’ নয়। কেনো হলো না, সে বিষয়ে কোন ধরনের কথা বলা হচ্ছে না। সেজন্য তরুণদেরকে যোগ্য করে গড়ে তুলে অর্থনৈতিক উন্নয়নের মূল স্রোতধারায় সংযুক্ত করতে পারলে বাংলাদেশ উন্নত দেশে পরিণত হবে। আমাদের দেশে ভূগর্ভস্ত লোহা নাই, স্বর্ণ নাই। কিন্তু আমাদের মানুষ আছে, এর থেকে বড় সম্পদ আর কিছু নাই।

শনিবার বেলা ১১ টায় সুনামগঞ্জ ঐতিহ্য জাদুঘর প্রাঙ্গণে সুনামগঞ্জ জেলা তথ্য অফিস, গণযোগাযোগ অধিদপ্তর, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় ও সুনামগঞ্জ যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উদ্যোগে এবং জেলা প্রশাসনের আয়োজনে ‘বিজয়ের উল্লাসে, তারুণ্যের উচ্ছ্বাসে’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া।

অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. রেজাউল করিম’র সভাপতিত্বে ও জেলা তথ্য অফিসার শুভ রায় সুমন’র সঞ্চালনায় তিনি আরও বলেন, আমরা একটা বিশেষ সময় অতিবাহিত করছি। প্রত্যেকটা জাতির জীবনে এই সময়টা একবার আসে। এরপরে আসলেও ১০০ বছর, ২০০ বছর সময় লাগবে। আমাদের ইংরেজিতে এটাকে বলে ‘পপুলেশন ডিভিডেন্ড’।

মানে যে পপুলেশনটা আছে সেটা বিনিয়োগ করলে শেয়ার কিনলে যে রকম বছরের শেষে মুনাফা পাই, আমাদের জনগণের কাছ থেকেও এরকম একটা মুনাফা পাবো, সেই সময়টা এখন চলছে।

আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সমর কুমার পাল, সুনামগঞ্জ জেলা তথ্য অফিসের উপপরিচালক শেখ ওয়ালিদ ফয়েজ, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. শাহনুর আলম, সরকারি জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আ.ন.ম শফিকুর রহমান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক ইমন দোজ্জা আহমেদ, বিশ্বম্ভপুর ছাত্র কল্যাণ পরিষদের সভাপতি এন.ডি.উছমান গণি।