লন্ডন ০৭:৩১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শাল্লার শিক্ষা খাতে দুর্নীতি: প্রধান ভূমিকা শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুস সালামের

 

২০২৪ সালে শাল্লা উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগে দুর্নীতি ও অনিয়মের মূল কেন্দ্রবিন্দু ছিলেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুস সালাম। বছরের বিভিন্ন সময়ে তার বিরুদ্ধে একাধিক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। ফলে তিনি আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠেন।

২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শাল্লা উপজেলার শ্রীহাইল ভোটকেন্দ্রে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠে। ওই কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার ছিলেন আব্দুস সালাম। অভিযোগ অনুসারে, ২,৬৩২ ভোটের মধ্যে ২,৩৩২টি ভোট কাস্ট হয়, যেখানে অনেক ভোটই জাল বলে দাবি স্থানীয়দের। এতে মৃত ব্যক্তিদের ভোট দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ করেন গ্রামবাসী।

শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুস সালামের বিরুদ্ধে শিক্ষকদের কাছ থেকে ঘুষ নেওয়ার একাধিক অভিযোগ রয়েছে। একটি অডিও ক্লিপে তিনি ২৩ হাজার টাকা ঘুষ নেওয়ার কথা স্বীকার করেন। এছাড়া স্কুল মেরামতের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থ থেকেও ৩০ হাজার টাকা ঘুষ নিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন এক শিক্ষক।

স্থানীয় সাংবাদিক আমির হোসাইন যখন বিদ্যালয়ের ভবন নিলামের তথ্য চান, তখন তাকে হত্যার ষড়যন্ত্র করেন আব্দুস সালাম। এ নিয়ে থানায় জিডি হয়, তবে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।

২০২৪ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি শিক্ষকদের স্কুল চলাকালীন সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ডেকে এনে সময় নষ্ট করার অভিযোগও ওঠে। এতে শিক্ষকদের ক্ষোভ দেখা দেয়।

অবাধ দুর্নীতি ও অযোগ্যতার জন্য শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুস সালামকে বিভিন্ন সময় নিম্ন গ্রেডে অবনমিত করা হলেও শাল্লায় এসে তিনি আবার দুর্নীতিতে জড়ান। বদলি বাণিজ্য, বরাদ্দের অর্থ আত্মসাৎ, স্লিপ ফান্ডের কমিশনসহ বিভিন্ন খাতে দুর্নীতি তার বিরুদ্ধে প্রমাণিত হয়েছে।

শাল্লার সচেতন মহল মনে করেন, আব্দুস সালামের দুর্নীতি মন্ত্রণালয় পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে। তারা এ বিষয়ে দ্রুত তদন্ত ও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। অন্যথায় সরকারি দপ্তরে দুর্নীতির মাত্রা আরও বৃদ্ধি পাবে।

এ ধরণের অনিয়ম রোধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সক্রিয় ভূমিকা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি।

ট্যাগ:

শাল্লার শিক্ষা খাতে দুর্নীতি: প্রধান ভূমিকা শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুস সালামের

প্রকাশের সময়: ০৬:২২:৩৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১ জানুয়ারী ২০২৫

 

২০২৪ সালে শাল্লা উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগে দুর্নীতি ও অনিয়মের মূল কেন্দ্রবিন্দু ছিলেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুস সালাম। বছরের বিভিন্ন সময়ে তার বিরুদ্ধে একাধিক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। ফলে তিনি আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠেন।

২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শাল্লা উপজেলার শ্রীহাইল ভোটকেন্দ্রে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠে। ওই কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার ছিলেন আব্দুস সালাম। অভিযোগ অনুসারে, ২,৬৩২ ভোটের মধ্যে ২,৩৩২টি ভোট কাস্ট হয়, যেখানে অনেক ভোটই জাল বলে দাবি স্থানীয়দের। এতে মৃত ব্যক্তিদের ভোট দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ করেন গ্রামবাসী।

শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুস সালামের বিরুদ্ধে শিক্ষকদের কাছ থেকে ঘুষ নেওয়ার একাধিক অভিযোগ রয়েছে। একটি অডিও ক্লিপে তিনি ২৩ হাজার টাকা ঘুষ নেওয়ার কথা স্বীকার করেন। এছাড়া স্কুল মেরামতের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থ থেকেও ৩০ হাজার টাকা ঘুষ নিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন এক শিক্ষক।

স্থানীয় সাংবাদিক আমির হোসাইন যখন বিদ্যালয়ের ভবন নিলামের তথ্য চান, তখন তাকে হত্যার ষড়যন্ত্র করেন আব্দুস সালাম। এ নিয়ে থানায় জিডি হয়, তবে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।

২০২৪ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি শিক্ষকদের স্কুল চলাকালীন সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ডেকে এনে সময় নষ্ট করার অভিযোগও ওঠে। এতে শিক্ষকদের ক্ষোভ দেখা দেয়।

অবাধ দুর্নীতি ও অযোগ্যতার জন্য শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুস সালামকে বিভিন্ন সময় নিম্ন গ্রেডে অবনমিত করা হলেও শাল্লায় এসে তিনি আবার দুর্নীতিতে জড়ান। বদলি বাণিজ্য, বরাদ্দের অর্থ আত্মসাৎ, স্লিপ ফান্ডের কমিশনসহ বিভিন্ন খাতে দুর্নীতি তার বিরুদ্ধে প্রমাণিত হয়েছে।

শাল্লার সচেতন মহল মনে করেন, আব্দুস সালামের দুর্নীতি মন্ত্রণালয় পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে। তারা এ বিষয়ে দ্রুত তদন্ত ও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। অন্যথায় সরকারি দপ্তরে দুর্নীতির মাত্রা আরও বৃদ্ধি পাবে।

এ ধরণের অনিয়ম রোধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সক্রিয় ভূমিকা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি।