লন্ডন ০১:২৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫, ৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সেতু নির্মাণের এক যুগেও হয়নি সংযোগ সড়ক

শান্তিগঞ্জ উপজেলার শিমুলবাঁক ইউনিয়ন, যা জেলার বৃহত্তম ইউনিয়ন হিসেবে পরিচিত, দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত। ইউনিয়নটির নাম শিমুলবাঁক গ্রামের নামে হলেও স্বাধীনতার পর থেকে গ্রামটিতে উন্নয়নের ছোঁয়া তেমন পড়েনি। সুনামগঞ্জ-দিরাই আঞ্চলিক সড়ক থেকে মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরে অবস্থিত হলেও, এখনো পর্যন্ত গ্রামটির সাথে সরাসরি সড়কপথ নির্মাণ হয়নি।

গ্রামের পাশ দিয়ে প্রবাহিত ‘নিতাই’ নদীতে এক যুগ আগে একটি সেতু নির্মাণ করা হলেও সংযোগ সড়ক না থাকায় সেতুটি কার্যকর হয়নি। ফলে শিমুলবাঁকসহ আশপাশের সাতটি গ্রামের প্রায় ১০ হাজার মানুষকে এখনও চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। শুকনো মৌসুমে হাঁটাপথে চলাচল করলেও বর্ষায় নৌকাই একমাত্র ভরসা।

২০১২ সালে নিতাই নদীর উপর সেতু নির্মাণের পর থেকে স্থানীয়রা সরাসরি সড়ক যোগাযোগ স্থাপনের দাবি জানিয়ে আসছেন। কিন্তু বছরের পর বছর এই দাবি উপেক্ষিত রয়ে গেছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা বিভিন্ন সময়ে প্রতিশ্রুতি দিলেও কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়েছেন। এতে এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে।

স্থানীয় বাসিন্দা মোক্তাদির তালুকদার বলেন, “আমাদের গ্রাম সবসময় উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত। নদীর উপর সেতু নির্মাণ হলেও সংযোগ সড়ক না থাকায় সেটি কোনো কাজে আসছে না। হেমন্তে কাঁচা পথে কিছু যানবাহন চলাচল করলেও বর্ষায় সব যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। দীর্ঘদিন ধরে সংযোগ সড়কের দাবি জানিয়ে আসলেও কোনো অগ্রগতি দেখছি না।”

ইউপি সদস্য মাহবুব হোসেন বলেন, “সংযোগ সড়ক না থাকায় এই এলাকার মানুষের দুর্ভোগ সীমাহীন। বর্ষায় ৫-৭ গ্রামের মানুষকে নানা প্রতিকূলতার মধ্যে চলাচল করতে হয়। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের অধীনে একটি প্রকল্পের টেন্ডার হওয়ার কথা শুনেছি। এটি বাস্তবায়িত হলে মানুষের কষ্ট কমবে।”

শান্তিগঞ্জ উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী তারেক আলনূর জানান, “শিমুলবাঁক থেকে তেয়ইক্কা পর্যন্ত প্রায় ২ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ এবং ব্লক স্থাপনসহ প্রায় ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্পের টেন্ডার হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, এ বছরই কাজ শুরু হবে। এর মাধ্যমে এ অঞ্চলের সরাসরি সড়ক যোগাযোগ চালু হবে।”

এলাকাবাসী দ্রুত সড়ক নির্মাণ কাজ শুরুর দাবি জানিয়ে বলেছেন, এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে তাদের দীর্ঘদিনের ভোগান্তি থেকে মুক্তি মিলবে এবং উন্নয়নের নতুন দ্বার উন্মোচিত হবে।

ট্যাগ:
জনপ্রিয়

দিরাইয়ে ফুটপাত দখলে হাঁসফাঁস জনজীবনঃ উচ্ছেদেও মিলছে না সমাধান

সেতু নির্মাণের এক যুগেও হয়নি সংযোগ সড়ক

প্রকাশের সময়: ০৬:২০:৪১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫

শান্তিগঞ্জ উপজেলার শিমুলবাঁক ইউনিয়ন, যা জেলার বৃহত্তম ইউনিয়ন হিসেবে পরিচিত, দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত। ইউনিয়নটির নাম শিমুলবাঁক গ্রামের নামে হলেও স্বাধীনতার পর থেকে গ্রামটিতে উন্নয়নের ছোঁয়া তেমন পড়েনি। সুনামগঞ্জ-দিরাই আঞ্চলিক সড়ক থেকে মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরে অবস্থিত হলেও, এখনো পর্যন্ত গ্রামটির সাথে সরাসরি সড়কপথ নির্মাণ হয়নি।

গ্রামের পাশ দিয়ে প্রবাহিত ‘নিতাই’ নদীতে এক যুগ আগে একটি সেতু নির্মাণ করা হলেও সংযোগ সড়ক না থাকায় সেতুটি কার্যকর হয়নি। ফলে শিমুলবাঁকসহ আশপাশের সাতটি গ্রামের প্রায় ১০ হাজার মানুষকে এখনও চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। শুকনো মৌসুমে হাঁটাপথে চলাচল করলেও বর্ষায় নৌকাই একমাত্র ভরসা।

২০১২ সালে নিতাই নদীর উপর সেতু নির্মাণের পর থেকে স্থানীয়রা সরাসরি সড়ক যোগাযোগ স্থাপনের দাবি জানিয়ে আসছেন। কিন্তু বছরের পর বছর এই দাবি উপেক্ষিত রয়ে গেছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা বিভিন্ন সময়ে প্রতিশ্রুতি দিলেও কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়েছেন। এতে এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে।

স্থানীয় বাসিন্দা মোক্তাদির তালুকদার বলেন, “আমাদের গ্রাম সবসময় উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত। নদীর উপর সেতু নির্মাণ হলেও সংযোগ সড়ক না থাকায় সেটি কোনো কাজে আসছে না। হেমন্তে কাঁচা পথে কিছু যানবাহন চলাচল করলেও বর্ষায় সব যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। দীর্ঘদিন ধরে সংযোগ সড়কের দাবি জানিয়ে আসলেও কোনো অগ্রগতি দেখছি না।”

ইউপি সদস্য মাহবুব হোসেন বলেন, “সংযোগ সড়ক না থাকায় এই এলাকার মানুষের দুর্ভোগ সীমাহীন। বর্ষায় ৫-৭ গ্রামের মানুষকে নানা প্রতিকূলতার মধ্যে চলাচল করতে হয়। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের অধীনে একটি প্রকল্পের টেন্ডার হওয়ার কথা শুনেছি। এটি বাস্তবায়িত হলে মানুষের কষ্ট কমবে।”

শান্তিগঞ্জ উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী তারেক আলনূর জানান, “শিমুলবাঁক থেকে তেয়ইক্কা পর্যন্ত প্রায় ২ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ এবং ব্লক স্থাপনসহ প্রায় ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্পের টেন্ডার হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, এ বছরই কাজ শুরু হবে। এর মাধ্যমে এ অঞ্চলের সরাসরি সড়ক যোগাযোগ চালু হবে।”

এলাকাবাসী দ্রুত সড়ক নির্মাণ কাজ শুরুর দাবি জানিয়ে বলেছেন, এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে তাদের দীর্ঘদিনের ভোগান্তি থেকে মুক্তি মিলবে এবং উন্নয়নের নতুন দ্বার উন্মোচিত হবে।