লন্ডন ০৩:১৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫, ৩ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সুনামগঞ্জ-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কে চলছে উচ্ছেদ-দখলের লুকোচুরি

 

সুনামগঞ্জ, ৬ ফেব্রুয়ারি: সুনামগঞ্জ-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের সুনামগঞ্জ অংশে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হলেও কিছুদিনের মধ্যেই পুনরায় দখল হয়ে যাচ্ছে সড়ক ও জনপথ বিভাগের মালিকানাধীন এলাকা। স্থানীয়দের অভিযোগ, দখলদারদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ এবং উচ্ছেদ পরবর্তী সংরক্ষণের অভাবে এ সমস্যার স্থায়ী সমাধান হচ্ছে না।

গত ১৫ জানুয়ারি, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর মহাসড়কের দুই পাশে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা দোকান ও স্থাপনা উচ্ছেদ করে। ওয়েজখালি থেকে জাউয়াবাজার পর্যন্ত তিন শতাধিক স্থাপনা সরিয়ে দেওয়া হয়। তবে সরেজমিনে দেখা গেছে, কিছুদিন পরই ওই স্থানে পুনরায় স্থাপনা তৈরি হচ্ছে। দিরাইর রাস্তা পয়েন্টে ইতোমধ্যে বাঁশ ও টিনের দোকান স্থাপন করে ব্যবসা শুরু করেছেন অনেকেই।

এক দোকানদার জানান, প্রতি বছর উচ্ছেদ অভিযান চলে, যা তাদের কাছে স্বাভাবিক ব্যাপার। হোটেল ব্যবসায়ী জহুর বলেন, ‘এই ব্যবসা দিয়েই সংসার চালাই। উচ্ছেদের পরেও আবার দোকান তৈরি করতে হয়।’

স্থানীয় বাসিন্দা নাসির হোসেন বলেন, ‘প্রতিবছর উচ্ছেদ অভিযান চালানো হলেও দখলদারদের আবার ফিরে আসা ঠেকানো যায় না। ফলে সরকারি অর্থ ও শ্রম বৃথা যায়।’

সুনামগঞ্জ নাগরিক কমিটির সদস্য ফয়সল আহমদ বলেন, ‘উচ্ছেদ অভিযান চালানোর পর যথাযথ তদারকি না থাকায় পুনরায় দখল হয়ে যায়। একইসঙ্গে দখলদারদের বিকল্প আয়ের সুযোগ সৃষ্টি না করায় তারা আবারও ফিরে আসেন।’

সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. শাহাদাৎ হোসেন বলেন, ‘সম্প্রতি যে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয়েছিল, আমরা দেখছি পুনরায় দখল হচ্ছে। মানুষ আইন মানতে চায় না। আবারও উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করতে হবে।’

উচ্ছেদ অভিযানের নামে সরকারি অর্থ অপচয়ের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কী করার আছে? না হলে সড়কের উপর অফিস করতে হবে এবং সারাক্ষণ মাইকিং করতে হবে।’

ট্যাগ:
জনপ্রিয়

সুনামগঞ্জ-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কে চলছে উচ্ছেদ-দখলের লুকোচুরি

প্রকাশের সময়: ০৮:৪০:০৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

 

সুনামগঞ্জ, ৬ ফেব্রুয়ারি: সুনামগঞ্জ-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের সুনামগঞ্জ অংশে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হলেও কিছুদিনের মধ্যেই পুনরায় দখল হয়ে যাচ্ছে সড়ক ও জনপথ বিভাগের মালিকানাধীন এলাকা। স্থানীয়দের অভিযোগ, দখলদারদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ এবং উচ্ছেদ পরবর্তী সংরক্ষণের অভাবে এ সমস্যার স্থায়ী সমাধান হচ্ছে না।

গত ১৫ জানুয়ারি, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর মহাসড়কের দুই পাশে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা দোকান ও স্থাপনা উচ্ছেদ করে। ওয়েজখালি থেকে জাউয়াবাজার পর্যন্ত তিন শতাধিক স্থাপনা সরিয়ে দেওয়া হয়। তবে সরেজমিনে দেখা গেছে, কিছুদিন পরই ওই স্থানে পুনরায় স্থাপনা তৈরি হচ্ছে। দিরাইর রাস্তা পয়েন্টে ইতোমধ্যে বাঁশ ও টিনের দোকান স্থাপন করে ব্যবসা শুরু করেছেন অনেকেই।

এক দোকানদার জানান, প্রতি বছর উচ্ছেদ অভিযান চলে, যা তাদের কাছে স্বাভাবিক ব্যাপার। হোটেল ব্যবসায়ী জহুর বলেন, ‘এই ব্যবসা দিয়েই সংসার চালাই। উচ্ছেদের পরেও আবার দোকান তৈরি করতে হয়।’

স্থানীয় বাসিন্দা নাসির হোসেন বলেন, ‘প্রতিবছর উচ্ছেদ অভিযান চালানো হলেও দখলদারদের আবার ফিরে আসা ঠেকানো যায় না। ফলে সরকারি অর্থ ও শ্রম বৃথা যায়।’

সুনামগঞ্জ নাগরিক কমিটির সদস্য ফয়সল আহমদ বলেন, ‘উচ্ছেদ অভিযান চালানোর পর যথাযথ তদারকি না থাকায় পুনরায় দখল হয়ে যায়। একইসঙ্গে দখলদারদের বিকল্প আয়ের সুযোগ সৃষ্টি না করায় তারা আবারও ফিরে আসেন।’

সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. শাহাদাৎ হোসেন বলেন, ‘সম্প্রতি যে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয়েছিল, আমরা দেখছি পুনরায় দখল হচ্ছে। মানুষ আইন মানতে চায় না। আবারও উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করতে হবে।’

উচ্ছেদ অভিযানের নামে সরকারি অর্থ অপচয়ের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কী করার আছে? না হলে সড়কের উপর অফিস করতে হবে এবং সারাক্ষণ মাইকিং করতে হবে।’