হাওরাঞ্চলের মধ্যনগরে বোরো ফসলের পাশাপাশি বিকল্প কৃষি হিসেবে আলু চাষে ঝুঁকছেন কৃষকরা। এবছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবং বাজারে ন্যায্যমূল্য পাওয়ায় চাষিরা আলুর বাম্পার ফলন পেয়েছেন।
উপজেলার চারটি ইউনিয়নে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২০০ হেক্টর জমি, তবে চাষ হয়েছে ২৫৬ হেক্টর জমিতে। বংশীকুন্ডা দক্ষিণ ইউনিয়নে ৫০ হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়েছে, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২০ হেক্টর বেশি। দেশীয় জাতের ‘ডায়মন্ড’ ও ‘ললিতা’ আলু চাষ করে চাষিরা ভালো ফলন পেয়েছেন এবং ক্ষেত থেকে আলু উত্তোলন শুরু হয়েছে।
চাষিরা জানিয়েছেন, আলু চাষে বিঘাপ্রতি ৪৫ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা খরচ হলেও বর্তমান বাজারে আলুর কেজি ৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে, যা তাদের লাভবান করছে। তবে মৌসুম শেষে দাম কিছুটা কমে যাওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে।
এ অঞ্চলের যোগাযোগব্যবস্থা ভালো না থাকায় স্থানীয় বাজারে আলু বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন কৃষকরা। সরকারের পক্ষ থেকে প্রণোদনা ও বাজারজাতকরণের ক্ষেত্রে আরও সহযোগিতা প্রদানের দাবি করেছেন তারা।
উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা জানান, প্রাথমিক পর্যায়ে কাটুই পোকার আক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে এবং আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আলুতে রোগবালাইয়ের আক্রমণ কম। সঠিক পরামর্শ ও নিয়মিত মাঠ পরিদর্শনের মাধ্যমে চাষিরা আশানুরূপ ফলন পেয়েছেন।