রোজার একদিন আগেই অস্থির হয়ে উঠেছে জগন্নাথপুরের সবজির বাজার। শনিবার ২০০ টাকা দরে প্রতি হালি লেবু বিক্রি হয়েছে। এছাড়া বেড়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম। এদিকে বাজার বোতলজাতের তেল উধাও।
গত কয়েকদিন ধরে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষে বাজার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বিশেষ আইনশৃঙ্খলাসভা ও মাইকিং করে ব্যাপক প্রচার করা চলছিল। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে বাজার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে শুক্রবার সচেতনতামূলক প্রচার করা হয়। তবুও বাজার নিয়ন্ত্রণে আসছে না।
উপজেলা সদরের প্রধান হাট জগন্নাথপুর বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি হালি লেবু ছোট আকারের ১৬০ টাকা থেকে ১৮০ টাকা, মাঝারি আকারের ২০০ টাকা আর বড় আকারের লেবু ২২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া অন্যান্য সবজি কেজি প্রতি দাম বেড়েছে ৫ থেকে ১০ টাকা। বেড়েছে মাংসের দামও। সোনালি মুরগি ৩২০ টাকা, ব্রয়লার ২০০ থেকে ২২০ টাকা, লাল মোরগ ৬০০ থেক ৬৫০ টাকা।
এদিকে ভোজ্যতেলের তীব্র সংকট সৃষ্টি করে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অধিকাংশ দোকানে মূল্য তালিকা সাঁটানো ছিল না।
ফজলু মিয়া নামের এক ক্রেতা বলেন, রোজার একদিন আগেই বাজারে যেন আগুন লেগেছে। লেবুর হালি ২০০ থেকে ২২০ টাকা। বোতলজাতের তেল বাজার থেকে উধাও। আমরা মধ্যবিত্ত পরিবার অসহায় হয়ে পড়েছি।
সবজি ব্যবসায়ী শেরন ভান্ডারী বলেন, লেবুর সংকট থাকায় আড়াৎদার থেকে বেশি দামে ক্রয় করতে হয়েছে। এরমধ্যে যাতায়াত খরচ রয়েছে, এজন্য দাম একটু বেশি। তবে অন্য সব সবজির দাম বাড়েনি।
জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরকত উল্লাহ বলেন, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে আমরা বাজার মনিটরিং জোরদার করেছি। প্রশাসনের পক্ষে থেকে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের দ্বারা বাজার তদারকি করা হচ্ছে। প্রয়োজনে আইননাগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।