ধর্মপাশা উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয়ে দীর্ঘদিন ধরে চরম জনবল সংকট চলছে। প্রয়োজনীয় ছয়টি পদের মধ্যে শুধুমাত্র একজন কর্মকর্তা দিয়ে দাপ্তরিক কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে, ফলে নানা গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। এতে করে মৎস্য সেবা নিতে গিয়ে মৎস্যচাষিরা চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন।
উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, কার্যালয়টিতে ছয়টি অনুমোদিত পদ থাকলেও মৎস্য সম্প্রসারণ ও মান নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তার পদটি এখনো সৃজন পর্যায়ে রয়েছে এবং অন্য চারটি পদ—সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা (শূন্য ২০১৭ সাল থেকে), ক্ষেত্র সহকারী (শূন্য ২০১৫ সাল থেকে), অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক (শূন্য ২০২১ সাল থেকে) এবং অফিস সহায়ক (শূন্য ২০২৩ সালের ২২ আগস্ট থেকে)—দীর্ঘদিন ধরে শূন্য রয়েছে।
জনবল সংকটের ফলে দাপ্তরিক কার্যক্রম, মাঠপর্যায়ে মৎস্য আইন বাস্তবায়ন, মৎস্যচাষিদের পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ প্রদান, জলমহাল ব্যবস্থাপনা, বিল নার্সারি বাস্তবায়নসহ বিভিন্ন কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন মৎস্যচাষি জানান, অফিসে গেলে নিয়মিত সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তাকে পাওয়া যায় না। আইনের প্রয়োগ না থাকায় জলমহালে বিষ প্রয়োগ ও পানি শুকিয়ে মাছ নিধন বন্ধ করা যাচ্ছে না। এতে মাছের উৎপাদন দিন দিন কমে যাচ্ছে, যা ভবিষ্যতে চরম সংকট তৈরি করতে পারে।
এ প্রসঙ্গে ধর্মপাশা উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. মাহমুদুর রহমান বলেন, “গত বছরের ২২ আগস্ট থেকে এককভাবে অফিসের সব কাজ করতে হচ্ছে, যা অত্যন্ত কঠিন। পাশাপাশি তাহিরপুর ও মধ্যনগর উপজেলাতেও অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে, ফলে নিয়মিত ধর্মপাশা অফিসে থাকা সম্ভব হয় না।”
এ বিষয়ে সুনামগঞ্জ জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. শামসুল করিম জানান, “ধর্মপাশা কার্যালয়ের অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পদে একজনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে এবং তিনি শিগগিরই যোগ দেবেন। অন্য শূন্য পদগুলো পূরণের জন্যও চেষ্টা চলছে।”