তাহিরপুরে বিগত সময়ে রাজস্ব আদায়ে চরম অব্যবস্থাপনা এবং সরকারি সম্পদ লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। বিশেষ করে ইউএনও সালমা পারভিনের সময়ে (২০২৩ সালের শেষ দিক থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত) লুটপাট সিন্ডিকেট সক্রিয় ছিল। এই সময়ে বড় বড় হাট-বাজার ও নৌকা ঘাটগুলো ইজারা না দিয়ে খাস কালেকশনের মাধ্যমে সামান্য পরিমাণ রাজস্ব আদায় দেখানো হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বাদাঘাট বাজার, ফাজিলপুর নৌকাঘাট এবং শ্রীপুর নৌকাঘাটের মতো বড় রাজস্ব আদায়ের ক্ষেত্রগুলো ইজারা না দিয়ে মামলায় জড়িত রাখার মাধ্যমে সুবিধাভোগীদের জন্য সুযোগ তৈরি করা হয়।
২০২৯ বাংলা সনে বাদাঘাট বাজার ৫০ লাখ টাকায় ইজারা হয়েছিল, যেখানে ভ্যাট ও উৎস করসহ মোট আদায় ছিল ৬২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। কিন্তু পরবর্তী ১৪৩০ এবং ১৪৩১ বাংলায় এসব হাট-বাজার ও ঘাটগুলো ইজারা দেওয়া হয়নি।
সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান করুণা সিন্ধু চৌধুরী বাবুল দাবি করেন, তিনি উন্মুক্ত দরপত্র আহ্বান করার পরামর্শ দিলেও তৎকালীন ইউএনও এবং প্রভাবশালী জনপ্রতিনিধিদের কারণে তা বাস্তবায়িত হয়নি।
বর্তমানে আবারও উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে হাট-বাজার ও ঘাটগুলোর ইজারা প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বর্তমান জিপি অ্যাডভোকেট শামছুল হকের মতামত নিয়ে ইজারা কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে ভূমি অফিস।
প্রাক্তন ইউএনও সালমা পারভিন এবং সুপ্রভাত চাকমার সময়ে রাজস্ব আদায়ে অনিয়মের অভিযোগ নিয়ে তাদের বক্তব্যের জন্য যোগাযোগ করা হলেও সুপ্রভাত চাকমার প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। সালমা পারভিন বলেছেন, মামলা জটিলতার কারণে ইজারা প্রক্রিয়ায় বিলম্ব হয়েছিল এবং খাস কালেকশনের সিদ্ধান্ত জেলা প্রশাসকের অনুমোদন নিয়ে নেওয়া হয়।
তাহিরপুরে সরকারি সম্পদ লুটপাটের এই অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করছে স্থানীয় জনগণ।