জেলার হাওর রক্ষা বাঁধ বাস্তবায়ন ও মনিটরিং কমিটির বিশেষ সভায় কাজের অগ্রগতির ধীরগতি নিয়ে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করা হয়েছে। শনিবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত জেলা প্রশাসকের সভাপতিত্বে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
কমিটির সদস্যরা জানান, জেলার অনেক বাঁধের কাজ এখনও শুরু হয়নি। কেউ কেউ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, কমিটির কার্যকারিতা নিয়ে ভাবার সময় এসেছে। সভায় জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলয়াস মিয়া উপজেলা কমিটিগুলোর দায়িত্ব পালনে অবহেলায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, জেলায় ৪৮টি বড় হাওরের ১৪শ’ কিলোমিটার বাঁধের মধ্যে ৫৯৫ কিলোমিটার অংশে কাজ হচ্ছে। তবে, গণমাধ্যম কর্মীরা জানান, প্রদত্ত অগ্রগতির তথ্য বাস্তবের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।
তাহিরপুর, শাল্লা ও অন্যান্য এলাকায় কাজ শুরু না হওয়া বাঁধগুলোর নাম উল্লেখ করে গণমাধ্যম কর্মীরা জানান, পিআইসি ও পাউবো কর্মকর্তাদের অবহেলার কারণে ফসলের ক্ষতির ঝুঁকি বাড়ছে।
জেলা প্রশাসক উপস্থিত কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন, ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সব কাজ সম্পন্ন করতে হবে। তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, কেউ দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আগামী শনিবার আরেকটি সভায় কার্যকর উদ্যোগ দেখতে চান বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
এছাড়া, ২০১৭ সালে ফসলডুবির ঘটনার পুনরাবৃত্তি এড়াতে পিআইসির কার্যক্রম সঠিকভাবে তদারকির গুরুত্ব তুলে ধরা হয়। এবছর হাওর রক্ষা বাঁধের জন্য ১২০ কোটি টাকার বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে।
স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ ও দুর্নীতি রোধে কার্যকর উদ্যোগ না নিলে, কৃষকের ফসল রক্ষা সম্ভব হবে না বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন পরিবেশ ও রাজনৈতিক কর্মীরা।