লন্ডন ০৩:৪৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫, ৫ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আগামী ১৫ মার্চ ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন

আগামী ১৫ মার্চ শনিবার জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনে শিশুদের টিকা খাওয়ানো হবে। ০৬ মাস থেকে ১১ মাস বয়সী শিশুদেরকে নীল ক্যাপসুল এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুদের লাল ভিটামিন-এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।

 

এ উপলক্ষে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের উদ্যোগে সোমবার দুপুর ১২টায় শহরের হাছননগর এলাকায় ইপিআই ভবনে প্রেসব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতির বক্তব্য রাখেন সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন।

 

প্রেসব্রিফিংয়ে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. শুকদেব সাহা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডা. যশোবন্ত ভট্টাচার্য।

 

প্রেসব্রিফিংয়ে জানানো হয় সুনামগঞ্জ জেলার মোট জনসংখ্যা ২৭,৯৩,৬২৬ জন। জেলার মোট অস্থায়ী টিকাদান কেন্দ্রের সংখ্যা ২১৬৫টি, মোট স্থায়ী টিকাদান কেন্দ্রের সংখ্যা ১৩টি, মোট টিকাদান কেন্দ্রের সংখ্যা ২১৭৮টি। সুনামগঞ্জ জেলার (৬-১১) মাস বয়সী শিশুর মোট সংখ্যা (লক্ষ্যমাত্রা) ৪২৫৮৮। জেলার (১২-৫৯) মাস বয়সী শিশুর মোট সংখ্যা (লক্ষ্যমাত্রা) ৩,৪১,০৪২। জেলার (৬-১১) মাস বয়সী শিশুদের জন্য ১ লক্ষ আই.ইউ ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল এর চাহিদা ৪৫১২৩। জেলার (১২-৫৯) মাস বয়সী শিশুদের জন্য ২ লক্ষ আই.ইউ ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল এর চাহিদা ৩,৪৩,০০০।

 

ভিটামিন এ ক্যাপসুলের উপকারিতা সম্বন্ধে জানানো হয়- ১. শিশুদের দৃষ্টিশক্তি উন্নত করতে সহায়ক এবং রাতকানা রোগ প্রতিরোধ করে। ২. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, ফলে শিশু বিভিন্ন সংক্রমণ থেকে সুরক্ষিত থাকে। ৩. শিশুদের শারীরিক বৃদ্ধি এবং সঠিক ওজন বজায় রাখতে সহায়তা করে। ৪. ডায়রিয়া ও হামসহ অন্যান্য সংক্রমণের ঝুঁকি কমায়। ৫. ত্বক এবং শ্লেষ্মা ঝিল্লির সুরক্ষা নিশ্চিত করে। ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো নিশ্চিত করে শিশুদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও সঠিক বিকাশে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। তাই নির্ধারিত তারিখে শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো জরুরি বলে জানানো হয় প্রেসব্রিফিংয়ে।

 

প্রেসব্রিফিংয়ে বিভিন্ন মিডিয়ার গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

ট্যাগ:
জনপ্রিয়

আগামী ১৫ মার্চ ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন

প্রকাশের সময়: ০৮:৩২:৪৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ মার্চ ২০২৫

আগামী ১৫ মার্চ শনিবার জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনে শিশুদের টিকা খাওয়ানো হবে। ০৬ মাস থেকে ১১ মাস বয়সী শিশুদেরকে নীল ক্যাপসুল এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুদের লাল ভিটামিন-এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।

 

এ উপলক্ষে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের উদ্যোগে সোমবার দুপুর ১২টায় শহরের হাছননগর এলাকায় ইপিআই ভবনে প্রেসব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতির বক্তব্য রাখেন সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন।

 

প্রেসব্রিফিংয়ে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. শুকদেব সাহা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডা. যশোবন্ত ভট্টাচার্য।

 

প্রেসব্রিফিংয়ে জানানো হয় সুনামগঞ্জ জেলার মোট জনসংখ্যা ২৭,৯৩,৬২৬ জন। জেলার মোট অস্থায়ী টিকাদান কেন্দ্রের সংখ্যা ২১৬৫টি, মোট স্থায়ী টিকাদান কেন্দ্রের সংখ্যা ১৩টি, মোট টিকাদান কেন্দ্রের সংখ্যা ২১৭৮টি। সুনামগঞ্জ জেলার (৬-১১) মাস বয়সী শিশুর মোট সংখ্যা (লক্ষ্যমাত্রা) ৪২৫৮৮। জেলার (১২-৫৯) মাস বয়সী শিশুর মোট সংখ্যা (লক্ষ্যমাত্রা) ৩,৪১,০৪২। জেলার (৬-১১) মাস বয়সী শিশুদের জন্য ১ লক্ষ আই.ইউ ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল এর চাহিদা ৪৫১২৩। জেলার (১২-৫৯) মাস বয়সী শিশুদের জন্য ২ লক্ষ আই.ইউ ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল এর চাহিদা ৩,৪৩,০০০।

 

ভিটামিন এ ক্যাপসুলের উপকারিতা সম্বন্ধে জানানো হয়- ১. শিশুদের দৃষ্টিশক্তি উন্নত করতে সহায়ক এবং রাতকানা রোগ প্রতিরোধ করে। ২. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, ফলে শিশু বিভিন্ন সংক্রমণ থেকে সুরক্ষিত থাকে। ৩. শিশুদের শারীরিক বৃদ্ধি এবং সঠিক ওজন বজায় রাখতে সহায়তা করে। ৪. ডায়রিয়া ও হামসহ অন্যান্য সংক্রমণের ঝুঁকি কমায়। ৫. ত্বক এবং শ্লেষ্মা ঝিল্লির সুরক্ষা নিশ্চিত করে। ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো নিশ্চিত করে শিশুদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও সঠিক বিকাশে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। তাই নির্ধারিত তারিখে শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো জরুরি বলে জানানো হয় প্রেসব্রিফিংয়ে।

 

প্রেসব্রিফিংয়ে বিভিন্ন মিডিয়ার গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।