সাম্প্রতিক সময়ে এলাকায় বেশ সক্রিয় হয়ে ওঠা শিশির মনির জানিয়েছেন, তিনি জনগণের সমর্থন অর্জন করতে পারলে নির্বাচনে অংশ নেবেন, নইলে নয়।
তিনি বলেন, “পলিটিক্স হওয়া উচিত একটা ফেয়ার গেম, জোরজবরদস্তি নয়। জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণের সংকট ছিল, আমি যদি তাদের মনে জায়গা করে নিতে পারি, তাহলে নির্বাচনে আসব। আমি একগুঁয়ে নই, ফ্লেক্সিবল, প্রয়োজনে সিদ্ধান্ত পরিবর্তনও করতে পারি। আগামী ৪-৫ মাসের মধ্যেই বোঝা যাবে জনগণ আমাকে কতটা গ্রহণযোগ্য মনে করে।”
ভুঁইফোর মামলার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এই ধরনের মামলা প্রতিহত করতে হবে, যাতে কোনো নির্দোষ ব্যক্তি হয়রানির শিকার না হয়। ইতোমধ্যে সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপারের কাছে আমি নোটিশ পাঠিয়েছি, যাতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অসাধু চক্রের যোগসাজশে পরিচালিত হয়রানিমূলক কার্যক্রম বন্ধ হয়। শাল্লার একটি ঘটনায় জামায়াতের এক নেতাকে আসামি করা হয়েছে, এটি চক্রান্তও হতে পারে। জুলাই বিপ্লবের স্পিরিট ধরে রাখতে হলে এসব মামলা হতে দেওয়া যাবে না।”
তিনি আরও দাবি করেন, “আমি সুপ্রিম কোর্টের একমাত্র আইনজীবী, যে জুলাই বিপ্লবের সময় বিদেশে থাকা আওয়ামী লীগ নেতাদের পক্ষে লড়ছি, যাদের দেশে থাকা সত্ত্বেও মামলার আসামি করা হয়েছে।”
সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে শিশির মনির বলেন, “আমি দেখেছি, এখানে দল নয়, ব্যক্তিকেই মুখ্য হিসেবে দেখা হয়। যদি ব্যক্তি শিশির মনির আস্তা অর্জন করতে পারেন, তাহলে দলও গ্রহণযোগ্যতা পাবে।”
তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী প্রমাণ করতে চায় যে সততা, মেধা ও বুদ্ধি দিয়ে অপ্রত্যাশিত জায়গা থেকেও সমর্থন পাওয়া সম্ভব।”
নির্বাচনী ইশতেহার প্রণয়ন চলছে
নির্বাচনী ইশতেহার প্রসঙ্গে তিনি জানান, পাঁচজন সাংবাদিক এই বিষয়ে কাজ করছেন এবং ইশতেহারটি ডকুমেন্ট ও পাওয়ার পয়েন্টের মাধ্যমে তুলে ধরা হবে।