লন্ডন ১১:৫০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫, ৪ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দোয়ারাবাজারে অরক্ষিত দুই ক্লোজার, হুমকিতে ফসল রক্ষা বাঁধ

দোয়ারাবাজার উপজেলার চিলাই নদীর তীরে অবস্থিত দুটি ক্লোজার কার্যত অরক্ষিত অবস্থায় রয়েছে। প্যালাসাইডিং না থাকায় ঝুঁকিতে পড়েছে নাইন্দা হাওড়ের ফসল রক্ষা বাঁধ। বিশেষজ্ঞদের মতে, যদি বাঁশের প্যালাসাইডিং বা বালিভর্তি জিও ব্যাগ ব্যবহার করা না হয়, তবে ২১ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই বাঁধ কার্যকর হবে না।

সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার চিলাই নদীর তীর ঘেঁষে ২১নং পিআইসি নাইকো’র ব্রিজ পয়েন্ট থেকে বেজপাড়া লাল মিয়ার বাড়ি পর্যন্ত ৯৭০ মিটার ফসল রক্ষা বাঁধের মাটি ফেলার কাজ চলছে। বাঁধের মোট বরাদ্দ ২১ লাখ ৬০ হাজার টাকা। তবে ধীরগতির এই নির্মাণকাজ চললেও বড় দুটি ক্লোজার অরক্ষিত রয়েছে, যেখানে প্যালাসাইডিং না থাকায় বাঁধের স্থায়িত্ব নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন কৃষকরা।

স্থানীয় কৃষক আব্দুল্লাহ আল মামুন, আব্দুল আজিজ, ফারুক মিয়া ও আক্তার হোসেন বলেন, “চিলাই নদীর তীরঘেঁষা দুটি ক্লোজারে প্যালাসাইডিং না হলে বর্ষার স্রোতে বাঁধটি ভেসে যাবে। পাহাড়ি ঢলে তলিয়ে যাবে কয়েকটি গ্রাম, আর হাওরের ফসল সম্পূর্ণ বিনষ্ট হবে।”

এ বিষয়ে ২১নং পিআইসি সভাপতি মোরশেদ আলম বলেন, “বাঁধের কাজ দ্রুত শেষ করার চেষ্টা চলছে। তবে ৯৭০ মিটার বাঁধের জন্য নির্ধারিত বরাদ্দে বড় দুটি ক্লোজারে প্যালাসাইডিংয়ের জন্য অর্থ বরাদ্দ নেই। আমি স্থানীয় প্রশাসনসহ পানি উন্নয়ন বোর্ডকে (পাউবো) বিষয়টি জানিয়েছি, কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।”

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পাউবো’র উপজেলা এসও সাদ্দাম হোসেন বলেন, “প্যালাসাইডিংয়ের বরাদ্দ থাকলে সঠিকভাবে কাজ হয় না। বাঁধের নির্মাণকাজ চলমান রয়েছে, তবে এলাকাবাসী চাইলে এসি অফিস থেকে বরাদ্দের জন্য আবেদন করতে পারে।”

স্থানীয় কৃষকদের আশঙ্কা, যদি দ্রুত এই দুটি ক্লোজারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া না হয়, তবে পুরো ফসল রক্ষা বাঁধই কোনো কাজে আসবে না এবং বর্ষার শুরুতেই বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়তে হবে কৃষকদের।

ট্যাগ:
জনপ্রিয়

দোয়ারাবাজারে অরক্ষিত দুই ক্লোজার, হুমকিতে ফসল রক্ষা বাঁধ

প্রকাশের সময়: ০৫:১৬:৪৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

দোয়ারাবাজার উপজেলার চিলাই নদীর তীরে অবস্থিত দুটি ক্লোজার কার্যত অরক্ষিত অবস্থায় রয়েছে। প্যালাসাইডিং না থাকায় ঝুঁকিতে পড়েছে নাইন্দা হাওড়ের ফসল রক্ষা বাঁধ। বিশেষজ্ঞদের মতে, যদি বাঁশের প্যালাসাইডিং বা বালিভর্তি জিও ব্যাগ ব্যবহার করা না হয়, তবে ২১ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই বাঁধ কার্যকর হবে না।

সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার চিলাই নদীর তীর ঘেঁষে ২১নং পিআইসি নাইকো’র ব্রিজ পয়েন্ট থেকে বেজপাড়া লাল মিয়ার বাড়ি পর্যন্ত ৯৭০ মিটার ফসল রক্ষা বাঁধের মাটি ফেলার কাজ চলছে। বাঁধের মোট বরাদ্দ ২১ লাখ ৬০ হাজার টাকা। তবে ধীরগতির এই নির্মাণকাজ চললেও বড় দুটি ক্লোজার অরক্ষিত রয়েছে, যেখানে প্যালাসাইডিং না থাকায় বাঁধের স্থায়িত্ব নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন কৃষকরা।

স্থানীয় কৃষক আব্দুল্লাহ আল মামুন, আব্দুল আজিজ, ফারুক মিয়া ও আক্তার হোসেন বলেন, “চিলাই নদীর তীরঘেঁষা দুটি ক্লোজারে প্যালাসাইডিং না হলে বর্ষার স্রোতে বাঁধটি ভেসে যাবে। পাহাড়ি ঢলে তলিয়ে যাবে কয়েকটি গ্রাম, আর হাওরের ফসল সম্পূর্ণ বিনষ্ট হবে।”

এ বিষয়ে ২১নং পিআইসি সভাপতি মোরশেদ আলম বলেন, “বাঁধের কাজ দ্রুত শেষ করার চেষ্টা চলছে। তবে ৯৭০ মিটার বাঁধের জন্য নির্ধারিত বরাদ্দে বড় দুটি ক্লোজারে প্যালাসাইডিংয়ের জন্য অর্থ বরাদ্দ নেই। আমি স্থানীয় প্রশাসনসহ পানি উন্নয়ন বোর্ডকে (পাউবো) বিষয়টি জানিয়েছি, কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।”

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পাউবো’র উপজেলা এসও সাদ্দাম হোসেন বলেন, “প্যালাসাইডিংয়ের বরাদ্দ থাকলে সঠিকভাবে কাজ হয় না। বাঁধের নির্মাণকাজ চলমান রয়েছে, তবে এলাকাবাসী চাইলে এসি অফিস থেকে বরাদ্দের জন্য আবেদন করতে পারে।”

স্থানীয় কৃষকদের আশঙ্কা, যদি দ্রুত এই দুটি ক্লোজারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া না হয়, তবে পুরো ফসল রক্ষা বাঁধই কোনো কাজে আসবে না এবং বর্ষার শুরুতেই বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়তে হবে কৃষকদের।