হাওর এলাকা সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলায় ধীরে ধীরে বাড়ছে শীতের তীব্রতা। সন্ধ্যা হলেই নামে শীত, রাত থেকে সকাল পর্যন্ত কুয়াশাচ্ছন্ন হয়ে থাকে চারিপাশ। দিনের অধিকাংশ সময় সূর্যের দেখা পাওয়া যায় না। শীত কিছুটা বাড়ায় ফুটপাতের অস্থায়ী দোকানগুলোতে জমে উঠেছে শীতের পোশাক বিক্রি। শীতবস্ত্র কিনতে স্বল্প আয়ের মানুষেরা ভিড় করছেন বিভিন্ন ফুটপাতে। মূলত বিকেল হতেই এসব ফুটপাতে ভিড় করেন ক্রেতারা।
এছাড়াও জেলা শহরের বিভিন্ন এলাকার ফুটপাতের অস্থায়ী দোকানগুলোতে সুলভ মূল্যে বাহারি শীতের পোশাক পাওয়া যায়।
শনিবার (২১ ডিসেম্বর) সকাল সরেজমিনে দেখা যায়, জগন্নাথপুর উপজেলার বাজারসহ বিভিন্ন বাজার ও রাস্তার ফুটপাতে টেবিল অথবা ভ্যান গাড়িতে অস্থায়ী এসব দোকানে বয়স্কদের সোয়েটার, কোট, মাফলারসহ ছোটদের বিভিন্ন সাইজের শীতের পোশাক বিক্রি হচ্ছে। হকাররা অনেকে হাঁকডাক করে এসব কাপড় বিক্রি করছেন।
মেয়েদের সোয়েটার মান ভেদে ২০০ থেকে ৪০০ টাকা, ছেলেদের জ্যাকেট ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা, ছোটদের বিভিন্ন পোশাক ৫০ থেকে ৪০০ টাকা, মাফলার ৪০ থেকে ১৫০ টাকা এবং গরম টুপি ৫০ থেকে ১০০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।
ফুটপাতের ভাসমান দোকানি আজমিরিগঞ্জ থেকে আসা মহিবুর রহমান জানান, শীতের শুরুতেই আমরা শীতকালীন পোশাক বিক্রি শুরু করেছি। গত কয়েক দিন শীতের প্রকোপ কিছুটা বৃদ্ধি পাওয়ায় আগের চেয়ে এখন ক্রেতার ভিড় বেড়েছে। ফুটপাতে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে শিশুদের শীতের পোশাক। এছাড়া জ্যাকেট, সোয়েটার ও বিভিন্ন ধরনের গেঞ্জি কিনছেন ক্রেতারা।
ফুটপাতে শীতের পোশাক কিনতে আসা সৈয়দ সালাউদ্দিন বলেন, সন্ধ্যার পর থেকে ভোরে শীতের প্রকোপ বাড়ছে। তাই বাচ্চাদের জন্য শীতের পোশাক কিনছি। তবে মান অনুযায়ী দাম কিছুটা বেশি।