লন্ডন ০৫:১৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫, ৫ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শাল্লার বাজারে বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট, দ্রুত পদক্ষেপের দাবি

 

সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলা সদরের (ঘুঙ্গিয়ারগাঁও) বাজারে বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। বাজারের হাজারো ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ দীর্ঘদিন ধরে নলকূপের অভাবে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। বাজারে থাকা ৪-৫টি টিউবওয়েল অকার্যকর হওয়ায় সুপেয় পানির চাহিদা মেটানো সম্ভব হচ্ছে না।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পানির অভাবে ব্যবসায়ীরা দূর-দূরান্ত থেকে টাকা দিয়ে পানি সংগ্রহ করতে বাধ্য হচ্ছেন। কয়েকটি বড় রেস্তোরাঁ নিজেদের ব্যবস্থাপনায় পানি সংগ্রহ করলেও, ছোট রেস্তোরাঁ ও চায়ের দোকানদাররা সবচেয়ে বেশি সমস্যায় রয়েছেন। বাজারে আসা সাধারণ মানুষও বোতলের পানি কিনে তৃষ্ণা মেটাচ্ছেন।

বাজার কমিটির সেক্রেটারি সুবীর সরকার পান্না জানান, “ঘুঙ্গিয়ারগাঁও বাজারে প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ যাতায়াত করেন। কিন্তু টিউবওয়েল না থাকায় বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট চলছে। আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে কয়েকবার আবেদন জানিয়েছি। বাজারের হাজারো মানুষের পানির চাহিদা মেটাতে কমপক্ষে ৩-৪টি নতুন টিউবওয়েল স্থাপন জরুরি।”

বাজারের সাবেক সভাপতি মহিতোষ দাশ বলেন, “আমরা দুই বছর ধরে টিউবওয়েল স্থাপনের জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানিয়ে আসছি। কিন্তু এখনও কোনও সমাধান হয়নি।”

এ বিষয়ে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী রাশেদুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি চিকিৎসার জন্য ঢাকায় অবস্থান করছেন বলে জানা যায়। তবে সুনামগঞ্জ জেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী সৈয়দ খালেদুল ইসলাম বলেন, “ঘুঙ্গিয়ারগাঁও বাজারের পানির সংকট সম্পর্কে আগে জানতাম না। আগামী এক মাসের মধ্যে বাজারে দুইটি সাবমার্সিবল টিউবওয়েল স্থাপন করা হবে। পাশাপাশি বাজার কমিটি সামান্য খরচে অকার্যকর টিউবওয়েলগুলো মেরামত করতে পারে।”

স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীরা দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়ে বাজারে বিশুদ্ধ পানির সংকট নিরসনে কার্যকর পদক্ষেপ আশা করছেন।

 

 

ট্যাগ:

শাল্লার বাজারে বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট, দ্রুত পদক্ষেপের দাবি

প্রকাশের সময়: ০৬:৩৪:২৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪

 

সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলা সদরের (ঘুঙ্গিয়ারগাঁও) বাজারে বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। বাজারের হাজারো ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ দীর্ঘদিন ধরে নলকূপের অভাবে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। বাজারে থাকা ৪-৫টি টিউবওয়েল অকার্যকর হওয়ায় সুপেয় পানির চাহিদা মেটানো সম্ভব হচ্ছে না।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পানির অভাবে ব্যবসায়ীরা দূর-দূরান্ত থেকে টাকা দিয়ে পানি সংগ্রহ করতে বাধ্য হচ্ছেন। কয়েকটি বড় রেস্তোরাঁ নিজেদের ব্যবস্থাপনায় পানি সংগ্রহ করলেও, ছোট রেস্তোরাঁ ও চায়ের দোকানদাররা সবচেয়ে বেশি সমস্যায় রয়েছেন। বাজারে আসা সাধারণ মানুষও বোতলের পানি কিনে তৃষ্ণা মেটাচ্ছেন।

বাজার কমিটির সেক্রেটারি সুবীর সরকার পান্না জানান, “ঘুঙ্গিয়ারগাঁও বাজারে প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ যাতায়াত করেন। কিন্তু টিউবওয়েল না থাকায় বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট চলছে। আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে কয়েকবার আবেদন জানিয়েছি। বাজারের হাজারো মানুষের পানির চাহিদা মেটাতে কমপক্ষে ৩-৪টি নতুন টিউবওয়েল স্থাপন জরুরি।”

বাজারের সাবেক সভাপতি মহিতোষ দাশ বলেন, “আমরা দুই বছর ধরে টিউবওয়েল স্থাপনের জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানিয়ে আসছি। কিন্তু এখনও কোনও সমাধান হয়নি।”

এ বিষয়ে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী রাশেদুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি চিকিৎসার জন্য ঢাকায় অবস্থান করছেন বলে জানা যায়। তবে সুনামগঞ্জ জেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী সৈয়দ খালেদুল ইসলাম বলেন, “ঘুঙ্গিয়ারগাঁও বাজারের পানির সংকট সম্পর্কে আগে জানতাম না। আগামী এক মাসের মধ্যে বাজারে দুইটি সাবমার্সিবল টিউবওয়েল স্থাপন করা হবে। পাশাপাশি বাজার কমিটি সামান্য খরচে অকার্যকর টিউবওয়েলগুলো মেরামত করতে পারে।”

স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীরা দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়ে বাজারে বিশুদ্ধ পানির সংকট নিরসনে কার্যকর পদক্ষেপ আশা করছেন।